টাইব্রেকারে দুটি শট আটকে ফারইস্টকে বিদায় করে এআইইউবিকে ফাইনালে তুললেন রাজীব
Published: 13th, December 2025 GMT
ইস্পাহানি-প্রথম আলো তৃতীয় আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলের ফাইনালে উঠেছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এআইইউবি)।
জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ প্রথম সেমিফাইনালে টুর্নামেন্টের গত আসরের রানার্সআপ এআইইউবি জিতেছে রোমাঞ্চকর টাইব্রেকারে। টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের রানার্সআপ ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিপক্ষে নির্ধারিত ৭০ মিনিটে ম্যাচটি ছিল ২-২ সমতায়। এরপর টাইব্রেকারে এআইইউবি জেতে ৬-৫ গোলে।
টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপার চূড়ান্ত লড়াইয়ের টিকিট পেয়েছে এআইইউবি। নির্ধারিত সময়ে দুবার পিছিয়ে ম্যাচে ফিরেছে তারা, টাইব্রেকারেও একপর্যায়ে পিছিয়ে ছিল দলটি। টাইব্রেকারে দুটি শট আটকে এআইইউবিকে ফাইনালে তুলে নেন গত মৌসুমে দেশের শীর্ষ লিগে চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে খেলা গোলকিপার রাজীব ইসলাম।
জাতীয় স্টেডিয়ামে গোটা ম্যাচজুড়েই ছিল টান টান উত্তেজনা। টাইব্রেকারে প্রথম চারটি শটে দুই দলই গোল করে। এআইইউবির আজিজুল হক অনন্তর নেওয়া পঞ্চম শট পোস্টে লাগে। এরপর এআইইউবির গোলকিপার রাজীব প্রতিপক্ষ গোলকিপার আরমান হোসেনের শট আটকে দলকে ম্যাচে রাখেন। তখন স্কোর দাঁড়ায় ৪-৪।
ম্যাচসেরা গোলকিপার রাজীব.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ লক প র ফ ইন ল প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
৮ ম্যাচে মাত্র ২ জয় রিয়ালের, চাকরি হারানোর শঙ্কার মুখেও ‘ইতিবাচক’ আলোনসো
লা লিগায় গত রোববার রাতে সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে হারের পর তীব্র হয়েছিল জাবি আলোনসোর ছাঁটাই হওয়ার গুঞ্জন। বলা হচ্ছিল, চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচটা দিয়েই নির্ধারিত হবে আলোনসোর ভবিষ্যৎ। সেই ভাগ্য নির্ধারনী ম্যাচেও গতকাল রাতে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ২–১ গোলের এই হারের পর এখন সবার চোখ আলোনসোর চাকরি দিকে।
প্রশ্ন হচ্ছে, রিয়াল কি আলোনসোকে আরও সুযোগ দেবে নাকি এখানেই সম্পর্কের ইতি টানবে? রিয়ালের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে আরেকটু হয়তো অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু মাদ্রিদের ক্লাবটির মৌসুম যে ক্রমশ অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে তা বলাই যায়।
আলোনসোর রিয়াল সর্বশেষ ৮ ম্যাচের মাত্র ২টিতে জিতেছে। ব্যর্থতার এই যাত্রায় সবচেয়ে খারাপ যে ব্যাপারটি ঘটেছে তা হলো, আলোনসো কোচিংয়ে তাঁর নিজস্ব দর্শন ভুলে গিয়েছেন।
আরও পড়ুনরিয়াল ও আলোনসোর দুর্দশা বাড়িয়ে বার্নাব্যুতে জিতল ম্যানচেস্টার সিটি৫ ঘণ্টা আগেগতকাল কথিত বাঁচা–মরার ম্যাচে সেই দর্শনটাই ফিরিয়ে আনার চেষ্টাই যেন করলেন তিনি। চোটাক্রান্ত কিলিয়ান এমবাপ্পের জায়গায় নামালেন গনসালো গার্সিয়াকে। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে গনসালো আলোনসোর বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। এরপর ফেদেরিকো ভালভের্দেকে খেলালেন রাইট–ব্যাক হিসেবে, যদিও এ ভূমিকায় তিনি স্বচ্ছন্দ নন।
এরপর মিডফিল্ডে জায়গা পেলেন দানি সেবায়োস, আর তাই আরদা গুলেরকে বসে থাকতে হলো বেঞ্চে। উইংয়ে আলোনসো ভরসা রাখলেন ৩২ ম্যাচ ধরে গোলখরায় ভুগতে থাকা রদ্রিগোর ওপর। তবে রদ্রিগো গোল করে শেষ পর্যন্ত খরা দূর করেছেন।
সময়টা ভালো যাচ্ছে না আলোনসোর