কে হলেন মাইক্রোসফট এক্সেল ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন ২০২৫
Published: 13th, December 2025 GMT
শিরোনাম দেখে কিছুটা চমকে যেতে পারেন। মাইক্রোসফট এক্সেল তো কম্পিউটারের একটি হিসাব কষার সফটওয়্যার, তার আবার কি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন। মাইক্রোসফট এক্সেল ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ একটি ইস্পোর্টস আয়োজন। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের সেরা স্প্রেডশিট বিশেষজ্ঞরা তাঁদের বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা প্রমাণ করতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই বার্ষিক প্রতিযোগিতা দেখা যায় অফিস সফটওয়্যারও একটি তীব্র প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র হতে পারে। সম্প্রতি লাস ভেগাসের হাইপারএক্স অ্যারেনাতে অনুষ্ঠিত ২০২৫ সালের ফাইনালে ডিয়ারমুইড আর্লি চ্যাম্পিয়নশিপ বেল্ট জয় করেছেন। তিনি পাঁচ হাজার ডলার পুরস্কার জিতেছেন। তিনি অরিগ্যামি-অনুপ্রাণিত জটিল কেস সমাধানের মাধ্যমে তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অ্যান্ড্রু এনগাইকে পরাজিত করেন। এই প্রতিযোগিতা কেবল গতির নয়, বরং নির্ভুলভাবে জটিল ডেটা এবং লজিক্যাল সমস্যা সমাধানের বুদ্ধিমত্তারও পরীক্ষা করে।
এ বছর ডিয়ারমুইড আর্লি মাইক্রোসফট এক্সেল ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে অন্য ২৩ জন প্রতিযোগীকে পরাজিত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের নেভাডায় হাইপারএক্স অ্যারেনাতে তিন দিনব্যাপী এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মাইক্রোসফট এক্সেল খেলোয়াড়েরা একত্রিত হয়েছিলেন প্রতিযোগিতার জন্য।
ফাইনালে ২৪ জন খেলোয়াড় মাইক্রোসফটের স্প্রেডশিট সফটওয়্যার ব্যবহার করে একটি জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অরিগ্যামি অনুপ্রাণিত চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রতিযোগীরা তাদের সফটওয়্যার জ্ঞান ব্যবহার করে সাতটি স্তরজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ১৩০টি প্রশ্নের সমাধান করেন। টুর্নামেন্টের বিজয়ী হতে সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হয়। প্রতি পাঁচ মিনিট অন্তর ফাইনাল থেকে একজন খেলোয়াড় বাদ পড়তে থাকেন, যতক্ষণ না ছয়জন অবশিষ্ট থাকে। এক ঘণ্টা সমস্যা সমাধানের পর ডিয়ারমুইড আর্লি ১২৫০ পয়েন্ট নিয়ে স্কোরবোর্ডে শীর্ষে পৌঁছে যান। তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অ্যান্ড্রু এনগাইয়ের চেয়ে ৩০০ পয়েন্টের বেশি পান তিনি।
এক্সেল ইস্পোর্টস অঙ্গনে ডিয়ারমুইড আর্লি পরিচিত নাম। আর্লি ডেজ কনসাল্টিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ডিয়ারমুইড আর্লি ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত আর্থিক মডেলিং প্রতিযোগিতা মডেলঅফের পাঁচবারের ফাইনালিস্ট। আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা ডিয়ারমুইড আর্লি। কম্পিউটারবিজ্ঞানে পিএইচডি আছে তাঁর। ২০০৮ সালে লন্ডনের বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপে তিনি প্রথম এক্সেল ব্যবহার শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান হতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছি। পুরো প্রতিযোগিতা লাইভ দেখেছেন দর্শকেরা। প্রতিযোগিতার উত্তর সঠিকভাবে স্থাপন করলে একটি বিখ্যাত চিত্রকর্মের মতো মনে হয়।
মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলা এক্সে পোস্ট করে বলেছেন, ‘অনেক অভিনন্দন, ডিয়ারমুইড! আপনি রেডমন্ডে আসুন, আমাদের দলের সঙ্গে দেখা করুন ও আপনার এক্সেল দক্ষতা থেকে শিখতে চাই!’
এক্সেল প্রথম ১৯৮৫ সালে সালে আবির্ভূত হয়। ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ইন্টেল প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারের সুযোগ ছিল না। ১৯৮০ দশকের প্রভাবশালী স্প্রেডশিট ছিল লোটাস ১-২-৩। নব্বই দশকে এক্সেল জনপ্রিয়তা পায়।
সূত্র: ইস্পোর্টস ইনসাইডার ও দ্য রেজিস্টার
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র ফ ইন ল সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
৮৭ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং, গাজীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সাবেক বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ (রূপগঞ্জ-১) এর সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী (৭৭) ও তার সাবেক পিএস এমদাদুল হক (৫২) সহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে সিআইডি।
মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন- সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা (৫৭), তোফায়েল আহমেদ আলমাছ (৫৫), মো. মাহাবুবুর রহমান জাকারিয়া মোল্লা (৪৮), মো. আনছার আলী (৫৫), আলফাজ উদ্দিন (৬৩) ও দিমন ভূঁইয়া (৫৫)।
প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজীর মাধ্যমে ভুয়া দলিল তৈরি করে অবৈধভাবে মোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি (যার বর্তমান সরকারি বাজারমূল্য ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা) জবর দখল, হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট রূপগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৪৩
মামলার এজাহার ও সিআইডি সূত্রে জানাগেছে, অভিযুক্তরা অজ্ঞাত ৭/৮ জন ব্যক্তির সহায়তায় একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গড়ে তোলে। অপরাধ চক্রটি পরস্পর যোগসাজশে গত ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ২০ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ভিকটিম মো. শাহ আলমের ১২৪ শতাংশ, আব্দুস সোবহান মিয়ার ১০ শতাংশ, নাঈম প্রধানের ১৮ শতাংশ, হাসিনা বেগমের ০৯ শতাংশ, আলেয়ার ৪৫ শতাংশ, ইয়াছিন প্রধানের ২৭.৫ শতাংশ, সানজুরা বেগমের ০৪ শতাংশ, মো. আশরাফ উদ্দিন ভুইয়ার ৭২ শতাংশমোস্তফা মনোয়ার ভুইয়ার ৩৪৬ শতাংশ, মো. হাবিব খানের ১৮৩.৫ শতাংশ, রাশিদা ভুইয়ার ১২৪ শতাংশ, আমজাদ আলী ভুইয়ার ৭৬০.৫ শতাংশ, মোবারক ভুইয়ার ৩১ শতাংশ, নূর-ই-তাছলীম তাপসের ৪৩০.৭ শতাংশ, মো. মাহবুবুল হক ভুইয়ার ৭১.৪৭ শতাংশ ও মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের ৬৫ শতাংশসহ সর্বমোট ২৪০১.৪৬ শতাংশ জমি যার বর্তমান মূল্য (সরকারি দর অনুযায়ী) ৮৬ কোটি ৭৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৪ টাকা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে প্রতারণাপূর্বক চাঁদাবাজির মাধ্যমে ভুয়া দলিল সৃজন করে অবৈধভাবে স্থাবর সম্পত্তি জবর দখল করে হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকার পারমিশন পিটি. নং- ৬৮৪/২০২৫, তারিখ-৮ জুলাই ২০২৫ খ্রি. মুলে সম্পত্তি ক্রোক করা আছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৪০০ (চারশত) কোটি টাকা।
ক্রোককৃত সম্পত্তির রিসিভার হিসেবে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ, মহানগর আদালত, ঢাকা সিআইডি প্রধান (এ্যাডিশনাল আইজিপি) কে নিয়োগ করেছেন। ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অজ্ঞাত অপর সদস্যদের শনাক্তকরণ ও অন্যান্য আইনানুগ প্রক্রিয়ার স্বার্থে সিআইডির অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাবজাল বলেন, মামলাটি থানায় দায়ের হলেও তদন্ত করছে সিআইডি।