লক্ষ্মীপুরে ঘরে ঢুকে ছকিনা বেগম (৬৫) নামে এক বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার দক্ষিণ মজুপুর এলাকার ইয়াসিন মিঝির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ছকিনা বেগম ওই এলাকার মৃত সফিক উল্লাহর স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, ছকিনা বেগমের সন্তানেরা প্রবাসে থাকেন। বড় ছেলের স্ত্রী রুবি আক্তারসহ তিনি একটি ভবনে বসবাস করে আসছেন। ভবনের দুটি আলাদা কক্ষে রুবি আক্তার ও ছকিনা বেগম ছিলেন। রাতে চিৎকার শুনে রুবি আক্তার গিয়ে দেখেন, তাঁর শাশুড়ি ছকিনা বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় ছকিনা বেগমকে প্রথমে লক্ষ্মীপুর জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ছাদে সিঁড়িঘরের দরজা ভেঙে এক বা একাধিক দুর্বৃত্ত ঘরে ঢুকে ছকিনা বেগমকে হত্যা করেছেন। চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে আসার আগেই ওই দুর্বৃত্তরা ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেছেন।

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো.

রেজাউল হক বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে পূর্বশত্রুতার কারণে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এটি ডাকাতিতে বাধা দেওয়ার কারণে হয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: লক ষ ম প র

এছাড়াও পড়ুন:

বাবা-মাকে মারধর, ব্যতিক্রমী দিলো শাস্তি গ্রামবাসী

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় পারিবারিক সহিংসতা ও মাদকাসক্তির জেরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার জন্ম দিয়েছে স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছেলের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিল তার বাবা-মা। অবশেষে এলাকাবাসী তাকে কোমর সমান গর্তে পুঁতে রেখে শাস্তি দিয়েছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের টেপিরবাড়ী গ্রামে। অভিযুক্ত যুবকের নাম খলিল (৩২)। তিনি ওই গ্রামের নুরু উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে মাদক কেনার টাকা জোগাড় করতে না পেরে খলিল তার মা খোদেজা খাতুনের ওপর ইট ও লাঠি নিয়ে হামলা চালান। এতে খোদেজা খাতুন আহত হন। এর আগেও দীর্ঘদিন ধরে মা–বাবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন খলিল। বারবার সতর্ক করা হলেও তার আচরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

এমন পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরিবারের সম্মতি নিয়েই তারা খলিলকে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। শনিবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে একটি আঞ্চলিক সড়কের পাশে বুকসমান গর্ত করে তাকে পুঁতে রাখা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর সে নিজেই মাটি সরিয়ে বের হয়ে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে রাখে।

গ্রামের বাসিন্দাদের ভাষ্য, এর আগেও একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ, মুচলেকা ও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। এক মাস আগেও মাদক সেবনের অভিযোগে তাকে ধরে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও সে মায়ের ওপর নির্যাতন বন্ধ করেনি।

স্থানীয় বাসিন্দা তুতা মিয়া বলেন, “আমরা কাউকে কষ্ট দিতে চাইনি। কিন্তু দিনের পর দিন মা–বাবার ওপর যে অত্যাচার সে করেছে, তার কোনো প্রতিকার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, “কাউকে এভাবে শাস্তি দেওয়া আইনসম্মত নয়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/রফিক/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ