ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি নাগরিক কোয়ালিশনের
Published: 13th, December 2025 GMT
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামো সংস্কারে নাগরিক উদ্যোগ নাগরিক কোয়ালিশন।
আজ শনিবার সংগঠনটি এক বিবৃতিতে এই দাবি জানায়।
ওসমান হাদির ওপর দুর্বৃত্তের গুলির ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে বিবৃতিতে নাগরিক কোয়ালিশন বলেছে, এ ঘটনা পরিকল্পিত এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন প্রক্রিয়ার ওপর সরাসরি আঘাত। ওসমান হাদির ওপর আক্রমণ বাংলাদেশের নাগরিক জীবনে ও রাজনীতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত ভয়ংকর ঘটনা। রাজনৈতিক ও সামাজিক পর্যায়ে প্রভাবশালী শীর্ষ নেতাদের ওপর এ ধরনের ‘অ্যাসাসিনেশন’ প্রচেষ্টা রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে যেমন ব্যাহত করে, একই ভাবে দেশের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নাগরিক কোয়ালিশন মনে করে, এই আক্রমণ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে ওসমান হাদির মতো আরও অনেক সামনের সারির তরুণ-তরুণী জুলাই যোদ্ধাদের জীবন কী পরিমাণ ঝুঁকিতে আছে! রাষ্ট্র জুলাই যোদ্ধাদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে বলে সংগঠনটি মনে করে না।
এই পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনটি সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি কাঠামো তৈরি করে জুলাই আন্দোলনের নেতাদের বিশেষ সুরক্ষা প্রদান করতে রাষ্ট্র জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত এক বছরে শতাধিক রাজনৈতিক কর্মী হত্যার ঘটনা ঘটলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অধিকাংশ ক্ষেত্রে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। এতে রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতা, নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে।
নাগরিক কোয়ালিশন আরও বলেছে, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুলিশ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের আইনি ও প্রশাসনিক সংস্কারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এই পরিস্থিতিতে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের জাতীয় নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হবে, তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। নাগরিক সমাজ সরকারকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য এবং প্রত্যেক নাগরিককে নিরাপদে ভোট প্রদানের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ওসমান হাদির দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসা সহায়তার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তা নিশ্চিত করার আহবান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ রকম মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সে জন্য সরকারসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ওসম ন হ দ র ওপর র ঘটন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ১৫ দফা দাবি
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
১০ ডিসেম্বর (আজ বুধবার) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এ উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে মানবাধিকার সংগঠনটি। এ সময় জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগঠনটি ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।
কর্মসূচিতে অংশ নেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাঁদের পরিবার এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘স্পিক আপ’ প্রকল্পের তরুণেরা। এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের এ দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয়, মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রত্যেক মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের বাইরে গিয়েও প্রতিদিনই মানবাধিকার বিষয়ে জাগ্রত ও সোচ্চার থাকতে চাই। আইন ও সালিশ কেন্দ্র কখনো মানবাধিকার বিষয়ে কারও কাছে মাথা নত করেনি, কারও সঙ্গে আপস করেনি। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, সেখানেই আইন ও সালিশ কেন্দ্র সব সময় সোচ্চারভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছে।’
নারী অধিকারের বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সংস্থার এই উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘আইনের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে কিন্তু নারী ও শিশুর প্রত্যয়ী সহিংসতাগুলো বন্ধ হয়নি। এটি নিয়েও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আজ বুধবার, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে