পরীক্ষা রেখে শিক্ষকদের আন্দোলন করাটা যুক্তিযুক্ত হয়নি: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
Published: 13th, December 2025 GMT
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, ‘যে দেশগুলো শিক্ষায় ভালো করছে, সেখানে প্রাথমিকের শিক্ষক হওয়ার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ ও জ্ঞানের প্রয়োজন হয়, লাইসেন্স নিতে হয়। চিকিৎসকেরা যেমন এমবিবিএস সম্পন্ন করার পর বিএমডিসি থেকে লাইসেন্স নেন, তা না হলে প্র্যাকটিস করতে পারেন না। শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও অনেক দেশে এ নিয়ম চালু আছে। আমাদের দেশে সেটি ভবিষ্যতে চালুর পরিকল্পনা করছি।’
ময়মনসিংহে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) কার্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ইনস্ট্রাক্টর ও নেপের সহকারী বিশেষজ্ঞদের বনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে এ কথা জানান উপদেষ্টা।
আগামী ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে উপদেষ্টা বলেন, ‘ইতিমধ্যে সব বই আমরা হাতে পেয়েছি। নির্বাচনে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ভোটকেন্দ্র হওয়ায় এখানে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ধরনের অপতৎপরতা রোধে প্রস্তুতি আছে।’
প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন ও ১১তম গ্রেড নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এ বিষয়ে বেতন কমিশন আছে, তারা বিষয়টি নির্ধারণ করবে। সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত সবার সঙ্গে কথা বলেছি, যেন এটি কার্যকর করা হয়। আশা করতে পারি, এটি বাস্তবায়ন হবে। তবে শিক্ষকদের পরীক্ষা রেখে আন্দোলন করাটা যুক্তিযুক্ত হয়নি। আমরা তাঁদের দাবিকে অযৌক্তিক বলছি না। আমরা বলছিলাম, কার্যকর করার জন্য চেষ্টা করছি।’
২০২৬ সালে চালু হবে ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন প্রোগ্রামনেপ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) প্রোগ্রামটি চালু হতে হচ্ছে। দেশের ১২টি প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) প্রোগ্রামটি পাইলটিং ভিত্তিতে চালু হবে। পিটিআইগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুমিল্লা, জয়দেবপুর, দিনাজপুর ও বগুড়া। এ প্রোগ্রামটির মেয়াদ হবে ১০ মাস। প্রোগ্রামটি অনাবাসিক ও বৈকালিক।
ডিপিএড প্রোগ্রামের বিষয়ে বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, যাঁরা শিক্ষায় আগ্রহী ও শিক্ষক হতে চান, তাঁরা ডিপিএড কোর্স করবেন। এতে তাঁরা পেশাগত ক্ষেত্রে ভালো করবেন এবং আমরা কিছু কমিটেড মানুষ পাব। এতে শিক্ষকতার ক্ষেত্রে তাঁরা ভালো করবেন এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।’
বাংলাদেশের যেকোনো স্থায়ী নাগরিক এই প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন। কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের জিপিএ বা সিজিপিএসহ (৪ স্কেলে ন্যূনতম ২.
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নেপের মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ফারাহ শাম্মী।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ক ষকদ র উপদ ষ ট প রব ন ড প এড
এছাড়াও পড়ুন:
ক্ষমা পেয়ে কাজে যোগ দিলেন চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা করা হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় তাঁকে ক্ষমা করে আগের পদ আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) পদে বহাল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমার জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে পূর্বের পদে বহাল করেছেন। আমি কাজে যোগ দিয়েছি।’
গতকাল বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত একটি পত্র জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ও সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ইনসিটু, ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে মহাপরিচালকের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় এবং সেই সঙ্গে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তিনি তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের কারণে ক্ষমা চেয়ে এবং ভবিষ্যতে এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর দাখিলকৃত জবাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় বরাবর প্রেরিত প্রতিবেদন সন্তোষজনক হওয়ায় মহাপরিচালকের উদারতা ও মহানুভবতায় ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা প্রদর্শন করেন এবং তাঁকে পূর্বের কর্মস্থল ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জ পদে পুনর্বহাল রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক তাঁকে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হলো। এই আদেশ পত্র জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুনস্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ালেন চিকিৎসক, বললেন ‘আমাকে সাসপেন্ড করেন, নো প্রবলেম’০৬ ডিসেম্বর ২০২৫৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফর। এ সময় হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান।