রিকশায় থাকা এক তরুণীর ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে হ্যাঁচকা টান মেরে তাকে রিকশা থেকে ফেলে দিয়েছে ছিনতাইকারীরা। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন ওই তরুণী।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর মতিঝিলে মেট্রোরেল স্টেশনের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত অর্পিতা মুখার্জী (২৪) ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী। 

গুরুতর আহত অবস্থায় সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেন। 
অর্পিতার সহপাঠী প্রবিতা জানান, আজ সকাল ৮টার দিকে মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশনের সামন দিয়ে রিকশায় যাওয়ার পথে ছিনতাইকারীরা সিএনজি থেকে ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান দিলে অর্পিতা রিকশা থেকে নিচে পড়ে যায়। এতে তার ডান পায়ে ও হাতের কব্জিতে আঘাত লাগে। 

পরে সহপাঠীদের ফোন দিলে তারা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া নেয়। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। 

তিনি আরো জানান, অর্পিতার বাড়ি রংপুর সদর মহিগঞ্জ এলাকায়। তার বাবা অরূপ মুখার্জি। বর্তমানে অর্পিতা পরিবারের সাথে আজিমপুর কলোনীতে থাকে। অর্পিতা ইডেন কলেজের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। 

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, “মতিঝিল এলাকায় ছিনতাইকারীরা চলন্ত সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান দিলে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন ওই তরুণী। জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসা দেওযা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।”

ঢাকা/বুলবুল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অর প ত

এছাড়াও পড়ুন:

বাবা-মাকে মারধর, ব্যতিক্রমী দিলো শাস্তি গ্রামবাসী

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় পারিবারিক সহিংসতা ও মাদকাসক্তির জেরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার জন্ম দিয়েছে স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত ছেলের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছিল তার বাবা-মা। অবশেষে এলাকাবাসী তাকে কোমর সমান গর্তে পুঁতে রেখে শাস্তি দিয়েছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের টেপিরবাড়ী গ্রামে। অভিযুক্ত যুবকের নাম খলিল (৩২)। তিনি ওই গ্রামের নুরু উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে মাদক কেনার টাকা জোগাড় করতে না পেরে খলিল তার মা খোদেজা খাতুনের ওপর ইট ও লাঠি নিয়ে হামলা চালান। এতে খোদেজা খাতুন আহত হন। এর আগেও দীর্ঘদিন ধরে মা–বাবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন খলিল। বারবার সতর্ক করা হলেও তার আচরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

এমন পরিস্থিতিতে গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরিবারের সম্মতি নিয়েই তারা খলিলকে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। শনিবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে একটি আঞ্চলিক সড়কের পাশে বুকসমান গর্ত করে তাকে পুঁতে রাখা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর সে নিজেই মাটি সরিয়ে বের হয়ে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে আটক করে রাখে।

গ্রামের বাসিন্দাদের ভাষ্য, এর আগেও একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ, মুচলেকা ও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল। এক মাস আগেও মাদক সেবনের অভিযোগে তাকে ধরে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও সে মায়ের ওপর নির্যাতন বন্ধ করেনি।

স্থানীয় বাসিন্দা তুতা মিয়া বলেন, “আমরা কাউকে কষ্ট দিতে চাইনি। কিন্তু দিনের পর দিন মা–বাবার ওপর যে অত্যাচার সে করেছে, তার কোনো প্রতিকার না পেয়ে শেষ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, “কাউকে এভাবে শাস্তি দেওয়া আইনসম্মত নয়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/রফিক/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ