শিশু-কিশোরদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা তাঁর অনেক দিনের। সুবিধাবঞ্চিতদের খেলাধুলার সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করতে চান। কাজ করতে চান শিশু–কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও। করোনাকালের গৃহবন্দী জীবনে সেটা নিয়ে নতুন করে ভাবার সুযোগ পান জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার জাভেদ ওমর। সেই ভাবনা আজ আনুষ্ঠানিকতা পেয়েছে রাজধানীর এক রেস্তোরাঁয়, যাত্রা শুরু করেছে ‘জাভেদ ওমর ইনিশিয়েটিভ’ নামে তাঁর এ উদ্যোগ। দীর্ঘদিনের সতীর্থ, বিসিবি কর্মকর্তা ও সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে নতুন এ উদ্যোগের কথা জানান জাভেদ।

জাতীয় দলে খেলার সময়ই ছোট ছোট এ রকম উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানান জাভেদ ওমর। দেশের মানুষের জন্য কিছু করবেন বলে কানাডায় স্থায়ী হননি। একবার এতিমখানায় খাবার দিতে গিয়ে সামনে খোলা মাঠ দেখে জাভেদের মনে হয়েছে, সাহায্য করা দরকার তাদের। এরপরই ‘জাভেদ ওমর ইনিশিয়েটিভ’-এর চিন্তাটা তাঁর মাথায় দানা বাঁধে।

বিসিবি সভাপতি ও এক সময়ের সতীর্থ ফারুক আহমেদের সঙ্গে জাভেদ ওমর.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ভ দ ওমর

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।

মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।

সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।

জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।

তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।

এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ  রিকোভারীবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ