কক্সবাজারের রামুতে বন কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন এক বিএনপি নেতা। শাহেদুজ্জামান বাহাদুর নামে ওই নেতা রামু উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি। হুমকির ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর শনিবার রাতে রামু থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেছে বন বিভাগ।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নে বড় ডেবা এলাকায় বন বিট অফিসের সামনে জনসমক্ষে বাহাদুর বলেন, বনভূমিতে কোনো ধরনের অবৈধ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বাধা দিলে এলাকাবাসীকে নিয়ে ইউনিয়নের সব বন অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হবে। সব বন বিট উচ্ছেদ করা হবে।

বাদী কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক এবং রাজারকুল রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.

অভিউজ্জামান সমকালকে বলেন, ওই নেতার হুমকির পর বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই নিরাপত্তা শঙ্কায় রয়েছেন। এ জন্য রাজারকুল রেঞ্জের সবার পক্ষে জিডি করেছেন।

শাহেদুজ্জামান বাহাদুর বলেন, বনভূমিতে প্রভাবশালীরা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে কিংবা পাহাড় কাটলে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অথচ সাধারণ মানুষ একটা ঘর নির্মাণ করলেই ভেঙে দেয়। এ জন্য ওই বক্তব্য দিয়েছি।

রামু উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোক্তার আহমেদ বলেন, বাহাদুর বর্তমান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে নেই। তবে আগের কমিটিতে সহসভাপতি ছিলেন। তিনি হুমকি দিয়েছেন কিনা, জানা নেই।

রামু থানার ওসি ইমন কান্তি চৌধুরী সমকালকে বলেন, হুমকির ধরন অনুযায়ী এটা ফৌজদারি অপরাধ। তাই অনুমতির জন্য আদালতে পাঠিয়েছি। অনুমতি পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন ত ব এনপ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্কারের প্রশ্নে ব্যক্তি–দলের স্বার্থের চেয়ে দেশকে প্রাধান্য দিতে হবে: নুরুল হক

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেছেন, আর কোনো শাসক যাতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পথ অনুসরণ করে নাগরিকদের নিপীড়নসহ দেশকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে না পারে, সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সংস্কার প্রশ্নে ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থের চেয়ে দেশকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংস্কার প্রশ্নে গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের শুরুতে নুরুল হক এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে আজ গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

বৈঠকের শুরুতে নুরুল হক বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বান থাকবে, যে সংস্কারগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হবে, সেগুলো যেকোনো মূল্যে এই সরকারের অধীনেই বাস্তবায়ন করতে হবে।

নুরুল হক বলেন, বিগত ১৬ বছরে দেশের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত হয়ছিল। গণ অধিকার পরিষদ নবীন রাজনৈতিক দল হলেও ২০১৮ সাল থেকে তাঁরা মামলা, হামলা ও নির্যাতনের শিকার।

বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের নতুন অধ্যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হয়েছে।

সম্মিলিতভাবে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, তাঁদের লক্ষ্য দ্রুততম সময়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা।

সংস্কার প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, শুধু আলোচনার মধ্য দিয়েই সংস্কার বাস্তবায়ন হবে না। সবার একত্রিত থাকার তাগিদ সব সময় জারি রাখতে হবে।

ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক বিচারপতি এমদাদুল হক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।

আলোচনায় গণ অধিকার পরিষদের ১০ সদস্যদের প্রতিনিধিদল অংশ নিচ্ছে। নুরুল হক ছাড়া প্রতিনিধিদলে রয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সিনিয়র সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র ফারুক হাসান, গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য খালিদ হোসেন, হাবিবুর রহমান রিজু, সাকিব হোসেন, দপ্তর সম্পাদক শাকিলুজ্জামান, সহমানবাধিকার–বিষয়ক সম্পাদক ফাতেমা দিশা, যুব উইংয়ের সদস্য মুমতাজুল ইসলাম, গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্বেচ্ছাশ্রমে চট্টগ্রামে খাল খনন করছে বিএনপি
  • গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যের ওপর নির্ভর করবে সংলাপের সাফল্য: আলী রীয়াজ 
  • জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদ
  • সংস্কারের প্রশ্নে ব্যক্তি–দলের স্বার্থের চেয়ে দেশকে প্রাধান্য দিতে হবে: নুরুল হক