বন কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি বিএনপি নেতার, জিডি
Published: 9th, February 2025 GMT
কক্সবাজারের রামুতে বন কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন এক বিএনপি নেতা। শাহেদুজ্জামান বাহাদুর নামে ওই নেতা রামু উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি। হুমকির ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর শনিবার রাতে রামু থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেছে বন বিভাগ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নে বড় ডেবা এলাকায় বন বিট অফিসের সামনে জনসমক্ষে বাহাদুর বলেন, বনভূমিতে কোনো ধরনের অবৈধ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বাধা দিলে এলাকাবাসীকে নিয়ে ইউনিয়নের সব বন অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হবে। সব বন বিট উচ্ছেদ করা হবে।
বাদী কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক এবং রাজারকুল রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.
শাহেদুজ্জামান বাহাদুর বলেন, বনভূমিতে প্রভাবশালীরা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করলে কিংবা পাহাড় কাটলে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অথচ সাধারণ মানুষ একটা ঘর নির্মাণ করলেই ভেঙে দেয়। এ জন্য ওই বক্তব্য দিয়েছি।
রামু উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোক্তার আহমেদ বলেন, বাহাদুর বর্তমান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে নেই। তবে আগের কমিটিতে সহসভাপতি ছিলেন। তিনি হুমকি দিয়েছেন কিনা, জানা নেই।
রামু থানার ওসি ইমন কান্তি চৌধুরী সমকালকে বলেন, হুমকির ধরন অনুযায়ী এটা ফৌজদারি অপরাধ। তাই অনুমতির জন্য আদালতে পাঠিয়েছি। অনুমতি পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন ত ব এনপ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের বিক্ষোভ
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত উপজেলার ওয়াপদার মোড় এলাকার মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া মহাসড়কে বাঁশ ও গাছের গুঁড়ি ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন।
পদবঞ্চিত নেতা–কর্মীরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা বিএনপির দুর্দিনে পাশে থেকেছেন, সেই ত্যাগী নেতাদের উপেক্ষা করে নতুন কমিটিতে আওয়ামী লীগ–সমর্থকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে। এতে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা কমিটিগুলো বাতিলের পাশাপাশি ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠনের দাবি জানান।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান, বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মিনহাজুর রহমান, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রইসুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্যসচিব নাজিম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুস সবুর, পৌর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলাটি বিএনপির নেতা-কর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত। একটি পক্ষ ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং অন্যটি উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়ার অনুসারী। তাঁরা দুজন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী।
২৩ অক্টোবর রাতে বোয়ালমারী উপজেলা ও পৌরসভার ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পৃথক দুটি কমিটি ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ও সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া।
আজ অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে সড়কের ওপর বসে দাবির সমর্থনে বক্তব্য দেন স্থানীয় বিএনপির পদ বঞ্চিত নেতা-কর্মীরা। এতে সড়কের আটকে পড়ে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
পরে বেলা দুইটার দিকে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রইসুল ইসলাম। তিনি বলেন, আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে ঘোষিত কমিটি দুটি বাতিল না করা হলে কঠোর আন্দোলন ও সব সড়ক অবরোধ করা হবে।