স্বামীকে হত্যা, প্রেমিকসহ স্ত্রীর আমৃত্যু কারাদণ্ড
Published: 10th, February 2025 GMT
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় স্বামীকে হত্যার দায়ে প্রেমিকসহ এক নারীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের দুইজনকে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহ পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলী মনসুর মামলার রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- হাফিজা খাতুন (৪২) ও তার প্রেমিক আবদুল্লাহ আল মাসুম (৩৬)। পলাতক থাকায় আবদুল্লাহ আল মাসুমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আরো পড়ুন:
পাবনায় ছুরিকাঘাতে স্ত্রী খুন, স্বামী গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাংলাদেশির লাশ নিয়ে গেছে বিএসএফ
মামলার চার্জশিটভুক্ত অপর আসামি মো.
আদালত ও মামলার নথির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি মো. শামীম উল আজম খান জানান, ২০১১ সালের ২৮ জুন হত্যা করা হয় জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার ভাবকীর মোড় এলাকার দুবাই প্রবাসী হেলাল উদ্দিনকে। প্রবাস ফেরত স্বামীকে হত্যার জন্য সদর উপজেলার চরঘাগড়া গ্রামের আবদুল্লাহ আল মাসুমকে নিয়ে পরিকল্পনা করেন হাফিজা খাতুন।
তিনি আরো জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে ঘুম পাড়ান হাফিজা খাতুন। এরপর মাসুম ও তার এক সহযোগী বাড়িতে গিয়ে গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন হেলাল উদ্দিনকে। এ ঘটনাকে ডাকাতির নাটক সাজানো হয়েছিল।
শামীম উল আজম জানান, নিহত হেলাল উদ্দিনের বোন সাফিয়া আক্তার বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন মুক্তাগাছা থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশ হাফিজা খাতুন, তার প্রেমিক আবদুল্লাহ আল মাসুম এবং মো. আরমান নামে তিনজনের নামে আদালতে চার্জশিট দেয়।
ঢাকা/মিলন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় চোখে টর্চলাইটের আলো পড়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে এরশাদ আলী (৩৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এরশাদ আলী উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। খবর পেয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে মানিক মিয়ার মুদিদোকানে যান এরশাদ আলী। এ সময় এরশাদ আলীর চোখে টর্চলাইটের আলো ফেলে বিরক্ত করেন একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাকিব মিয়া। এ নিয়ে দুজন বাগ্বিতণ্ডায় জড়ালে স্থানীয় লোকজন মিটমাট করে দেন। পরে এরশাদ আলীসহ সবাই যে যার মতো বাড়িতে চলে যান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে এরশাদ আলীকে ডেকে নিয়ে আবার কথা-কাটাকাটি ও মারামারিতে জড়ান সাকিব ও তাঁর সঙ্গে আসা কয়েকজন। একপর্যায়ে এরশাদ আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন আহত এরশাদ আলীকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে অভিযুক্ত সাকিব মিয়াসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বলেন, পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। নিহত এরশাদ আলীর শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।