সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মৌমাছির কামড়ে আনছার আলী (৪২) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার কালিবাড়ী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
মারা যাওয়া আনছার আলী সরকার উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের জোকনালা গ্রামের সাদেক আলী সরকারের ছেলে।
ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য রানা আহাম্মেদ বলেন, “আজ বিকেলে ধানের চারা তোলার জন্য জমিতে যাচ্ছিলেন আনছার আলী। সগুনা কালিবাড়ী এলাকায় মৌমাছির দল তাকে আক্রমণ করে। মৌমাছির কামড়ে গুরুতর আহত হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক আনছার আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।”
আরো পড়ুন:
নোয়াখালীতে গণপিটুনিতে নিহত এক
১০ হাজারে চুক্তি, নদীতে নেমে প্রাণ গেল যুবকের
বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.
ঢাকা/অদিত্য/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মিরপুর দোকানে ঢুকে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা
রাজধানীর মিরপুরে দোকানে ঢুকে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়া (৪৭)কে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার সন্ধ্যায় মহানগরের মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, আজ সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে গোলাম কিবরিয়া মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে একটি দোকানে বসেছিলেন। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত দোকানে ঢুকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। দুর্বৃত্তদের মাথায় হেলমেট ও মুখোশ ছিল। একাধিক গুলি লেগে কিবরিয়া লুটিয়ে পড়েন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে শেরে বাংলা নগরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
আজ সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কর্তব্যরত ওয়ার্ড মাস্টার আবুল বাশার প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে স্বজনেরা রক্তাক্ত অবস্থায় গোলাম কিবরিয়াকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কিবরিয়াকে গুলি করার ঘটনায় একজন আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রাস্তার ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হত্যাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তাৎক্ষণিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানা যায়নি।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, গোলাম কিবরিয়া পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব ছিলেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি ছোটখাটো ব্যবসা করতেন। তাঁর কোনো শত্রু ছিল না। তাঁর গায়ে ৯টি গুলি লেগেছে। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে মিরপুর সাড়ে ১১-তে ফলপট্টি সংলগ্ন ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলবে।