সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, তাঁর স্ত্রী সৈয়দা আরজুমান বানু ও তাঁদের স্বার্থ–সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ৫৭ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর ভারপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ শিহাবুল ইসলাম এ আদেশ দেন। এসব হিসাবে ২ কোটি ৮৯ লাখ ৮৯ হাজার ৩৫৬ টাকা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো.

রিয়াজ হোসেন জানান, দুদকের উপপরিচালক মনিরুজ্জামান অবরুদ্ধের আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির দায়িত্বে থাকার সময় নিজ নামে, তাঁর স্ত্রী সৈয়দা আরজুমান বানুর বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ৩২ কোটি ১৮ লাখ ৫৮ হাজার ৪৫০ টাকার লেনদেন করেছেন। এর মধ্যে ১৭ কোটি ৫৫ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৩ টাকা জমা রয়েছে। ১৪ কোটি ৬২ লাখ ৭৮ হাজার ৮১৭ টাকা উত্তোলন করেছেন। মানি লন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ ‘দুর্নীতি ও ঘুষ’ সংঘটনের মাধ্যমে ওই অর্থের অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে এটার হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করা হয়েছে। অভিযোগটির সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাঁর নিজ, তাঁর স্ত্রী ও তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবর দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

সঞ্চয়পত্র বিক্রিসহ ৫ সেবা দেবে না বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে আর পাঁচ ধরনের সেবা দেওয়া হবে না। সেগুলো হলো— সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রি, গ্রাহক পর্যায়ে ছেঁড়া-ফাটা নোট বদল, সরকারি চালান সেবা এবং চালান-সংক্রান্ত ভাংতি টাকা দেওয়া। আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে এসব সেবা বন্ধ করা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়কে এসব সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

তবে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে উল্লিখিত সেবাগুলো পাবেন গ্রাহকরা। ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের এসব সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক নজরদারি বাড়াবে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর গত ২২ জুন মতিঝিল অফিসের ক্যাশ বিভাগ সরেজমিন পরিদর্শন করেন। ক্যাশ বিভাগ আধুনিকায়নে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। এরপর একটি কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাঁচ ধরনের সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

এর আগে গত ১৮ আগস্ট ও ২২ সেপ্টেম্বর করণীয় নির্ধারণে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। বৈঠকে আগেও দুজন গভর্নর গ্রাহক-সংশ্লিষ্ট সব ধরনের সেবা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছিলেন বলে আলোচনা হয়। ওই সময়ের প্রেক্ষাপটে শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করা যায়নি।

এদিকে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন নির্বিঘ্নে এসব সেবা দেয়, তা নিশ্চিত করতে তদারকি বাড়াবে বাংলাদেশ ব্যাংক। গ্রাহকদের এসব বিষয়ে অবহিত করতে শিগগিরই প্রচারণা চালানো হবে। এরই মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়কে এসব সিদ্ধান্তের বিষয় জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় আধুনিকায়ন, উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসম্বলিত ভল্ট স্থাপন এবং মূল ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য সম্প্রতি কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশের ব্যাংক পাঁচ ধরনের সেবা দেওয়া ১২ কাউন্টার ৩০ নভেম্বরের পর বন্ধ হয়ে যাবে। 

আগামী ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে নগদ টাকায় সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড কেনা-বেচা হবে না। সরকারের পক্ষ থেকে ট্রেজারি চালানও জমা নেওয়া হবে না। পাশাপাশি ভাংতি টাকা এবং ছেঁড়া-ফাটা নোট পরিবর্তনের সেবাও বন্ধ হয়ে যাবে।

তবে, ১৬টি কাউন্টারে কিছু সেবা মিলবে। সেগুলো হলো—ধাতব মুদ্রা বিনিময়, স্মারক মুদ্রা বিক্রি, অপ্রচলিত নোটের বিরোধ নিষ্পত্তি ও ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন ইত্যাদি। এসব সেবাও ভবিষ্যতে কীভাবে বন্ধ হবে, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছে গভর্নর। বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য বিভাগীয় কার্যালয়কে এসব সেবা ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ