বাবা অভিনেতা কমল হাসান, মা অভিনেত্রী সারিকা। তাই চলচ্চিত্র জগতে পা রাখা খুব একটা কঠিন ছিল না শ্রুতি হাসানের জন্য। মাত্র ছয় বছর বয়সে গায়িকা হিসেবে অভিষেক হয় তাঁর। অভিনয় জগতেও শ্রুতির হাতেখড়ি হয় ছোটবেলায়। আপাতত থিতু হয়েছেন অভিনয়েই। এ মুহূর্তে দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রে শ্রুতি হাসান প্রথম সারির নায়িকাদের একজন। চলতি বছরে এ অভিনেত্রী হাজির হচ্ছেন তিন সিনেমা নিয়ে।
আসছে ১২ এপ্রিল ভারতজুড়ে মুক্তি পাবে শ্রুতি অভিনীত ‘কুলি’। এ সিনেমায় শ্রুতি অভিনয় করেছেন রজনীকান্তের সঙ্গে। লোকেশ কঙ্গরাজ পরিচালিত এ চলচ্চিত্রটির অন্যতম মূল চরিত্র তিনি। অ্যাকশন থ্রিলার ছবিটিতে তাঁর অভিনীত চরিত্রের নাম ‘প্রীতি’। এরই মধ্যে চলচ্চিত্রটির শুটিং শুরু হয়েছে। এরপর মুক্তি পাচ্ছে ‘সালার পার্ট ২’।
২০২৩ সালে ভারতীয় বক্স অফিসে ঝড় তোলে প্রভাস ও শ্রুতি হাসান অভিনীত ‘সালার’ সিনেমা। দীর্ঘদিন অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে চলতি বছর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে প্রভাস ও শ্রুতির অভিনীত সালার পার্ট-২। এটি পরিচালনা করেছেন প্রশান্ত নীল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবে চলতি বছর ১৪ নভেম্বরে।
এরপর মুক্তি পাবে ‘জননায়ক’। এ সিনেমায় তাঁর নায়ক বিজয় থালাপাতি। এটি বিজয়ের ৬৯তম সিনেমা। এ সিনেমার মাধ্যমে ক্যারিয়ারে ইতি টানতে চলেছেন বিজয় থালাপাতি।
জানা যায়, বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন এ অভিনেত্রী। সিনেমাটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নির্মিত হতে চলেছে। সিনেমার শুটিং চলমান রয়েছে। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির তারিখ এখনও নিশ্চিত করেননি নির্মাতা এইচ বিনোথ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলচ্চিত্রটি চলতি বছর অক্টোবরে মুক্তি পাবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।