চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেরা খেলোয়াড়ের দৌড়ে কোহলি–রবীন্দ্রর সঙ্গে আর কারা
Published: 9th, March 2025 GMT
মাত্র ১৫ ম্যাচের টুর্নামেন্ট। ফাইনাল খেললে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সর্বোচ্চ ম্যাচ পাওয়া যায় ৫টি। ক্রিকেটারদের পরিসংখ্যানে তাই খুব বড় ওলট–পালট হচ্ছে না এ টুর্নামেন্টে। কেউ নিয়েছেন ১০ উইকেট, তো কেউ ৮টি। ব্যাটসম্যানদের রানসংখ্যা এখনো ৩০০–ও হয়নি।
টুর্নামেন্টসেরা হওয়ার দৌড়ে ফেবারিট কে, ফাইনালের আগে এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া তাই মুশকিল। আর সব সমীকরণ ঘুরে যেতে পারে ফাইনালে দুর্দান্ত একটি ইনিংস কিংবা অবিশ্বাস্য কোনো স্পেলে।
তাই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেরা খেলোয়াড় হবেন কে—এ প্রশ্নের চেয়ে কারা এ পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন, সেটা বলাই নিরাপদ। আজ দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালের আগে দেখে নেওয়া যাক, টুর্নামেন্ট সেরার দৌড়ে ফেবারিট কারা?
বিরাট কোহলি (ভারত)ম্যাচ ৪, রান ২১৭, সর্বোচ্চ ১০০, গড় ৭২.
৩৩, ক্যাচ ৭টি
ছন্দে ছিলেন না। কোহলি আর নেই সেই কোহলি! চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে আলোচনাটা এমনই ছিল। সব বদলে যায় পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাঁর সেঞ্চুরির পর। এরপর সেমিফাইনালেও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোহলি খেললেন ৮৪ রানের ইনিংস। গুরুত্বপূর্ণ এই দুই ইনিংস খেলে কোহলি এখন আছেন টুর্নামেন্টসেরার দৌড়েও।
৭৬৫২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে কোহলির রানফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ এক ইনিংস খেললে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার সম্ভাবনা তাঁরই বেশি থাকবে। আজ ৪৬ রান করলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসেও সর্বোচ্চ রান হয়ে যাবে ২০২৩ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় কোহলির। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি ক্রিস গেইলের। ১৭ ম্যাচে ১৭ ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে করেছেন ৭৯১ রান। কোহলি ১৭ ম্যাচে ১৬ ইনিংসে ৭৪৬ রান নিয়ে দুইয়ে।
রাচিন রবীন্দ্র (নিউজিল্যান্ড)ম্যাচ ৩, রান ২২৬, উইকেট ২, সর্বোচ্চ ১১২, ক্যাচ ৪টি
রাচিন রবীন্দ্র তো আইসিসি টুর্নামেন্টে সেঞ্চুরি করতেই আসেন! আইসিসি টুর্নামেন্টে মাত্র ১৩ ম্যাচ খেলেই ৫টি সেঞ্চুরি করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এর দুটি এসেছে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে, তা–ও মাত্র ৩ ম্যাচ খেলে।
সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরির আগে বাংলাদেশের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করেন রবীন্দ্র। সঙ্গে উইকেটও আছে ২টি। এমন পারফরম্যান্সের পর দলও ফাইনালে। টুর্নামেন্টসেরার দৌড়ে তো থাকবেনই! দেখা যাক ফাইনালে কেমন করেন।
আরও পড়ুনঅজুহাত দেওয়া বন্ধ করলে একদিন না একদিন সফল হবেনই২ ঘণ্টা আগেম্যাট হেনরি (নিউজিল্যান্ড)ম্যাচ ৪, উইকেট ১০, গড় ১৬.৭০, সেরা বোলিং ফিগার ৫/৪২
টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। সবচেয়ে ‘ইমপ্যাক্টফুল’ বোলার বললেও বাড়িয়ে বলা হয়তো হবে না। নতুন বলে ও পুরোনো বলে প্রতি ম্যাচেই পারফর্ম করে চলেছেন ম্যাট হেনরি। তাই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার দৌড়ে তাঁর থাকাটাও নিশ্চিত। দরকার শুধু ফাইনালে দারুণ কিছু!
কেইন উইলিয়ামসনম্যাচ ৪, রান ১৮৯, গড় ৪৭. ২৫, সর্বোচ্চ ১০২, ক্যাচ ৭টি
কেইন উইলিয়ামসনকে বাদ রাখা তো সম্ভব নয়। ২০১৯ বিশ্বকাপে আলোচনার বাইরে থেকেই টুর্নামেন্টসেরা হয়েছিলেন। ফাইনালে যদি অবিশ্বাস্য কিছু করে ফেলেন!
সংখ্যায় পিছিয়ে আছেন, আবার আলোচনায় আছেন—এমন ক্রিকেটারও আছে। এই যেমন শ্রেয়াস আইয়ার। ৪ ম্যাচে রান করেছেন মাত্র ১০৫।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ট র ন ম ন টস র রব ন দ র ফ ইন ল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
তিন দিনের পর্যটন মেলায় ৪০ কোটি টাকার ব্যবসা
তিন দিনের পর্যটন মেলায় এবার প্রায় ৪০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। মেলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রায় তিন কোটি টাকার টিকিট বিক্রি করেছে। সব মিলিয়ে ১৩তম বারের মতো তিন দিনের এই মেলায় প্রায় ৪০ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। গত শনিবার তিন দিনের এই মেলার শেষ দিন ছিল।
বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ) নামে ১৩তম বারের মতো আয়োজিত এই মেলা গত বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হয়েছিল। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের চীন–মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলার আয়োজক ছিল ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব)। আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে মেলার ব্যবসাসংক্রান্ত এসব তথ্য জানিয়েছে টোয়াব।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মেলার শেষ দিনে অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলোকে স্মারক ও সনদ প্রদান করা হয়। মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নুজহাত ইয়াসমিন। আরও উপস্থিত ছিলেন টোয়াবের সভাপতি মো. রাফেউজ্জামান, পরিচালক (বাণিজ্য ও মেলা) মো. তাসলিম আমিন প্রমুখ।
* মেলায় প্রায় তিন কোটি টাকার টিকিট বিক্রি করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। * দেশের পর্যটন খাতে অবদানের জন্য পুরস্কৃত করা হয় তিন সাংবাদিকসহ ১৩ জনকে।প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুজহাত ইয়াসমিন বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশে পর্যটনশিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত। বাংলাদেশেও পর্যটনশিল্প রয়েছে। তবে আমরা এখনো সেই কাঙ্ক্ষিত অবস্থানে পৌঁছাতে পারিনি। এর মানে এই নয় যে আমাদের সম্ভাবনা নেই। বরং আমরা এখনো তা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারিনি।’
বিজ্ঞপ্তিতে টোয়াব আরও জানায়, এবারের মেলায় এয়ারলাইন, হোটেল, রিসোর্ট, ট্যুর অপারেটর, হাসপাতাল, ক্রুজ লাইনসহ বিভিন্ন ভ্রমণ ও পর্যটনসংশ্লিষ্ট ৮০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। সব মিলিয়ে মোট ১৫০টি স্টল ছিল এবারে মেলায়। মেলায় হোটেল ও রিসোর্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ ছাড়ে রুম এবং ভ্রমণ প্যাকেজ বিক্রি করেছে। ছয়টি হোটেল ও রিসোর্ট মেলায় তাদের শেয়ার বিক্রি করেছে, যা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের ইতিবাচক ইঙ্গিত।
বিজ্ঞপ্তিতে টোয়াব জানায়, মেলার প্রথম দিনে বাংলাদেশ ও নেপালের ট্রাভেল ট্রেড শিল্পের সংযোগ স্থাপন শীর্ষক বিটুবি নেটওয়ার্কিং আয়োজিত হয়। এ ছাড়া ফিলিপাইন, মালদ্বীপ, ভুটান, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা—এসব দেশের মধ্যে বিটুবি সেমিনার আয়োজন করা হয়। মেলায় দেশের পর্যটন খাতে অবদানের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন তিন সাংবাদিকসহ ১৩ জন।