নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি, শিক্ষক পদ ২৬
Published: 13th, March 2025 GMT
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি বিভাগে ২৬ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে।
১. পদের নাম: অধ্যাপকপদসংখ্যা: ২ (স্থায়ী)
বিভাগ: আইন বিভাগে ১টি ও পরিসংখ্যান বিভাগে ১টি।
বেতন স্কেল: ৫৬,৫০০-৭৪,৪০০ টাকা (গ্রেড-৩)
২.পদের নাম: সহযোগী অধ্যাপক
পদসংখ্যা: ৮ (স্থায়ী)
বিভাগ: প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ১টি; মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগে ১টি; রসায়ন বিভাগে ১টি; পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ১টি; আইন বিভাগে ১টি; রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ১টি; সমাজকর্ম বিভাগে ১টি এবং ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে ১টি।
বেতন স্কেল: ৫০,০০০-৭১,২০০ টাকা (গ্রেড-৪)
৩. পদের নাম: সহকারী অধ্যাপকপদসংখ্যা: ৪ (স্থায়ী)
বিভাগ: ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১টি; বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১টি; ওশানোগ্রাফি বিভাগে ১টি এবং মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগে ১টি।
বেতন স্কেল: ৩৫,৫০০-৬৭,০১০ টাকা (গ্রেড-৬)
৪. পদের নাম: প্রভাষকপদসংখ্যা: ১২ (স্থায়ী)
বিভাগ: অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ২টি; ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১টি; ওশানোগ্রাফি বিভাগে ১টি; বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে ১টি; রসায়ন বিভাগে ১টি; পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ১টি; আইন বিভাগে ২টি; সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ১টি এবং শিক্ষা প্রশাসন বিভাগে ২টি।
বেতন স্কেল: ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা (গ্রেড-৯)
আরও পড়ুনচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নেবে শিক্ষক, পদ ২৯১৬ ঘণ্টা আগেআবেদন যেভাবেআগ্রহী প্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের এই লিংক থেকে নির্ধারিত আবেদন ফরম ডাউনলোড করে কম্পিউটার কম্পোজ করে আবেদন করতে হবে। কোনো বিষয়ে বিস্তৃত বিবরণের প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত কাগজ ব্যবহার করে দরখাস্তের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। অধ্যাপক/সহযোগী অধ্যাপক পদের জন্য ১২ সেট আবেদন এবং সহকারী অধ্যাপক/প্রভাষক পদের জন্য ১০ (দশ) সেট আবেদন (আবেদন ফরম, সিভি, সার্টিফিকেট, মার্কশিট/ট্রান্সক্রিপ্ট/গ্রেডশিট, মূল সেটের সঙ্গে পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি এবং যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপিসহ) সরাসরি, কুরিয়ার বা ডাকযোগে জমা দিতে হবে। খামের ওপর নাম-ঠিকানা, প্রার্থিত পদ ও বিভাগের নাম স্পষ্টাক্ষরে লিখতে হবে। পদসংশ্লিষ্ট যোগ্যতা, অভিজ্ঞতাসহ নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।
আরও পড়ুনপরিসংখ্যান ব্যুরোতে বড় নিয়োগ, পদ ২৬৬১ ঘণ্টা আগেআবেদন ফিপ্রতিটি পদের বিপরীতে ২০০ টাকা করে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয় হিসাব নম্বর-০২০০০০৫৩২৬৫৮৪, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় অনলাইনে জমা দিয়ে মূল রশিদ আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করে রশিদের ক্রমিক নম্বর আবেদনে উল্লেখ করতে হবে।
আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা: রেজিস্ট্রার, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী।
আবেদনের শেষ সময়: ৮ এপ্রিল ২০২৫।
আরও পড়ুনশিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, সংশোধিত পদ ১৮৭৪ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মার্জিন ঋণ নিতে বিনিয়োগ লাগবে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা
পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মার্জিন ঋণ নিতে হলে বিনিয়োগ থাকতে হবে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা। এছাড়া থাকতে হবে নিয়মিত আয়ের উৎস। আর বিনিয়োগের ৬ মাসের আগে ঋণ পাবে না কোনো বিনিয়োগকারী। একইসঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ড এবং কোম্পানির হিসাবেও মার্জিন ঋণ দেওয়া হবে না। চূড়ান্ত মার্জিন ঋণ নীতিমালায় এসব সুপারিশ করেছে পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মার্জিন রুলস- ১৯৯৯ যুগোপযোগী করার চূড়ান্ত সুপারিশ প্রসঙ্গে এসব তথ্য তুলে ধরেন পুঁজিবাজার টাস্কফোর্সের সদস্যরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং এর সিনিয়র পার্টনার এ এফ এম নেসার উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন এবং পুঁজিবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপের সদস্য প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এমডি এবং সিইও মো. মনিরুজ্জামান।
টাস্কফোর্সের সদস্যরা বলেন, পুঁজিবাজার অংশীজনদের সাথে আলোচনা করেই সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে টাস্কফোর্স। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর ৩ মাসের আগে মার্জিন ঋণ না দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে, মার্জিন নিয়ে শেয়ারবাজারে কারসাজি বন্ধ হবে। মার্জিন ঋণ নিয়ে সুশাসন না থাকায় বিপুল অংকের নেগেটিভ ইক্যুইটি সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে বিনিয়োগকারীর পাশপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পুঁজিবাজার। মিথ্যা তথ্য দিয়ে এবং মার্জিন খারাপ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি করা হয়েছে। যে কারণে অনেক বিনিয়োগকারী নিঃস্ব হয়ে গেছে। বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা টাস্কফোর্সের মূল্য উদ্দেশ্য।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন বলেন, অনেক স্টেকহোল্ডার দাবি করছেন তাদের সাথে বসা হয়নি। অথচ আমরা দেখলাম তাদের সাথে আমরা ৩ বারও বসে ফেলেছি। তবে কেন এরকম মিস কমিউনিকেশন। আমরা অংশীজনদের বাহিরেও যারা বাজার সম্পর্কে অভিজ্ঞ তাদের সাথেও আমরা বসেছি। এরপরেও যদি মনে হয় আমরা কিছু বাদ দিয়েছি বা গ্যাপ ছিল, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে জানালে তা আমরা যুক্ত করে দিব। তবে অংশীজনদের থেকে বেশি আমরা সাধারণ মানুষদের থেকে অনেক কিছু পেয়েছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন বলেন, প্রতিদিন পত্র-পত্রিকায় লেখা হচ্ছে নেগেটিভ ইক্যুইটি নিয়ে। যার কারণ বাজার অচল অবস্থায় চলে গেছে। সে অবস্থাটাকে মাথায় রেখে আমরা চিন্তা করেছি, এর অন্যতম কারণ হলো মার্জিন রুলস। কারণ মার্জিন রুলসটা যদি প্ল্যান করে দেওয়া হতো, গভর্নেন্সটা যদি সঠিক থাকতো, তাহলে এ ধরনের অবস্থা তৈরি নাও হতে পারতো। তাই মার্জিন রুলসকে আমরা টপ প্রায়োরিটি আইটেম ধরেছি। পৃথিবীতে মার্জিন রুলসকে শর্টটার্ম ওয়ে হিসেবে নেওয়া হয়। কোথাও কোথাও ১:৩/৪ রেশিওতে মার্জিন ঋণ দেওয়া হচ্ছে৷ এগুলা কিভাবে হয়েছে? এরপর বাজারে নেগেটিভ ইক্যুইটি ক্রিয়েট হয়েছে। আমরা চাচ্ছি এই জিনিসগুলোর যেন পুনরাবৃত্তি বাজারে না হয়। মার্জিন নিয়ে আর গ্যামব্লিং করা যাবেনা। মার্জিন নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেষ করে দেয়া হয়েছে। এতো পরিমাণ নেগেটিভ ইক্যুইটি না থাকলে বাজারের আজ এই পরিস্থিতি হতো না।
হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং এর সিনিয়র পার্টনার এ এফ এম নেসার উদ্দীন বলেন, আমাদের কাজে সহযোগিতা করেছে ফোকাস গ্রুপ। মূল কাজ করেছে টাস্কফোর্স। আমরা কাজ করতে যেয়ে পাবলিকের কাছ থেকে অনেক পরামর্শ পেয়েছি। স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকেও পেয়েছি, তবে পাবলিক থেকে পরামর্শ বেশি এসেছে। এটা খুব ভালো বিষয়। কারণ যত বেশি পরামর্শ আসবে, আমরা তত বেশি রিফাইন করার সুযোগ পাব।
সংবাদ সম্মেলনে একটি উপস্থাপনায় পুঁজিবাজার সংস্কার ফোকাস গ্রুপের সদস্য প্রাইম ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের এমডি এবং সিইও মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আজকে আমার খুবই ভালো লাগছে যে, এই প্রথম বাংলাদেশে আইনি ফরমেশন করতে যাচ্ছি, যেখানে ব্রেইন স্টর্মিং ড্রাফটিং হয়েছে গ্রাউন্ড লেভেল থেকে। এ মার্কেটে যারা কাজ করেন, তাদের আইডিয়াগুলো নিয়েই ড্রাফট করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা বিএসইসির ওয়ার্কিং টিমের সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম। এছাড়া মার্কেটের বড় বড় স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের কাছ থেকে লিখিত প্রস্তাব নিয়ে মার্জিন রুলস- ১৯৯৯ যুগোপযোগী করার চূড়ান্ত সুপারিশ তৈরি করেছি।
এর আগে গত বছরের ৭ অক্টোবর বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ স্বাক্ষরিত আদেশে ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ গঠন করা হয়। গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান, হুদা ভাসি চৌধুরী অ্যান্ড কোং এর সিনিয়র পার্টনার এ এফ এম নেসার উদ্দীন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তফা আকবর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন।
ঢাকা/এনটি/ফিরোজ