৯ গোল করে কোয়ার্টার ফাইনালে আর্সেনাল
Published: 13th, March 2025 GMT
দুই লেগ মিলিয়ে পিএসভি আইন্দহোফেনকে ৯-৩ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আর্সেনাল। বুধবার (১২ মার্চ, ২০২৫) দিবাগত রাতে শেষ ষোলো’র ফিরতি লেগের ম্যাচে পিএসভির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে গার্নার্সরা।
গত সপ্তাহে প্রথম লেগে আর্সেনালের ৭-১ গোলের জয়ের পর এই ম্যাচটি কেবল আনুষ্ঠানিকতা ছিল। তারপরও ম্যাচের পাঁচ মিনিটের মাথায় ওলেক্সান্দ্র জিনচেঙ্কো দুর্দান্ত এক শটে গোল করে যখন দলকে এগিয়ে নেন, তখন পিএসভি আরেকটি বড় হারের শঙ্কা জেগেছিল।
তবে ১৮ মিনিটে ইভান পেরিসিচ চমৎকার ফিনিশিংয়ে গোল করে পিএসভিকে সমতায় ফেরান। প্রথমার্ধের বিরতির আগে রহিম স্টার্লিংয়ের নিখুঁত ক্রস থেকে ডেক্লান রাইস হেডে গোল করে আর্সেনালকে আবারও এগিয়ে দেন।
আরো পড়ুন:
৪২ বছর পর কোয়ার্টার ফাইনালে অ্যাস্টন ভিলা
রুদ্ধশ্বাস লড়াই জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল
তবে দ্বিতীয়ার্ধে অনেক ভালো খেলে পিএসভি। তার স্বীকৃতি হিসেবে ৭০তম মিনিটে কৌহাইব দ্রিউয়েচের চিপ শটে গোল করে দলকে আবার সমতায় ফেরান। তাতে আর্সেনালের মাঠে হার এড়িয়ে সম্মান রক্ষা হয় নেদারল্যান্ডসের ক্লাবটির।
তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৯-৩ ব্যবধানের হার এড়াতে পারেনি। যা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে অন্যতম বড় জয়। ২০০৮-০৯ মৌসুমে স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে বায়ার্ন মিউনিখ ১২-১ ব্যবধানে জিতেছিল। যা নকআউট পর্বে সর্বকালের সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়। আর্সেনাল তাদের অধিকাংশ খেলোয়াড়কে এই ম্যাচে বিশ্রাম না দিলে হয়তো সেই রেকর্ডও ভেঙে দিতে পারত।
আর্সেনাল অবশ্য এই ম্যাচে একটি সমস্যায়ও পড়েছে। দুর্দান্ত খেলা স্টার্লিং হলুদ কার্ড দেখেছেন। সে কারণে আগামী মাসে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে খেলতে পারবেন না তিনি।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল চ য ম প য়নস ল গ আর স ন ল ক য় র ট র ফ ইন ল আর স ন ল ব যবধ ন গ ল কর প এসভ
এছাড়াও পড়ুন:
আপনি কি পিকক প্যারেন্ট? মিলিয়ে নিন বৈশিষ্টগুলো
সন্তান লালন–পালনের নানান ধারার কথা শোনা যায় আজকাল, তবে সব ধারাই শিশুর জন্য ইতিবাচক নয়। ‘পিকক প্যারেন্টিং’ এমন একটি ধারা। নিজের অজান্তেই হয়তো এই ধারার চর্চা করে সন্তানের ব্যক্তিত্বের বিকাশের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন আপনি। কারা পিকক প্যারেন্ট, কী তাঁদের বৈশিষ্ট্য, আর কীভাবেই–বা এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসা যায়, শিশু-কিশোর ও পারিবারিক মনোরোগবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক ও যুক্তরাজ্যের সিনিয়র ক্লিনিক্যাল ফেলো ডা. টুম্পা ইন্দ্রানী ঘোষের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক।
নার্সিসিস্ট বা আত্মপ্রেমী একজন মানুষ যখন সন্তান লালন–পালন করেন, তখন তিনিই হয়ে ওঠেন পিকক প্যারেন্ট। সন্তানকে সব জায়গায় সেরা দেখতে চান তিনি। সন্তান লালন–পালনের বিষয়ে নিজের ধারণার বাইরে যেতে চান না। অন্য কারও পরামর্শ গ্রহণ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে নিজেকেই গুরুত্ব দেন সবচেয়ে বেশি। ভাবেন, তিনিই সেরা। সন্তান লালন–পালনেও সেই ভাবনারই প্রতিফলন ঘটে। বুঝতেই পারছেন, নিজেকে জাহির করার প্রবণতা থাকে তাঁর মধ্যে। নিজের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য অন্যের কাছ থেকে প্রশংসা পেতে চান। অন্যের আবেগের গুরুত্ব খুব একটা থাকে না এ ধরনের মানুষের কাছে। অভিভাবক হিসেবে সন্তানের আবেগের চেয়ে সন্তানকে ‘সেরা’ হিসেবে দেখার প্রতিই জোর দেন তিনি। সাফল্যের জন্য অকারণ চাপ সৃষ্টি করেন তার ওপর। সন্তানকে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টাও করেন। সন্তানের সঙ্গে অন্য কারও সুসম্পর্ক দেখলে তাঁর হিংসাও হতে পারে।
সন্তানের ওপর যে প্রভাব পড়েসবেতেই ‘সেরা’ হওয়ার প্রত্যাশা পূরণ করা কঠিন। ফলে পিকক প্যারেন্টের সন্তান মানসিকভাবে বেশ চাপে থাকে। অত্যধিক চাপের কারণে হাসি-আনন্দমাখা ঝলমলে শৈশব থেকে সে বঞ্চিত হতে পারে। নিজের সাফল্যের বিষয়ে উদ্বেগ কাজ করতে পারে এমন সন্তানদের মধ্যে। অভিভাবকের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলে হীনম্মন্যতায় ভুগতে পারে সে। সন্তানের ব্যক্তিত্ব বিকাশের ওপরও পিকক প্যারেন্টিংয়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সংকীর্ণ গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকতে পারে তার ভাবনার জগৎ। তাই বড় হতে হতে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। এমনকি জীবনের প্রকৃত সৌন্দর্য থেকেই বঞ্চিত হতে পারে একজন পিকক প্যারেন্টের সন্তান।
আপনার সঙ্গী কি পিকক প্যারেন্ট?যদি আপনার সঙ্গীর মধ্যে পিকক প্যারেন্টের বৈশিষ্ট্য থাকে, তাহলে আপনার দায়িত্ব কিন্তু অনেক। একদিকে সঙ্গীকে সাবধানে ধরিয়ে দিতে হবে সন্তান লালন–পালনে তাঁর ভুলগুলো, অন্যদিকে আবার সন্তানের বিকাশ নিশ্চিত করতে তার কোমল মনের বাড়তি যত্নও নিতে হবে, কমাতে হবে তার মনের চাপ। তার ভাবনার জগৎটাকে বিস্তৃত করে দিতে হবে। তার মনের জানালাগুলো আপনাকেই খুলে দিতে হবে।
আরও পড়ুনহেলিকপ্টার প্যারেন্টিং কী, না জেনে সন্তানের ক্ষতি করছেন না তো?২৯ মার্চ ২০২৩নিজের ইচ্ছার চেয়ে সন্তানের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি