দুই লেগ মিলিয়ে পিএসভি আইন্দহোফেনকে ৯-৩ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে আর্সেনাল। বুধবার (১২ মার্চ, ২০২৫) দিবাগত রাতে শেষ ষোলো’র ফিরতি লেগের ম্যাচে পিএসভির সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে গার্নার্সরা।

গত সপ্তাহে প্রথম লেগে আর্সেনালের ৭-১ গোলের জয়ের পর এই ম্যাচটি কেবল আনুষ্ঠানিকতা ছিল। তারপরও ম্যাচের পাঁচ মিনিটের মাথায় ওলেক্সান্দ্র জিনচেঙ্কো দুর্দান্ত এক শটে গোল করে যখন দলকে এগিয়ে নেন, তখন পিএসভি আরেকটি বড় হারের শঙ্কা জেগেছিল।  

তবে ১৮ মিনিটে ইভান পেরিসিচ চমৎকার ফিনিশিংয়ে গোল করে পিএসভিকে সমতায় ফেরান। প্রথমার্ধের বিরতির আগে রহিম স্টার্লিংয়ের নিখুঁত ক্রস থেকে ডেক্লান রাইস হেডে গোল করে আর্সেনালকে আবারও এগিয়ে দেন।

আরো পড়ুন:

৪২ বছর পর কোয়ার্টার ফাইনালে অ্যাস্টন ভিলা

রুদ্ধশ্বাস লড়াই জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল

তবে দ্বিতীয়ার্ধে অনেক ভালো খেলে পিএসভি। তার স্বীকৃতি হিসেবে ৭০তম মিনিটে কৌহাইব দ্রিউয়েচের চিপ শটে গোল করে দলকে আবার সমতায় ফেরান। তাতে আর্সেনালের মাঠে হার এড়িয়ে সম্মান রক্ষা হয় নেদারল্যান্ডসের ক্লাবটির।

তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৯-৩ ব্যবধানের হার এড়াতে পারেনি। যা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে অন্যতম বড় জয়। ২০০৮-০৯ মৌসুমে স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে বায়ার্ন মিউনিখ ১২-১ ব্যবধানে জিতেছিল। যা নকআউট পর্বে সর্বকালের সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়। আর্সেনাল তাদের অধিকাংশ খেলোয়াড়কে এই ম্যাচে বিশ্রাম না দিলে হয়তো সেই রেকর্ডও ভেঙে দিতে পারত।

আর্সেনাল অবশ্য এই ম্যাচে একটি সমস্যায়ও পড়েছে। দুর্দান্ত খেলা স্টার্লিং হলুদ কার্ড দেখেছেন। সে কারণে আগামী মাসে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে খেলতে পারবেন না তিনি।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল চ য ম প য়নস ল গ আর স ন ল ক য় র ট র ফ ইন ল আর স ন ল ব যবধ ন গ ল কর প এসভ

এছাড়াও পড়ুন:

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল 

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

তবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নয়, পরের নির্বাচন থেকে এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়কে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে এই রায় দেন। খবর বাসসের।

আপিল বেঞ্চের অন্য ছয় বিচারপতি হলেন মো. আশফাকুল ইসলাম, জুবায়ের রহমান চৌধুরী, মো. রেজাউল হক, এস এম ইমদাদুল হক, এ কে এম আসাদুজ্জামান ও ফারাহ মাহবুব।

আজকের এই রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী পুনর্বহাল হয়েছে বলে জানান আইনজীবীরা।

বহুল আলোচিত এই আপিলে বিএনপির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। 

অন্যদিকে, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষে আপিল শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূইয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় ১৯৯৬ সালে। এ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম. সলিম উল্লাহসহ তিন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন।

২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপসহ বেশ কিছু বিষয়ে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। এরপর ২০১১ সালের ৩ জুলাই এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।

তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক ও এক ব্যক্তি আবেদন করেন।

সেই রিভিউ আবেদন থেকে আপিল শুনানির জন্য গত ২৭ আগস্ট লিভ মঞ্জুর করে ২১ অক্টোবর আপিল শুনানির দিন ধার্য করেন। পরবর্তী ১০ দিন এই আপিল শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন সর্বোচ্চ আদালত।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ