বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘ক্ষমতা আর মন্ত্রী-মিনিস্টার হওয়ার জন্য, পদ-পদবির জন্য রাজনীতি করি না। আমরা রাজনীতি করি দেশের মানুষের জন্য, জনগণের জন্য। সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা সততা ও গণতন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি।’ 
গতকাল শনিবার নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল শহর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা আইনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। কেউ যদি মনে করে রাজনীতিকে পুঁজি করে তারা ধনদৌলত ও সম্পদ আহরণ করবে, যেটা আওয়ামী লীগ সরকার করেছিল, তাহলে তাদের পরিণতিও আওয়ামী লীগের মতো হবে। আমরা সততা ও গণতন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি।’ 
মঈন খান বলেন, বিএনপির কোনো কমিটিতে যদি টাকার বিনিময়ে আওয়ামী দোসরদের আশ্রয় দেওয়া হয়, তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা ১৭ বছর ধরে আন্দোলন করেছি। এ সময় প্রায় ৫০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়েছে স্বৈরাচার সরকার। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার বুকের রক্তকে অসম্মান করা যাবে না। যদি কেউ অসম্মান করে, তবে আইনের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
এ সময় পলাশ উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ সাত্তারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূঁইয়া মিল্টন, সহসভাপতি আওলাদ হোসেন জনি, অ্যাডভোকেট কানিজ ফাতেমা, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকী, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ও পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলম মোল্লা প্রমুখ।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ষমত ব শ ব স কর র র জন ত ত গণতন ত র ব এনপ র র জন য উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন: আকবর খান

ঢাকা-৮ আসনে দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান। তিনি বলেন, “ভোটের অধিকার জনগণের পবিত্র আমানত, এটি সচেতনভাবে প্রয়োগ করতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা জননেতা সাইফুল হক-এর ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।

গণসংযোগের শুরুতে ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা হয়। 

সেখানে আকবর খান বলেন, “নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে অবিলম্বে ভোটের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে—২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে—ঢাকা-৮ আসনের বহু নাগরিক ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যে তরুণের এখন বয়স ২৫ বা ২৬, তারা কখনো ভোট দিতে পারেনি, ভোট কী তা জানে না- এটি গণতন্ত্রের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।”

তিনি আরো বলেন, “গত ১৬-১৭ বছর ধরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমাদের নেতা সাইফুল হক জনগণের ভোটাধিকারের আন্দোলনে রাজপথে সংগ্রাম করে আসছেন। এর জন্য জেল-জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেও তিনি থেমে থাকেননি। ভোটাধিকার গণমানুষের দীর্ঘ লড়াই ও ত্যাগের ফসল। এই অধিকার ভুল ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।”

আকবর খান বলেন, “জননেতা সাইফুল হক গণমানুষের পরীক্ষিত নেতা। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের জনগণ যেন তাকে ভোট দিয়ে নিজেদের সুখ-দুঃখ, চাওয়া-পাওয়ার কথা ও দীর্ঘ বঞ্চনার ইতিহাস সংসদে তুলে ধরার সুযোগ করে দেন- এটাই আমাদের আহ্বান।”

গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকা থেকে শুরু হয়ে মতিঝিল, কমলাপুর, ফকিরাপুল, কালভার্ট রোড হয়ে বিজয়নগরে এসে শেষ হয়। এতে শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সিকদার হারুন মাহমুদ, মীর রেজাউল আলম, কবি জামাল সিকদার, ফাইজুর রহমান মুনির, বাবর চৌধুরী, মহানগর নেতা যুবরান আলী জুয়েল, সালাউদ্দিন, রিয়েল মাতবর, আরিফুল ইসলাম, মুজিবুল হক চুন্নু, গোলাম রাজিব, মাহমুদুল হাসান খান, ফয়েজ ইবনে জাফর, নান্টু দাস, শিবু মহন্ত ও হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

ঢাকা/এএএম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাই প্রায় চূড়ান্ত: তারেক রহমান
  • গণতন্ত্রের পথে সংকট দেখছেন তারেক
  • এমন তো হবার কথা ছিল না: তারেক রহমান
  • সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন জাতির দাবি
  • জনগণের বৃহত্তর ঐক্য ছাড়া এই ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার পতন হবে না: সাকি
  • দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন: আকবর খান