এনসিপি, অন্তর্বর্তী সরকার ও সম্ভাব্য জটিলতা
Published: 17th, March 2025 GMT
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতি মানুষের প্রত্যাশা যেমন বিপুল, তেমনি আলোচনা-সমালোচনাও হচ্ছে প্রচুর। শেখ হাসিনার একনায়কতান্ত্রিক শাসনকে পরাজিত করে নতুন দিনের সূচনাকারী যে ছাত্র-জনতা; তাদের গঠিত রাজনৈতিক দল ঘিরে নাগরিকদের আকাঙ্ক্ষা ডানা মেলাই স্বাভাবিক। কিন্তু জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির মূল নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী ছাত্ররা যুক্ত থাকলেও জনতার দেখা নাই কোনো কমিটিতে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান; কিন্তু ছাত্রদের বাইরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার জনতার প্রতিনিধিত্ব না থাকাটা বড় প্রশ্নচিহ্ন হিসেবে রয়ে গেল। স্বৈরাচারী সরকারের পতনের ক্ষেত্রে ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় ঐক্য ও যূথবদ্ধতার মূল চেতনা থেকে সরে আসার নমুনা চারপাশে; শুধু ছাত্রদের সমন্বয়ে গঠিত রাজনৈতিক দল কি তারই একটি?
আরও প্রশ্ন আছে। এক মাসের কম সময়ের মধ্যে এনসিপি নেতৃবৃন্দ রাজধানীতে সুরম্য কার্যালয়ে বসে দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা করছেন; পাঁচতারকা হোটেলে জমকালো ইফতার মাহফিলের আয়োজন করছেন, এদিক-ওদিক যেতে বিলাসবহুল গাড়ি, এমনকি হেলিকপ্টার ব্যবহার করছেন। এই বিপুল অর্থের উৎস কী? নিশ্চয়ই শুভানুধ্যায়ীদের অংশগ্রহণ, গণচাঁদা, স্পন্সরশিপ। সাত মাস আগেও যে তরুণেরা চাঁদা তুলে হাজারখানেক টাকার মাইক ভাড়া করে লাখ লাখ ছাত্র-জনতাকে রাস্তায় নেতৃত্ব দিয়েছেন; আজ তাদের অনুষ্ঠান পাঁচতারকা হোটেল ছাড়া হবে না? প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এনসিপির তবে পার্থক্য থাকল কোথায়? কেন ধনীরা তাদের অকৃপণ চাঁদা দিচ্ছে? এই অনুরাগ তারা বরাবরই আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতসহ বড় দলগুলোকে দেখিয়ে এসেছে; এখন এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে এনসিপি। তাহলে আদর্শ, বিবেচনাবোধ কিংবা পক্ষ-প্রতিপক্ষ কোথায় থাকে আর! আজ যে চাঁদার ফাঁদে পড়ছে এনসিপি; তাতে স্বার্থের গাঁটছড়া বাঁধা হয়ে যাচ্ছে, যেমন ছিল বা আছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর। সরকারি আনুকূল্য থেকেও তাদের দূরে থাকা সংগত। নইলে ‘কিংস পার্টি’ অভিধা থেকে মুক্তি মিলবে না।
দলীয় আদর্শ বা নীতির স্পষ্ট অবস্থান এনসিপির এগিয়ে চলবার জন্য জরুরি। ডান ও বাম উভয় ধারার কর্মীদের অংশগ্রহণে দলটি তৈরি বলে তারা আপাত মধ্যপন্থি ধরনের মনোভাব প্রকাশ করছে। কখনও ডান ধারার প্রভাবও দেখা যাচ্ছে। এভাবে দোদুল্যমান আদর্শ রাজনৈতিক দলের বিকাশে অন্তরায়। দিন কয়েক আগে টেলিভিশন অনুষ্ঠানে নেত্রী সামান্তা শারমিনকে দেখা গেল। উপস্থাপক খালেদ মুহিউদ্দীনের ‘নারী ও পুরুষের সমান অধিকার নিয়ে আপনার দলের অবস্থান কী?’– এ প্রশ্নের উত্তর সরাসরি তিনি দিতে পারলেন না। নানা কথার মারপ্যাঁচে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের বিষয়টি অস্পষ্টই রয়ে গেল।
নারীদের প্রবল উপস্থিতি ও নেতৃত্বে যে দুর্বার আন্দোলন গড়ে উঠল মাত্র সাত মাস আগে জুলাইতে; তার ঘন বারুদ ও অশ্রুর কণা উড়ে যাওয়ার আগেই সামান্তা শারমিনের মতো নেত্রী নারী-পুরুষের সমান অধিকার সম্পর্কে সরাসরি কথা বলতে পারছেন না। এর নাম তবে রাজনীতি! হায়!
২.
সংবিধান ও সংস্কার প্রশ্নেও সুদূরপ্রসারী চিন্তার প্রকাশ দেখা যাচ্ছে এনসিপিতে। সংবিধান বদল করে গণপরিষদ ভোট অনুষ্ঠানের প্রস্তাবনা নিয়ে তারা এগোচ্ছেন। তারা এই ভাবনা ভাবতেই পারেন, তবে তা কতখানি বাস্তবসম্মত ও প্রয়োজনীয়, সেটি নির্ণয়ও জরুরি। দেশের মানুষের সামনে প্রধান সমস্যাগুলো কী? কেন তারা শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসনে অস্থির হয়ে রাজপথে নেমে এলো? বৈষম্যপীড়িত সমাজে মৌলিক চাহিদাগুলোই সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে নাই। দেশের স্বাস্থ্য সুবিধা থেকে ব্যাংকিং খাত বা শিক্ষা– সবই ধনীদের জন্য, তৃণমূলে এসবের কোনো সুবিধার চিহ্নমাত্র নাই। বড় বড় প্রকল্পের নামে উন্নয়নের গালগল্পে নিজের স্বজন-পরিজন ও দলীয় লোকজনের ভান্ডার স্ফীত করার যে সংস্কৃতি; তাতে বঞ্চিত হয়েছে দেশের অধিকাংশ মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত। রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেছে কালো টাকা। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি, জবাবদিহির অভাবে ভেঙে পড়েছে সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। ব্যক্তি, বাক ও মানবাধিকার– কোনো পর্যায়ের অধিকার মানুষের নিজের থাকেনি; সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রিত হয়েছে সরকারি অঙ্গুলি হেলনে।
এসব জনসমস্যা সমাধানে সংবিধান পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে না; প্রয়োজন জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক সরকার। এ জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন। আর নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন বর্তমান দায়িত্বরত সরকারের সদিচ্ছা। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো সংস্কার, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি কর্তৃপক্ষ যাতে কোনো পক্ষের হয়ে কাজ করতে না পারে, তার আইন তৈরি ও সেটি প্রয়োগ। সেই সঙ্গে ভবিষ্যৎ সরকার যাতে আবার একদলীয় না হয়ে ওঠে এবং একনায়কতন্ত্র চাপিয়ে দিতে না পারে, তার ন্যূনতম কাঠামো প্রস্তুত করা। এসব কাজে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য স্থাপন দ্রুততম সময়ে আদায় করাও বর্তমান সরকারের দায়িত্ব।
৩.
গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল দেশ পরিচালনার দায়িত্বে না থাকলে সেখানে যেমন জবাবদিহি উপেক্ষিত হয়; একইভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকে। বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল নানাভাবে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করে। দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক। এর ধারাবাহিকতায় মব সন্ত্রাস, নারী ও শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন, নারীবিরোধী কর্মকাণ্ড, ছিনতাই-রাহাজানি-খুনসহ বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক আচরণ অব্যাহতভাবে চলছে। এর মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের আচরণ ও উচ্চারণ অনেক ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও অসহনীয় করে তুলছে।
ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী ১৫ মার্চ গণমাধ্যমে ‘ধর্ষণ’ শব্দটি ব্যবহার না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এর বদলে তিনি ‘নারী নির্যাতন’ বা ‘নারী নিপীড়ন’ শব্দ ব্যবহারের অনুরোধ করেছেন। তিনি ‘রিজনেবল’ করে বিষয়টিকে দেখাতে বলেছেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদন জানিয়েছে, গত ১০ বছরে সাড়ে ৫ সহস্রাধিক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। চলতি আন্দোলন-প্রতিবাদের মধ্যেই তিন জেলায় পাঁচ শিশুকে ধর্ষণ বা ধর্ষণচেষ্টা করা হয়েছে। এর মধ্যে ডিএমপি কমিশনার বলছেন সাংবাদিকদের রিজনেবল হতে! একই প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘একটা জিনিস বুঝতে হবে, ধর্ষণ কিন্তু ব্যক্তি ও পারিবারিক ক্ষেত্রের একটা অপরাধ। ধর্ষণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের একটাই দায় হতে পারে, রাষ্ট্র যদি গ্রেপ্তার ও বিচার না করে’ (প্রথম আলো, ১৪ মার্চ ২০২৫)।
না, মাননীয় আইন উপদেষ্টা। ধর্ষণ ব্যক্তি বা পারিবারিক ক্ষেত্রের অপরাধ হলেও এর মূল শিকড় বৃহত্তর সামাজিক পরিসরে প্রোথিত, যা মূলত নিয়ন্ত্রণ করে রাজনীতি। রাজনৈতিক মূল্যবোধ সামাজিক মূল্যবোধকে প্রভাবিত করে। দেশে ভঙ্গুর মূল্যবোধের ছাপ আমরা দেখি নারীর প্রতি পুনঃপুনঃ আক্রমণাত্মক কথা ও আচরণে। পাড়া-মহল্লায়, মাঠে, ওয়াজ মাহফিলে, শ্রেণিকক্ষে, রাস্তায়, বাজারে নারীর প্রতি কটূক্তি প্রায় স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসবের কোনো একটিকে ‘অন্যায়’ বলে ন্যূনতম শনাক্তটুকুও করছে না বর্তমান সরকার। এসবের ফল দাঁড়াচ্ছে– লাগামহীন ধর্ষণকাণ্ড। সরকারকে নারীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গারের বিপক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে; একইভাবে বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি তাদের অনুরাগ থাকতে পারবে না। যদি জাতীয় নাগরিক পার্টি বা অন্য কোনো দলের প্রতি বর্তমান সরকারের আনুকূল্য দৃশ্যমান হয়ে ওঠে, তবে আগামী নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়েও জটিলতা দেখা দেবে।
মাহবুব আজীজ: উপসম্পাদক, সমকাল ও সাহিত্যিক
mahbubaziz01@gmail.com
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এনস প ছ ত র জনত পর স থ ত সরক র র র জন য অন ষ ঠ এনস প জনত র
এছাড়াও পড়ুন:
তুলশীগঙ্গার তীরে সন্ন্যাসতলীর শতবর্ষী ঘুড়ির মেলা
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রাম ঘেঁষে তুলশীগঙ্গা নদীর অদূরে সন্ন্যাসতলীর বটতলা। জায়গাটিতে প্রায় একশ বছর আগে থেকে বাংলা জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ শুক্রবার আয়োজন হয় ঘুড়ির মেলা। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। অন্তত ৫০ গ্রামের হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে শুক্রবার সন্ন্যাসতলী ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মেলার দিনক্ষণ মনে রেখে সময়মতো দোকানিদের পাশাপাশি দর্শনার্থীরা ভিড় জমান নিভৃত পল্লীতে। আগে মেলার দিন বৃষ্টি হওয়া যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে। প্রচণ্ড গরম ও তাপপ্রবাহের মধ্যেই চলে এ আয়োজন। বৈরী পরিবেশের কারণে উৎসবের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দারা বলছেন, সন্ন্যাসতলীর এ ঘুড়ি উৎসব শুরুর দিন বিকেলে বটতলায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় সন্ন্যাস পূজা পালন করেন। তাদের এ পূজা-অর্চনা ঘিরেই মূলত এ মেলার উৎপত্তি। তবে শুরুর কথা কেউ বলতে পারেননি। প্রবীণরা শুধু জানেন, একশ বছরের বেশি সময় ধরে তারা এ মেলার আয়োজন দেখে আসছেন।
মেলার নিজস্ব জায়গা না থাকলেও এর ব্যাপ্তি প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই এক দিনের এ মেলা ঘিরেই জেলার জামালগঞ্জ চারমাথা থেকে ঐতিহাসিক আছরাঙ্গাদীঘি পর্যন্ত রকমারি পণ্যের দোকান বসে। এখান থেকে সংসারের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন আসবাব থেকে শুরু করে ছোট মাছ ধরার বাঁশের তৈরি পণ্য খলসানি, টোপা, ডালা, চালুন কিনে নেন অনেকে।
সুতার তৈরি তৌরা জাল, গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, বিভিন্ন ধরনের খেলনা, মিষ্টান্ন, প্রসাধনী, মাটির তৈজসপত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি হয়। শিশুদের বিনোদনের জন্য ছিল নাগরদোলার ব্যবস্থাও। আর মেলার বড় আকর্ষণ ঘুড়ি ওড়ানো ও বিক্রি। পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা এসেছিলেন ঘুড়ি বিক্রি করতে।
প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি তেমন হাওয়া-বাতাস না থাকায় এবার ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা সেভাবে জমে ওঠেনি। তবে ঘুড়ি বেচাকেনা ও শিশু-কিশোরদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। এ উপলক্ষে আসা হাজার হাজার দর্শনার্থীর নিরাপত্তার জন্য মেলায় সার্বক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল ছিল।
আদমদীঘির শিববাটি গ্রামের ঘুড়ি ব্যবসায়ী সালাম হোসেনের ভাষ্য, সন্ন্যাসতলীর মেলা বড় হওয়ায় তিনি এসেছেন ঘুড়ি বিক্রির জন্য। মেলায় প্রত্যাশা অনুযায়ী ঘুড়ি বিক্রি করতে পেরে তিনি খুশি। জয়পুরহাটের পার্বতীপুর এলাকার ঘুড়ি ব্যবসায়ী মফিজ উদ্দিন ও মজনু সরদার বলেন, পূর্বপুরুষের আমল থেকে এ মেলার কথা শুনে আসছেন তারা।
মেলা উদযাপন ও পূজা কমিটির সদস্য মহব্বতপুর গ্রামের মন্টু মণ্ডল বলেন, মেলাটি হিন্দু সম্প্রদায়ের হলেও এটি আসলে সব ধর্মালম্বীর মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মিলন হোসেনের ভাষ্য, এক দিনের আয়োজনে যে এত লোকের সমাগম হতে পারে, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। মেলায় যেন অনৈতিক কর্মকাণ্ড না হয়, সে ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ক্ষেতলাল থানার ওসি মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং মেলায় আসা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসন সতর্ক আছে। মেলায় অনৈতিক আচরণ লক্ষ্য করা গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।