শজনের ডাঁটায় নুয়ে পড়েছে একেকটি গাছ। চৈত্রের রোদে পাহাড়জুড়ে ঝলমল করছে শজনের বাগান। ডাঁটা তোলার কাজে ব্যস্ত শ্রমিকেরা। ডাঁটা সংগ্রহ, বাছাই মাপ দেওয়াসহ নানা কাজে তিন কিলোমিটারজুড়ে চলছে কর্মচাঞ্চল্য। রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নে উত্তর দেবতাছড়ি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, শজনের এমন সারি সারি বাগান।
শুধু দেবতাছড়ি নয়, পাশে ছোট পাগলী, বড় পাগলী ও দক্ষিণ দেবতাছড়ি গ্রামেও পাহাড়জুড়ে চলছে শজনের চাষ। রাঙামাটি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি শজনে চাষ হয় কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নে। দেবতাছড়ি গ্রামে ৭২টি পরিবার বসবাস করে। এর মধ্যে ৯০ শতাংশ পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস শজনের চাষ।
নিজের বাগানের শজনে সংগ্রহ করে বাজারে নিয়ে যাচ্ছেন দুই নারী। সম্প্রতি রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইয়ের দেবতাছড়ি গ্রাম থেকে তোলা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাছের সঙ্গে গলায় কাপড় প্যাঁচানো প্রতিবন্ধী ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ইঞ্জিনচালিত ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের সোনাচুনি বিলের মধ্যে সড়কের পাশে একটি গাছের সঙ্গে গলায় কাপড় প্যাঁচানো অবস্থায় পুলিশ ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করে।
ওই ভ্যানচালকের নাম লিমন শেখ (২৫)। তিনি উপজেলার বুইকারা গ্রামের কাসেম শেখের ছেলে। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। চার ভাইয়ের মধ্যে লিমন শেখ বড়। শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও তিনি ইঞ্জিনচালিত ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন।
এলাকাবাসীদের কয়েকজন জানান, আজ সকালে উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের সোনাচুনি বিলের মধ্যে সড়কের পাশে একটি গাছের সঙ্গে বসা অবস্থায় লিমন শেখের গলায় কাপড় প্যাঁচানো ছিল। স্থানীয় কয়েকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে অভয়নগর থানা ও পাথালিয়া পুলিশ ক্যাম্প থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলীম বলেন, লিমন শেখ শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। তিনি ইঞ্জিনচালিত ভ্যানচালক ছিলেন। তাঁর গলায় দাগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভ্যান ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও ভ্যানটি উদ্ধারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।