ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে তৃতীয় ব্যাচে প্রফেশনাল ইন এমএস মনোবিজ্ঞান প্রোগ্রামে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ অনলাইন ও অফলাইন পদ্ধতিতে।

ভর্তির যোগ৵তা

১. আবেদনকারীকে যেকোনো বিভাগ থেকে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।

২.

ব্যাচেলর বা সমমান (তিন বছরের বিএ/বিকম/বিএসসি) পরীক্ষায় সিজিপিএ ২.৫০ (৪–এর মধ্যে) পেতে হবে।

৩. এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ৩.০ ( ৫ পয়েন্টের মধ্যে) থাকতে হবে।

আরও পড়ুনবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত বিষয়ের বাইরের বিষয় পড়াশোনার সুযোগ বন্ধের উদ্যোগ২০ মার্চ ২০২৫অফলাইন পদ্ধতি

অফলাইন পদ্ধতিতে আবেদনের ক্ষেত্রে জনতা ব্যাংক পিএলসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস করপোরেট শাখা, হিসাব: Professional MS in Psychology Admission, হিসাব নম্বর: 0100267530593-এ আবেদন ফি জমা প্রদান করে, জমা রসিদের মূলকপি এবং এক সেট ফটোকপি জমা দিয়ে টেকনিক্যাল অফিসারের কাছ থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করা যাবে। প্রার্থীর নিজ হাতে পূরণ করে আবেদনপত্রের সঙ্গে আবেদন ফরমে উল্লিখিত কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

অনলাইন পদ্ধতি

মনোবিজ্ঞান বিভাগের ওয়েবসাইটের নোটিশ বোর্ড থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করা যাবে। এ আবেদন ফরমটি নিজ হাতে যথাযথভাবে পূরণ করে বিভাগের ই-মেইল ঠিকানায় ([email protected]) পাঠাতে হবে। অনলাইনে আবেদনপত্রের সঙ্গে টাকা জমা দেওয়ার রসিদের স্ক্যান কপি পাঠাতে হবে। স্ক্যান কপির ওপর শিক্ষার্থীর পূর্ণ নাম লিখতে হবে।

আরও পড়ুনপেছাল গণিত পরীক্ষা, এসএসসি-২০২৫-এর নতুন রুটিন প্রকাশ১৯ মার্চ ২০২৫প্রবেশপত্র সংগ্রহ

অফলাইনে আবেদনকারীরা বিভাগীয় অফিসে এসে পূরণ করে আবেদন ফরম, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ছবি জমা দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রবেশপত্র কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদনকারীরা বিভাগীয় অফিসে এসে আবেদন ফরমে উল্লিখিত কাগজপত্র, টাকা জমা দেওয়ার রসিদের মূল কপি ও ছবি জমা দিয়ে বিভাগীয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রবেশপত্র কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।

আরও পড়ুনবাউবিতে এলএলবি কোর্স, সব শাখার শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ১৮ মার্চ ২০২৫ভর্তি পরীক্ষার বিষয়

পরীক্ষায় এমসিকিউ ও রচনামূলক দুই ধরনের প্রশ্ন থাকবে। মনোবিজ্ঞান পরিচিতি ২৫, গবেষণা পদ্ধতি ও মৌলিক পরিসংখ্যান ২৫, ইংরেজি ২৫, মৌখিক পরীক্ষা ২৫। মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০।

ভর্তির বিস্তারিত তারিখ

১. আবেদনপত্র গ্রহণ ও জমার শেষ তারিখ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫

২. লিখিত পরীক্ষার তারিখ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, সকাল ৯টা থেকে ১০টা

৩. মৌখিক পরীক্ষার তারিখ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫

৪. ফলাফল প্রকাশের তারিখ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫

৫. ওরিয়েন্টেশন ও ক্লাস শুরুর তারিখ: ১০ মে ২০২৫

বিস্তারিত তথ্য জানতে:

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মন ব জ ঞ ন পর ক ষ য়

এছাড়াও পড়ুন:

নবীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ফলাফল বিপর্যয়ের নেপথ্যে.........

বন্দরের নবীগঞ্জ গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের সুনাম নষ্টে একের পর এক অপকর্ম করে চলেছে নবগঠিত এডহক কমিটির বিতর্কিত সদস্য ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমন।

নিয়ম বহির্ভূতভাবে এসএসসি ফেল সন্তানের অভিভাবক হিসেবে সদস্য হওয়ার পর থেকে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে এই সুমন। ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের সুনাম নষ্ট করার লক্ষ্যে একের পর অপপ্রচার করে চলেছে সে। 

জানা গেছে, ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার আগে টেস্ট পরীক্ষায় ১০ম শ্রেণী ৬৮ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিষয়ে ফেল করে বা অকৃতকার্য হয়। যার প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সায়মা খানম ঐ শিক্ষার্থীদেরকে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনে বাধা প্রদান করেন।

তখন তিনি বলেছিলেন, তোমরা আরও ভালো করে পরীক্ষার প্রিপারেশন নিয়ে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিও। এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীণ সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলও এই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহন করার অনুমতি দেননি। যার ফলশ্রুতিতে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষও তাদেরকে অনুমতি প্রদান করেননি। 

কিন্তু, বর্তমান এডহক কমিটির বিতর্কিত সদস্য এবং বিগত কমিটিরও সদস্য ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমন অনেকটা জোরপূর্বকভাবে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও অধ্যক্ষ্যের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে ৬৮ শিক্ষার্থীকে নিজ জিম্মায় পরীক্ষায় অংশগ্রহনের অনুমতি দেন।

যার সুস্পষ্ট প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। সুমনের একগুয়ে সিদ্ধান্তের কারণে ঐ ৬৮ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৭ জন শিক্ষার্থীই ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষা ফেল করে, যেখানে সুমনের নিজের সন্তানও রয়েছে। 

তবে, বিতর্কিত এই সুমন পুনরায় এডহক কমিটির সদস্য হওয়ার পর থেকে এখন নিজেকে সাধু প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের এক ব্যক্তির স্ট্যাটাসে নবীগঞ্জ গার্লস স্কুলের খারাপ রেজাল্টের দায় প্রধান শিক্ষক তথা অধ্যক্ষের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করে সে।

ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমন তার ফেসবুক আইডি থেকে ঐ স্ট্যাটাসে যে কমেন্ট করেছেন তা তুলে ধরা হলো, সুমন লিখেছেন, বন্দর থানায় ২৩ টি বিদ্যালয় রয়েছে তার মধ্যে ২০ তম হয়েছে নবীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ। তার কারণ অযোগ্য প্রধান শিক্ষিকা, অশিক্ষিত সভাপতির কারণে দিন দিন বিদ্যালয়টি ধংশ হয়ে যাচ্ছে। আরো একটি কমেন্টে একটি ছবি পোষ্ট করে সেখানে বিদ্যালয়ের ২০তম হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে সে। 


এদিকে, সুমনের এমন কান্ডে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পুরো বন্দর উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবকরা বলছেন, চোরের মায়ের বড় গলা। টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করা শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ করে দেয়া সুমন এখন নিজে সাধু সাজার চেষ্টা করছে। এবং প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষিকা ও সাবেক সভাপতির উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে। 

অভিভাবকরা আরও বলছে, নিজের দোষ ঢাকতে সুমন এমন চতুরতার আশ্রয় নিচ্ছে। মূলত বিদ্যালয়ের পাশের হার কম হওয়ার পিছনে সুমনই দায়ী। যা এই বিদ্যালয়ের বিগত ৫ বছরের এসএসসি পরীক্ষার পাশের হারের দিকে তাকালেই দেখা যায়। যেখানে অন্যান্য বছর ৮০ থেকে ৯৮ পারসেন্ট ছিলো পাশের হার, সেখানে সুমনের একগুয়ে সিদ্ধান্তের কারণে ২০২৪ সালে পাশের হার নেমে আসে ৬৫ পারসেন্টে। 

কিভাবে এই এডহক কমিটির সদস্য হলেন তা জানতে চাইলে অভিযুক্ত সুমন বলেন, ০৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে একটি গেজেট প্রকাশিত হয়েছে যেখানে বলা আছে, ইউএনও চাইলে যে কাউকে এডহক কমিটিতে সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করতে পারেন। 


গত বছরের ফেল করা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ করে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ছিলো ১১ জন, আমি একা কিভাবে করবো? সেখানে আপনার স্বাক্ষর আছে উল্লেখ করা হলে সুমন আমতা আমতা করেন। পরবর্তীতে তিনি বলেন, আমার স্বাক্ষর নকল করা হয়েছে।

সেই কমিটির সভাপতি ছিলো সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, তাকে বাইলট করে আমি কিভাবে সুযোগ দিতে পারি? কিন্তু পরীক্ষায় অংশগ্রহনের অনুমতি পত্রে সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল এবং প্রধান শিক্ষিকার কোনো স্বাক্ষর ছিলো না এমন তথ্য আমাদের কাছে আছে, জানালে তিনি ফোন কেটে দেন। 

অপরদিকে, ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমন কিভাবে এডহক কমিটির সদস্য হলো এমন প্রশ্ন করা হলে বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি নিয়মবহির্ভূত কিছু হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 

উল্লেখ্য, শুরু থেকেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে নবীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের এডহক কমিটি। গত ১১ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চার সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেয়। এই এডহক কমিটিতে অভিভাবক সদস্য হিসেবে ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমন নামের একজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমন নামের ওই ব্যক্তি ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করা এক শিক্ষার্থীর বাবা। অকৃতকার্য শিক্ষার্থী হিসেবে তার সন্তান এ বছর আবারও এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। একাধিক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিদ্যালয়ের নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করে কিভাবে একজন দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবককে এডহক কমিটির সদস্য করা হলো, তা বোধগম্য নয়।

এখানে পুরোপুরি অযৌক্তিকভাবে এবং আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমনকে সদস্য করা হয়েছে। তার উপর সেই শিক্ষার্থী গত বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। অভিভাবকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং অবিলম্বে তারা এই বিতর্কিত কমিটি ভেঙ্গে দিতে শিক্ষা অফিসার, ইউএনও, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এবং জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নবীগঞ্জ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ফলাফল বিপর্যয়ের নেপথ্যে.........
  • বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির বৃত্তি, পাবে নবম থেকে দ্বাদশের শিক্ষার্থীরা
  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসিতে মাস্টার্স, মেয়াদ এক বছর
  • দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ৮ শিক্ষককে অব্যাহতি
  • আলিম পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণ ৫ দিন
  • জয়পুরহাটে পুকুর নিয়ে প্রভাবশালীদের সঙ্গে গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের দ্বন্দ্ব
  • সিনিয়র স্টাফ নার্সের মৌখিক পরীক্ষার সংশোধিত সূচি প্রকাশ
  • পরীক্ষার দিন বাদ দিয়ে নিয়মিত ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ
  • বিটিসিএলে ১৩১ পদে নিয়োগ, নবম-দশম গ্রেডে চাকরি করতে চাইলে করুন আবেদন
  • এসএসসি পরীক্ষা-২০২৫: রসায়ন বিষয়ে এ‍+ পেতে ১২ পরামর্শ