জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের তিন নেতাকে কারণ দর্শনোর নোটিশ
Published: 27th, March 2025 GMT
শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের তিন যুগ্ম আহ্বায়ককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন এই নোটিশ দিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয় সুমন সরদার, রাশেদ বিন হাকিম ও ওমর ফারুক—এই তিন যুগ্ম আহ্বায়ককে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।
২২ মার্চ আজমেরী পরিবহনের কাউন্টার দখল ও চাঁদা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বাসমালিকদের মারধর করার অভিযোগ আসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের দ্বিতীয় যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদারের বিরুদ্ধে। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংসদ।
সর্বশেষ ২৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় চাঁদাবাজি ও দোকান দখলের অভিযোগ ওঠে রাশেদ বিন হাসিম ও ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের ভিত্তিকে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সংগঠনটি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র
এছাড়াও পড়ুন:
জ্যেষ্ঠ হামাস নেতা রায়েদ সাদকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
ফিলিস্তিনের গাজা নগরীতে গাড়িতে হামলা চালিয়ে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা রায়েদ সাদকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। তবে হামাসের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়নি।
এদিকে এই হামলাকে ‘ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি নস্যাৎ করার অপচেষ্টা’ হিসেবে উল্লেখ করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ গাজায় বিস্ফোরণে কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা আহত হওয়ার জবাবে রায়েদ সাদের ওপর হামলার নির্দেশ দেন।
অবশ্য নেতানিয়াহুর দপ্তরের বিবৃতিতে হামলায় সাদ নিহত হয়েছেন কি না, তা উল্লেখ করা হয়নি। তবে ইসরায়েলের বিভিন্ন গণমাধ্যম তাঁর নিহত হওয়ার খবর দিচ্ছে।
পরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে রায়েদ সাদকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের সহযোগিতা নিয়ে এ হামলা চালানো হয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, হামাস সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে নিজেদের ‘সক্ষমতা পুনরুদ্ধার ও শক্তি সঞ্চয়ের’ চেষ্টা করে আসছে। সাদ ছিলেন গাজায় বেঁচে থাকা হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একজন এবং সংগঠনটির সামরিক শাখার উপপ্রধান মারওয়ান ইসার ঘনিষ্ঠ।
কে এই রায়েদ সাদইউরোপীয় কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের তথ্য অনুযায়ী, রায়েদ সাদ হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেডের সামরিক পরিষদের একজন জ্যেষ্ঠ সদস্য। তিনি কাসেম ব্রিগেডের অভিযান ও উৎপাদন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। তাঁকে এই সশস্ত্র শাখার ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ বা দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা হিসেবেও বিবেচনা করা হতো।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া আগের এক বিবৃতিতে সাদকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার ‘অন্যতম পরিকল্পনাকারী’ হিসেবেও অভিযুক্ত করা হয়।
যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ হামাসের
এদিকে গাজা শহরে চালানো এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হামাস। টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি বলেছে, এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির ‘প্রকাশ্য লঙ্ঘন’।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই অপরাধ প্রমাণ করে ইসরায়েলি দখলদারেরা ক্রমাগত চুক্তি লঙ্ঘন করে যুদ্ধবিরতিকে ইচ্ছাকৃতভাবে নস্যাৎ ও নাশকতা করার চেষ্টা করছে।
হামাস এই চুক্তির মধ্যস্থতাকারী ও নিশ্চয়তাদানকারী দেশগুলোকে ইসরায়েলকে ‘থামাতে’ অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ, ইসরায়েল চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে।