শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের তিন যুগ্ম আহ্বায়ককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন এই নোটিশ দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয় সুমন সরদার, রাশেদ বিন হাকিম ও ওমর ফারুক—এই তিন যুগ্ম আহ্বায়ককে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।

২২ মার্চ আজমেরী পরিবহনের কাউন্টার দখল ও চাঁদা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বাসমালিকদের মারধর করার অভিযোগ আসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের দ্বিতীয় যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদারের বিরুদ্ধে। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংসদ।

সর্বশেষ ২৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় চাঁদাবাজি ও দোকান দখলের অভিযোগ ওঠে রাশেদ বিন হাসিম ও ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের ভিত্তিকে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সংগঠনটি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র

এছাড়াও পড়ুন:

জকসু: জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ অনিকের সম্মানে পদ খালি রাখল ছাত্রশক্তি

প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ‘ঐক্যবদ্ধ জবিয়ান’ নামে প্যানেল ঘোষণা করেছে জাতীয় ছাত্রশক্তি। তবে বিশেষ সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র’ সম্পাদক পদটি খালি রেখেছে সংগঠনটি।

গত বছরের জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হওয়া অনিক কুমার দাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সংগঠনটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।

আরো পড়ুন:

জকসু: প্যানেল ঘোষণাতেই আচরণবিধি লঙ্ঘন শিবির-ছাত্রশক্তির

জকসু নির্বাচন: নবীনদের ‘তরুণ শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদ হাসান প্যানেল ঘোষণা করলে এ তথ্য জানা যায়।

গত বছরের ১৬ জুলাই ঢাকার সিএমএম আদালত এলাকায় আন্দোলন চলাকালে চারজন গুলিবিদ্ধ হন। মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা অনিক তাদেরই একজন।

জবি শাখা ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে চারজন প্রথম গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, অনিক তাদের মধ্যে একজন। তার ত্যাগ পুরো দেশ দেখেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগ সমর্থক—এই প্রচলিত ধারণাটিও অনিক ভেঙে দিয়েছে নিজের বুক পেতে গুলি খেয়ে।”

তিনি বলেন, “অনিকের সেই অবদান ও ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশক্তি ‘মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র’ সম্পাদক পদে কোনো প্রার্থী দেইনি।”

অনিক কুমার দাস বর্তমানে ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল থেকে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র’ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জকসু নির্বাচন। আগামী ২২ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র বিতরণ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘৩০ শতাংশ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট তৈরি করতে চাচ্ছে’
  • জকসু: জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ অনিকের সম্মানে পদ খালি রাখল ছাত্রশক্তি