নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১টি ওয়ান শুটার গান, ১টি রিভলবার, ১ রাউন্ড ৩০৩ বন্দুকের গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২ এপ্রিল)  বিকেলে আড়াইহাজারের কল্যাণদী ইউনিয়নের মাহমুদপুর থেকে উদ্ধার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।

জানা যায়, আড়াইহাজার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের কল্যাণদী এলাকায় খালের পাড়ে জঙ্গলের ভেতর পরিত্যাক্ত অবস্থায় দুটি অস্ত্র ও এক রাউন্ড গুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা আড়াইহাজার থানা পুলিশকে অবগত করে। 

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ১টি ওয়ান শুটার গান, ১টি রিভলবার, ১ রাউন্ড ৩০৩ বন্দুকের গুলি উদ্ধার করে।  

গুলি ও অস্ত্রগুলো পুলিশের কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে কাজ করছে বলে জানান আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মো.

এনায়েত হোসেন।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ক ত অবস থ য় পর ত য

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে হতাশ ভারত

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঢাকার খিলক্ষেতে একটি অস্থায়ী দুর্গা মন্দির ভাঙার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তে ভারত হতাশা প্রকাশ করেছে। ভারতের দাবি, বাংলাদেশ সরকার মন্দিরের নিরাপত্তা প্রদানের পরিবর্তে ঘটনাটিকে অবৈধ ভূমি ব্যবহার হিসেবে তুলে ধরেছে এবং মন্দির ধ্বংসের অনুমতি দিয়েছে।

নয়াদিল্লিতে বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, স্থানান্তরের আগে এই পদক্ষেপের ফলে মূর্তির ক্ষতি হয়েছে।

বাংলাদেশে মন্দির ভাঙার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আমরা বুঝতে পারছি যে উগ্রপন্থীরা ঢাকার খিলক্ষেতে দুর্গা মন্দির ভাঙার জন্য চিৎকার করছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মন্দিরের নিরাপত্তা প্রদানের পরিবর্তে এই ঘটনাটিকে অবৈধ ভূমি ব্যবহার হিসেবে তুলে ধরে এবং আজ তারা মন্দির ধ্বংসের অনুমতি দেয়। এর ফলে মূর্তি স্থানান্তরের আগে ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশে এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে বলে আমরা হতাশ। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে হিন্দু, তাদের সম্পত্তি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে রক্ষা করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।”

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঢাকার খিলক্ষেতে তাদের জমিতে নির্মিত একটি অস্থায়ী দুর্গা মন্দির ভেঙে দিয়েছে। জনতা মন্দিরটি অপসারণের দাবি করার তিন দিন পর মন্দিরটি ভেঙে ফেলা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তারা খিলক্ষেত সার্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দিরটি রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত হওয়ায় ভেঙে ফেলেছে।

কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি সংখ্যালঘু সংগঠন। তাদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ সম্প্রদায়ের লোকদের পূর্ব নোটিশ না দিয়েই মন্দিরটি ভেঙে দিয়েছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ