যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিসহ বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার ধনকুবের সহযোগী ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। 

ক্ষমতা গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই এবং প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতার যথেচ্ছ ব্যবহারের অভিযোগসহ বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভে নেমেছেন মার্কিনীরা।

রবিবার (৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আরো পড়ুন:

মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধিতে রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

টিকটককে আরো ৭৫ দিন সময় দিলেন ট্রাম্প

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যে প্রায় এক হাজার ২০০ বিক্ষোভ–সমাবেশ হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এটি সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হতে যাচ্ছে।

মেঘলা আকাশ এবং হালকা বৃষ্টির মধ্যে ওয়াশিংটন মনুমেন্টের বাইরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছেন। আয়োজকরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ন্যাশনাল মলে একটি সমাবেশে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

ইভেন্টের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, প্রায় ১৫০টি অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ এতে অংশ নিতে নিবন্ধন করেছে। প্রায় ৫০টি অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

নিউ জার্সির প্রিন্সটনের অবসরপ্রাপ্ত বায়োমেডিক্যাল বিজ্ঞানী টেরি ক্লেইন ওয়াশিংটন মনুমেন্টের নিচে মঞ্চে জড়ো হয়েছিলেন। তিনি জানান, অভিবাসন থেকে শুরু করে ডিওজিই কর্মী ছাটাই, এ সপ্তাহে শুল্ক আরোপ, শিক্ষা সবকিছুতে ট্রাম্পের নীতির প্রতিবাদ জানাতে তিনি সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “আমি বলতে চাইছি, আমাদের পুরো দেশ অস্থিরতার মধ্যে আছে।”

ট্রাম্পবিরোধী এই বিক্ষোভের নাম দেয়া হয়েছে ‘হ্যান্ডস অফ’। এর একটি অর্থ হতে পারে,‘আমাদের নিজের মতো চলতে দাও’। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী একটি অ্যাক্টিভিষ্ট গ্রুপের একটি ‘ইনডিভিজিবল’। গোষ্ঠীটির সহপ্রতিষ্ঠাতা এজরা লেভিন বলেন, বিশাল এই বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে তারা ট্রাম্প, ইলন মাস্ক, রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য ও তাদের মিত্রদের পরিষ্কার বার্তা দিতে চান যে, যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ মেনে নেয়া হবে না।

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর ট্রাম্পের নানা পদক্ষেপ সমালোচিত হয়েছে। ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের দিন থেকেই একরাশ নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে অবৈধ অভিবাসন, বিদেশি সহায়তা, ট্রান্সজেন্ডার অধিকারসংক্রান্ত আদেশগুলো। ট্রাম্পের কোনো কোনো আদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে মামলা হয়েছে। কোনো কোনো আদেশ স্থগিত করেছেন আদালত।

ট্রাম্পের গঠন করা সরকারি দক্ষতা বিভাগ (ডিওজিই) ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্প নতুন এই বিভাগের দায়িত্ব দেন ধনকুবের বন্ধু ইলন মাস্ককে। এরপর থেকে মাস্কের দল কেন্দ্রীয় সরকারের ২৩ লাখ কর্মচারীর মধ্যে ২ লাখের বেশি পদ শূন্য করেছে। 

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের আগেই শনিবার ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্রনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে বার্লিন, ফ্রাঙ্কফুর্ট, প্যারিস ও লন্ডনে একত্র হন বিক্ষোভকারীরা। তাদের হাতে ধরা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘আইনের শাসন’, ‘অত্যাচারী শাসককে প্রতিহত করুন’, ‘গণতন্ত্র রক্ষা করুন’ স্লোগান।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ষমত

এছাড়াও পড়ুন:

দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন: আকবর খান

ঢাকা-৮ আসনে দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান। তিনি বলেন, “ভোটের অধিকার জনগণের পবিত্র আমানত, এটি সচেতনভাবে প্রয়োগ করতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলের বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা জননেতা সাইফুল হক-এর ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।

গণসংযোগের শুরুতে ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা হয়। 

সেখানে আকবর খান বলেন, “নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে অবিলম্বে ভোটের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে—২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে—ঢাকা-৮ আসনের বহু নাগরিক ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যে তরুণের এখন বয়স ২৫ বা ২৬, তারা কখনো ভোট দিতে পারেনি, ভোট কী তা জানে না- এটি গণতন্ত্রের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়।”

তিনি আরো বলেন, “গত ১৬-১৭ বছর ধরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং আমাদের নেতা সাইফুল হক জনগণের ভোটাধিকারের আন্দোলনে রাজপথে সংগ্রাম করে আসছেন। এর জন্য জেল-জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেও তিনি থেমে থাকেননি। ভোটাধিকার গণমানুষের দীর্ঘ লড়াই ও ত্যাগের ফসল। এই অধিকার ভুল ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।”

আকবর খান বলেন, “জননেতা সাইফুল হক গণমানুষের পরীক্ষিত নেতা। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের জনগণ যেন তাকে ভোট দিয়ে নিজেদের সুখ-দুঃখ, চাওয়া-পাওয়ার কথা ও দীর্ঘ বঞ্চনার ইতিহাস সংসদে তুলে ধরার সুযোগ করে দেন- এটাই আমাদের আহ্বান।”

গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ কর্মসূচি বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকা থেকে শুরু হয়ে মতিঝিল, কমলাপুর, ফকিরাপুল, কালভার্ট রোড হয়ে বিজয়নগরে এসে শেষ হয়। এতে শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সিকদার হারুন মাহমুদ, মীর রেজাউল আলম, কবি জামাল সিকদার, ফাইজুর রহমান মুনির, বাবর চৌধুরী, মহানগর নেতা যুবরান আলী জুয়েল, সালাউদ্দিন, রিয়েল মাতবর, আরিফুল ইসলাম, মুজিবুল হক চুন্নু, গোলাম রাজিব, মাহমুদুল হাসান খান, ফয়েজ ইবনে জাফর, নান্টু দাস, শিবু মহন্ত ও হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

ঢাকা/এএএম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এমন তো হবার কথা ছিল না: তারেক রহমান
  • সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন জাতির দাবি
  • জনগণের বৃহত্তর ঐক্য ছাড়া এই ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার পতন হবে না: সাকি
  • দ্রুত নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করুন: আকবর খান