বিএনপি নেতা ও ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা সাঈদ আল নোমান বলেছেন, রাজনীতি মানে শুধু মিটিং-মিছিল নয়। এখানে সমাজসেবা ও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বিষয় আছে, সে জায়গাগুলো নিয়ে আমি কাজ করার চেষ্টা করছি।

বৃহস্পতিবার এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন কেন্দ্রে তাপপ্রবাহে অপেক্ষমাণ অভিভাবকদের বসার জন্য ছাউনি, চেয়ার এবং কোমল পানীয় বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন। 

সাঈদ আল নোমান বলেন, মাসব্যাপী প্রতিটি পরীক্ষায় এই আয়োজন অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নিয়েছি। একটি স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের জন্য নাসিরাবাদ বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও নাসিরাবাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নাসিরাবাদ অংকুর সোসাইটি বালিকা স্কুল, চট্টগ্রাম মডেল স্কুল, ওয়ার্লেস ঝাউতলা কলোনি উচ্চ বিদ্যালয় ও সিএমপি উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন শিক্ষানুরাগী ও বিএনপি নেতা সাঈদ আল নোমান।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিস চালু হচ্ছে ১০ মাস পর

পুড়িয়ে ফেলার ১০ মাস পর নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম আগামী রোববার থেকে পুরোদমে চালু হচ্ছে। এর আগে গতকাল বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে অনলাইনে পাসপোর্টের আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপরিচালক জামাল হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ডে অবস্থিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আবেদনকারীরা রোববার থেকে আবেদনপত্র জমা, ছবি ও বায়োমেট্রিক দিতে পারবেন।

গত বছরের ১৮ জুলাই রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন। আগুনে পুড়ে যায় বিতরণের অপেক্ষায় থাকা ৮ হাজার পাসপোর্ট। পুরো পাসপোর্ট অফিস ভবনটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। আগুন জ্বলতে থাকে ১৯ জুলাই সকাল পর্যন্ত। আগুন দেওয়ার আগে অফিসটিতে লুটপাট চালানো হয়েছিল বলে জানান পাসপোর্ট অফিসের তৎকালীন উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান। আগুনে ভবনের নিচতলা থেকে শুরু করে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় থাকা বায়ো এনরোলমেন্ট যন্ত্রপাতি, প্রশাসন শাখা, অফিস সরঞ্জাম, গুরুত্বপূর্ণ নথি, ফাইলপত্র এবং চতুর্থ তলার রেকর্ডরুম ও অতিথিশালার সবকিছুই পুড়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার, বন্দর, সোনারগাঁ, ফতুল্লা ও সদর উপজেলাবাসী। মুন্সীগঞ্জ ও নরসিংদীতে গিয়ে পাসপোর্ট করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে নারায়ণগঞ্জের সেবাগ্রহীতাদের।

পুড়িয়ে দেওয়ার ৬ মাস পর পাসপোর্ট অফিসটির সংস্কারকাজ শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ। 

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, আবারও পাসপোর্ট অফিসটি চালু হওয়ার সংবাদে তারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ