বিএনপি নেতা ও ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা সাঈদ আল নোমান বলেছেন, রাজনীতি মানে শুধু মিটিং-মিছিল নয়। এখানে সমাজসেবা ও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বিষয় আছে, সে জায়গাগুলো নিয়ে আমি কাজ করার চেষ্টা করছি।

বৃহস্পতিবার এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন কেন্দ্রে তাপপ্রবাহে অপেক্ষমাণ অভিভাবকদের বসার জন্য ছাউনি, চেয়ার এবং কোমল পানীয় বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন। 

সাঈদ আল নোমান বলেন, মাসব্যাপী প্রতিটি পরীক্ষায় এই আয়োজন অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নিয়েছি। একটি স্বনির্ভর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে অভিভাবকদের জন্য নাসিরাবাদ বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও নাসিরাবাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নাসিরাবাদ অংকুর সোসাইটি বালিকা স্কুল, চট্টগ্রাম মডেল স্কুল, ওয়ার্লেস ঝাউতলা কলোনি উচ্চ বিদ্যালয় ও সিএমপি উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন শিক্ষানুরাগী ও বিএনপি নেতা সাঈদ আল নোমান।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক ওসি হাসান আল মামুন কারাগারে 

খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমকে প্রহার করে চোখ নষ্টের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ওসি হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

তিনি আজ রবিবার (১৫ জুন) আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে খুলনা মহানগর দায়রা জজ শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে নেয়ার আগে উপ‌স্থিত বিএনপি ‌নেতাকর্মীরা হাসান আল মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম এরং আম নিক্ষেপ করে। এ সময় তারা দৃষ্টান্তমূলক শা‌স্তি চেয়ে বি‌ভিন্ন স্লোগানও দেয়। পরে বিএন‌পি নেতাদের শান্ত রাখার জন্য সেনা ও নৌ বা‌হিনীর সদস্যরা টহল দেয়।

আরো পড়ুন:

বাগেরহাটে বিএনপির সম্মেলনে ২ পক্ষের সংঘর্ষ

মোবাইল চুরির সন্দেহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম জানান, মামলায় উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রবিবার (১৫ জুন) খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালতের সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি হাসান আল মামুন নিজে বিএনপি নেতা ফখরুল আলমকে বেদম মারধর করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ অকেজো হয়ে যায়। ভুক্তভোগী এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট আল মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন। 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ