হাতে আঁকা ফ্লিপ বুকে কিশোরের বিশ্ব রেকর্ড
Published: 14th, April 2025 GMT
যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পশায়ারের বাসিন্দা ম্যাক্স বুগেন। আঁকাআঁকিতে অনন্য এক প্রতিভার অধিকারী পিটার্সফিল্ডের এই কিশোর। নিজের ওই প্রতিভার জোরে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নাম লিখিয়েছে সে।
ম্যাক্সের বয়স ১৭ বছর। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কঠোর পরিশ্রম করে সে একটি ‘ফ্লিপ বুক’ তৈরি করেছে। তার ফ্লিপ বুকটি কত পাতার জানেন, ১ হাজার ৩০০ পাতার! ম্যাক্স এখন সবচেয়ে বেশি পাতার ফ্লিপ বুক তৈরি করার রেকর্ডের মালিক।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখাতেই ফ্লিপ বুকটি আঁকতে শুরু করে ম্যাক্স। ফ্লিপ বুক তৈরি করতে প্রথমে একটি গল্প বেছে নিতে হয়। তারপর সেটি আঁকতে হয় এবং পরের পাতাগুলোতে সেই গল্পের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চরিত্রগুলো এঁকে যেতে হয়। ফ্লিপ বুকের পাতা দ্রুত ওলটানো হলে গল্পের চরিত্রগুলো যেন চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে ওঠে।
ম্যাক্স বলেছে, ‘আমি আমার পড়ার টেবিলে, স্কুলে, ট্রেনে শুধু এঁকে গেছি।’
কাজটি মোটেও সহজ ছিল না বলেও জানায় এই কিশোর। সে বলেছে, ‘ফ্লিপ বুক সাধারণত ছোট, চটকদার ও আকর্ষণীয় বর্ণনামূলক হয়। এ বই তৈরি করতে গিয়ে ৫০০ পাতা পার হওয়ার পর আমার বিরক্ত লাগতে শুরু করেছিল। আমি গল্প গাঁথতে নতুন কিছু খুঁজেও পাচ্ছিলাম না। তবু আমি বারবার নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিতাম, বিশ্ব রেকর্ড গড়া সহজ কাজ নয়। এভাবে আমি অধ্যবসায়ের সঙ্গে সামনে এগিয়ে যেতে থাকি।’
ম্যাক্স বলেছে, সে এর আগে কখনো ৩০০ পাতার বেশি ফ্লিপ বুক তৈরি করেনি। সে বলে, ‘এক হাজারতম পাতায় পৌঁছাতে পারা আমার জন্য সত্যিই অবিশ্বাস্য ছিল। কারণ, আমি কখনো ভাবিনি আমি এত দূর যেতে পারব।’
ম্যাক্সের ফ্লিপ বুকের নাম থান্ডার স্ট্রাইক বা বজ্রপাত।
কিশোরদের প্রতি উপদেশ দিতে গিয়ে ম্যাক্স আরও বলেছে, ‘যদি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই তুমি কোনো রেকর্ড গড়তে চাও, তবে তোমাকে অবশ্যই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে যখন এমন কিছু সামনে আসে। এ ছাড়া মজা করার ক্ষমতাও এ কাজে আমাকে কিছুটা হলেও সহায়তা করেছে বলে আমার মনে হয়। বিশেষ করে সবকিছু যখন ভয়ংকর খারাপ অবস্থায় থাকে, তখনো তার মধ্যে ভালো কিছু খুঁজে নিতে পারা।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।
আরো পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।
যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।
বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।
ঢাকা/আমিনুল