বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচির অনুমতি না দেওয়ায় চট্টগ্রাম নগরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করা হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ‘সর্বস্তরের সুন্নি জনতার’ ব্যানারে নগরের শুলকবহর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে সুন্নি জনতা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে সড়ক অবরোধ করা হয়। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২৬ এপ্রিল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ‍্যানে ‘ম্যাস গ্যাদারিং ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি হওয়ার কথা। তবে সেটির অনুমতি দেওয়া হয়নি। তার প্রতিবাদে তাঁরা সড়ক অবরোধ করা হয়।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে শুলকবহর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সিডিএ অ্যাভিনিউ সড়কের ওপর ছাত্র-জনতা অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা সিডিএ অ্যাভিনিউ সড়কের শুলকবহর অংশ বন্ধ করে রেখেছেন। এ ছাড়া আখতারুজ্জামান উড়ালসড়কও বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

আন্দোলনকারীদের ভাষ্য, যতক্ষণ না দাবি পূরণ হচ্ছে, ততক্ষণ রাস্তায় থাকবেন। তাঁদের অন্যতম দাবি ঢাকায় কর্মসূচির অনুমতি। মো.

ওমর নামের একজন বলেন, ফিলিস্তিনের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় বৃহৎ কর্মসূচি ছিল। সেটি অনুমতি না দেওয়ায় গণপ্রতিরোধ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

এদিকে অবরোধের কারণে সিডিএ অ্যাভিনিউ সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। নগরের বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেটসহ আশপাশের এলাকার সড়ক কার্যত অচল হয়ে পড়ে। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। অনেককে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

পরে রাত একটার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের প্রচার উপকমিটির সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ এনাম রেজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের আজকের কর্মসূচি শেষ। আগামীকাল (শুক্রবার) সকাল ১০টার মধ্যে ম্যাস গ্যাদারিং ফর প্যালেস্টাইনের অনুমতি না দিলে জুমার পর নগরের জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।’

অবরোধের বিষয়ে জানতে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ধ কর র এল ক

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ