চট্টগ্রামে শুলকবহর এলাকায় সড়ক অবরোধ, পরে প্রত্যাহার
Published: 25th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচির অনুমতি না দেওয়ায় চট্টগ্রাম নগরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করা হয়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ‘সর্বস্তরের সুন্নি জনতার’ ব্যানারে নগরের শুলকবহর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে সুন্নি জনতা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে সড়ক অবরোধ করা হয়। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২৬ এপ্রিল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘ম্যাস গ্যাদারিং ফর প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি হওয়ার কথা। তবে সেটির অনুমতি দেওয়া হয়নি। তার প্রতিবাদে তাঁরা সড়ক অবরোধ করা হয়।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে শুলকবহর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সিডিএ অ্যাভিনিউ সড়কের ওপর ছাত্র-জনতা অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা সিডিএ অ্যাভিনিউ সড়কের শুলকবহর অংশ বন্ধ করে রেখেছেন। এ ছাড়া আখতারুজ্জামান উড়ালসড়কও বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের ভাষ্য, যতক্ষণ না দাবি পূরণ হচ্ছে, ততক্ষণ রাস্তায় থাকবেন। তাঁদের অন্যতম দাবি ঢাকায় কর্মসূচির অনুমতি। মো.
এদিকে অবরোধের কারণে সিডিএ অ্যাভিনিউ সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। নগরের বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেটসহ আশপাশের এলাকার সড়ক কার্যত অচল হয়ে পড়ে। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। অনেককে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
পরে রাত একটার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের প্রচার উপকমিটির সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ এনাম রেজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের আজকের কর্মসূচি শেষ। আগামীকাল (শুক্রবার) সকাল ১০টার মধ্যে ম্যাস গ্যাদারিং ফর প্যালেস্টাইনের অনুমতি না দিলে জুমার পর নগরের জামিয়াতুল ফালাহ মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।’
অবরোধের বিষয়ে জানতে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।