তরুণদের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ডে মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি। এই সমাবেশে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও চট্টগ্রামের ছেলে তামিম ইকবাল খান।

শনিবার (১০ মে) বিকেল ৫টায় মঞ্চে ওঠেন তামিম ইকবাল। এর আগে, বেলা ৩টায় শুরু হয় এই আয়োজন। তামিম মঞ্চে ওঠলে উপস্থিত হাজার হাজার নেতাকর্মী তাকে স্লোগানে স্বাগত জানান।

সমাবেশে যোগ দিয়ে তামিম বলেন, ‘‘আমি পলিটিক্যাল কেউ না। আমি একজন স্পোর্টসম্যান। তাই, স্পোর্টস নিয়েই কিছু কথা বলব।’’

তিনি বলেন, ‘‘এক সময় চট্টগ্রাম থেকে ৫-৬ জন জাতীয় দলে থাকত। কিন্তু, গত ১০-১৫ বছর সে রকম খেলোয়াড় উঠে আসেনি। আমরা কেন জাতীয় দলে যেতে পারিনি, দেখতে হবে।’’

ভবিষ্যতে ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, ফুটবলসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্পোর্টসে চট্টগ্রাম থেকে আরো খেলোয়াড় পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তামিম।

ঢাকা/রেজাউল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মশা মারতে ডিএনসিসির বাজেট ১৮৮ কোটি টাকা

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের জন্য ১৮৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বুধবার নগর ভবনে অনুষ্ঠিত ডিএনসিসির সপ্তম করপোরেশন সভায় এ বরাদ্দ রাখা হয়। যা মোট বাজেটের ৩ শতাংশ।

ডিএনসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এ বাজেটে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় হাজার ৬৯ কোটি টাকা এবং ব্যয় প্রাক্কলনও ছয় হাজার ৬৯ কোটি টাকা। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা, যা মোট বাজেট আয়ের ৬০ শতাংশের সমপরিমাণ।

সভায় ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, রাজস্ব আদায়ের উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করাটা নিঃসন্দেহে একটি চ্যালেঞ্জ হবে। তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, ব্যয়ের ক্ষেত্রে নতুন সৃষ্ট ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট বাজেটের প্রায় ৭৬ শতাংশ অর্থাৎ ৪ হাজার ৬২৪ কোটি টাকা উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়নে, যেখানে দুই হাজার ৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থাৎ বাজেটের ৩৩ শতাংশ বরাদ্দ রয়েছে।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে, যা টাকার অঙ্কে ৪৩৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং মোট বাজেটের ৮ শতাংশ। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও পারিশ্রমিক বাবদ করা হয়েছে ২৫৭ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৪ শতাংশ।

২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের হোল্ডিং ট্যাক্স, পরিচ্ছন্নতা, লাইটিং ও স্বাস্থ্য খাত থেকে মোট রাজস্ব আয়ের ৪৫ শতাংশ আদায়ের পরিকল্পনা রয়েছে। 
এছাড়া সম্পত্তি হস্তান্তর খাত থেকে এক হাজার ৮০ কোটি টাকা অর্থাৎ প্রায় ৩০ শতাংশ আয়ের প্রাক্কলন করা হয়েছে। অবশিষ্ট অর্থ সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা ও অনুদানের মাধ্যমে সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

সভায় ডিএনসিসির সকল ওয়ার্ডে কর্মরত ‘ওয়ার্ড সচিব’ পদবির নাম পরিবর্তন করে ‘ওয়ার্ড সুপারভাইজার’, ‘ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর’ অথবা ‘ওয়ার্ড অর্গানাইজার’ নামকরণের প্রস্তাব প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ