রাজধানীর বনানী কবরস্থানে বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। কোকো বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে এবং সম্পর্কে ডা. জুবাইদার দেবর।

আজ শনিবার কোকোর কবর জিয়ারত করার সময় ডা. জুবাইদার সঙ্গে কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমানও ছিলেন। সেখানে তাঁরা পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও মোনাজাত  করেন।

২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে দেশ ছেড়েছিলেন জুবাইদা রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন।

বনানী কবরস্থানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) পরিচালক ডা.

শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ প্রমুখ।

আরাফাত রহমান কোকোর জন্ম ঢাকায়, ১৯৬৯ সালে। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে রেখে যান। ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন আরাফাত রহমান কোকো।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর ফ ত রহম ন ক ক ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

তিন দফা দাবিতে আমরণ অনশনে এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীরা

মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা মেডিকেল ভাতা ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীরা।

আজ শুক্রবার বেলা সোয়া দুইটা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাঁরা এ কর্মসূচি শুরু করেন। এতে অংশ নেন শতাধিক শিক্ষক–কর্মচারী।

আজ ষষ্ঠ দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীরা আন্দোলন করছেন। রোববার থেকে তিন দফা দাবিতে তাঁরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। তবে পুলিশ বাধা দিলে শিক্ষক–কর্মচারীরা সেদিন দুপুর থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে অবস্থান নেন।

গত মঙ্গলবার সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এ ছাড়া গত বুধবার তাঁরা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার মার্চ টু যমুনা কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও পরে তাঁরা সেই কর্মসূচি স্থগিত করেন।

গতকাল এক আলোচনার পর অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া মূল বেতনের ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) দেওয়ার প্রস্তাব দিলে তাঁরা সেটা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

সরকারের অবস্থান জানান শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার। তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ১ নভেম্বর থেকে ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া তারা দিতে পারবে এবং সেটি ন্যূনতম ২ হাজার টাকা থাকবে। এখন যেখানে টাকা নেই, সেখানে এর থেকে বেশি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এটা শিক্ষক-কর্মচারীদের জানানো হয়েছে। কিন্তু শিক্ষক-কর্মচারীরা সেই প্রস্তাবে রাজি নন। তাঁরা বলেছেন, এখন ১০ শতাংশ দিতে হবে, সামনের বছর ১০ শতাংশ দিতে হবে।

এদিকে আমরণ অনশন শুরু করা শিক্ষক–কর্মচারীরা জানান, তাঁরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মস্থলে ফিরবেন না। তিনটি দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।

আমরণ কর্মসূচি শুরুর আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘আমাদের দাবি একটাই। ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দিতে হবে। শিক্ষকেরা আর কোনো কথা শুনতে চান না। এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’

এই শিক্ষক নেতা জানান, আমরণ অনশনে বসা শিক্ষকদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়বে। ইতিমধ্যে দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলা কর্মবিরতি অনির্দিষ্টকাল চলবে। রোববার থেকে শিক্ষক–কর্মচারীদের পরিবারের সদস্যরাও নিজ নিজ জায়গা থেকে এই আন্দোলনে যোগ দেবেন।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার পশ্চিম ফুলমতি হাইস্কুলের শিক্ষক আজিজার রহমান। ৫৬ বছর বয়সী এই শিক্ষক শুরু করেছেন আমরণ অনশন। তিনি বলেন, ‘যতক্ষণই লাগুক। অনশন চালিয়ে যাব।’

শরীর খারাপ হলে কী করবেন, জানতে চাইলে এই মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক বলেন, ‘করার কিছু নেই। আমাদের মতো শিক্ষকেরা ভালো নেই। তবু সরকার শিক্ষকদের মূল্যায়ন করে না। তাঁরা কষ্টে থাকলেও দেখার কেউ নেই। আমার অবসরের সময় হয়ে গেছে। তবে আমি চাই, শিক্ষক হয়ে পরিবার চালানোর গ্লানি যাতে পরের প্রজন্মকে টানতে না হয়। শিক্ষকেরা যাতে মাথা উঁচু করে সমাজে বাঁচতে পারেন, তাই অনশনে বসেছি।'

সম্পর্কিত নিবন্ধ