একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম দিলেন এক মা, কেমন আছে নবজাতকেরা
Published: 10th, May 2025 GMT
চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে একসঙ্গে ছয়টি সন্তান প্রসব করেছেন এক গৃহবধূ। আজ শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে কোনো অস্ত্রোপচার ছাড়া একে একে ছয়টি সন্তান প্রসব করেন মরিয়ম বেগম (৩০) নামের এই নারী।
নগরের মেহেদীবাগের ন্যাশনাল হসপিটালে জন্ম নেওয়া ছয় নবজাতকের মধ্যে একটি ছেলে, অন্য পাঁচটি মেয়ে। ছয়টি শিশুই সুস্থ রয়েছে। তবে সাবধানতার জন্য তাদের নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) রাখা হয়েছে। এর আগেও ওই নারী দুবার সন্তান প্রসব করেছেন। তাঁর একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে।
আজ মরিয়মের সন্তান জন্মদানের বিষয়টি তদারক করেছেন প্রসূতি ও স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞ নাজনীন সুলতানা মরিয়ম। নাজনীন সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মরিয়ম বেগম পাঁচটি মেয়ে ও একটি ছেলেসন্তান প্রসব করেছেন। সবাই সুস্থ রয়েছে।
আজ বেলা ১টা ১৮ মিনিটে মরিয়ম হাসপাতালে ভর্তি হন। এর আধা ঘণ্টা পর একে একে ছয় সন্তান প্রসব করেন বলে হাসপাতাল সূত্র জানায়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল পাঁচটা) ওই নারী লেবার কক্ষে ছিলেন। সেখান থেকে কেবিনে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
হাসপাতালে ভর্তিদানকারী কর্মকর্তা শাহদাত হোসেন জানান, ‘দুপুরে তিনি ব্যথা নিয়ে ভর্তি হন। এরপর লেবার কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। নাজনীন ম্যাডামের তত্ত্বাবধানে ছয়টি বাচ্চার জন্ম হয়। প্রত্যেক বাচ্চার ওজন মোটামুটি স্বাভাবিক। তাদের এনআইসিইউয়ে রাখা হয়েছে।’
মরিয়ম বেগমের বাড়ি কক্সবাজার জেলায়। হাসপাতালে ভর্তির সময় নগরের হিলভিউ এলাকার ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। তাঁর স্বামীর নাম নূর আহমেদ। তিনি প্রবাসী। হাসপাতালে মরিয়মের বাবা মঞ্জুরুল আলম রয়েছেন। পরিবার এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
কেন দাম্পত্য সম্পর্কে প্রতারণা করে মানুষ?
দুইজন মানুষ একসঙ্গে সুখে, দুখে, আনন্দ, উদযাপনে একসঙ্গে পথ চলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দাম্পত্য সম্পর্ক শুরু করেন। কিন্তু দেখা যায় যে একজন তৃতীয় জনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। কেন হয় এমন?
বার বার ক্ষমা করা: ‘কার সঙ্গে কথা বলছিলে’? এই প্রশ্নের উত্তর যদি হয় ‘তেমন কেউ না’, সেটিকে সম্পর্কের জন্য রেড ফ্ল্যাগ হিসেবে ধরুন। হতে পারে আপনার সঙ্গী প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। আর এই ঘটনা যদি বার বার ঘটতে থাকে আপনি হয়তো এক সময় জেনে যাবেন, আসলে কার সাথে কথা হয়। তখন তিনি হয়তো ক্ষমা চাইবেন। ক্ষমা করলেও- কাউকে নতুন করে বিশ্বাস করাটা খুবই কঠিন। এমনকি কখনো হয়তো অসম্ভবও। সঙ্গী যদি ক্ষমা চেয়ে একই ভুল করেন, আরেকজন যদি বার বার ক্ষমা করতেই থাকেন এ নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন বোধ না করেন তাহলে প্রতারণার বিষয়টি বার বার ঘটতে থাকে। সঙ্গী প্রতরণার আশ্রয় নিচ্ছে, এমনটা বুঝলে তাকে প্রশ্ন করা উচিত। তাকে প্রশ্ন করা উচিত যে, তোমার জায়গায় আমি হলে কী করতে?
সঙ্গীর কথা শোনার সময় না থাকা: আপনি যদি সঙ্গীর কথায় মনোযোগ না দেন, তিনি ভেতরে ভেতরে হাঁপিয়ে উঠবেন। নিজের কথা বলার জন্য অন্য কাউকে ঠিকই খুঁজে নেবেন। মানুষ যখন নিজের সুখ, দুখের কথা অকপটে কারও সঙ্গে শেয়ার করে তখন বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। কখনও কখনও বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রেমেও গড়ানোর সুযোগ তৈরি হয়। সুতরাং সঙ্গীর কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন।
আরো পড়ুন:
আপনার সামনে কেউ ধীরে হাঁটলেই রাগ হয়?
যে ধরনের প্রেমকে ‘পাপি- লাভ’ বলা হয়
যোগাযোগে ছন্দপতন হলে: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যোগাযোগ ছন্দপতন হলে সঙ্গী প্রতারণায় আশ্রয় নিয়েছেন বলে ধরে নিতে পারেন। সঙ্গীর হয়তো অফিসে লাঞ্চ ব্রেকে নিয়মিত ফোনে কথা হতো। এখন আর হচ্ছে না। তিনি হয়তো বাসা থেকে আগে আগে বের হচ্ছেন, দেরি করে বাসায় ফিরছেন। অফিসের প্রয়োজন দেখিয়ে দূরে ভ্রমণ করছেন। এমন অবস্থা তৈরি হলে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব কমানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
মানসিক বিচ্ছিন্নতা: সঙ্গী যদি মনে করেন তিনি যথেষ্ট ভালবাসা পাচ্ছেন না, বা সঙ্গী তার দিকে ভালভাবে তাকান না, অথবা সঙ্গী সহানুভূতিশীল নন তখন তিনি তৃতীয়জনের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারেন। সঙ্গীর প্রতি সহানুভূতি প্রকাশে কৃপণতা থাকা উচিত নয়।
ঢাকা/লিপি