চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে একসঙ্গে ছয়টি সন্তান প্রসব করেছেন এক গৃহবধূ। আজ শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে কোনো অস্ত্রোপচার ছাড়া একে একে ছয়টি সন্তান প্রসব করেন মরিয়ম বেগম (৩০) নামের এই নারী।

নগরের মেহেদীবাগের ন্যাশনাল হসপিটালে জন্ম নেওয়া ছয় নবজাতকের মধ্যে একটি ছেলে, অন্য পাঁচটি মেয়ে। ছয়টি শিশুই সুস্থ রয়েছে। তবে সাবধানতার জন্য তাদের নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) রাখা হয়েছে। এর আগেও ওই নারী দুবার সন্তান প্রসব করেছেন। তাঁর একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে।

আজ মরিয়মের সন্তান জন্মদানের বিষয়টি তদারক করেছেন প্রসূতি ও স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞ নাজনীন সুলতানা মরিয়ম। নাজনীন সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মরিয়ম বেগম পাঁচটি মেয়ে ও একটি ছেলেসন্তান প্রসব করেছেন। সবাই সুস্থ রয়েছে।

আজ বেলা ১টা ১৮ মিনিটে মরিয়ম হাসপাতালে ভর্তি হন। এর আধা ঘণ্টা পর একে একে ছয় সন্তান প্রসব করেন বলে হাসপাতাল সূত্র জানায়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল পাঁচটা) ওই নারী লেবার কক্ষে ছিলেন। সেখান থেকে কেবিনে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

হাসপাতালে ভর্তিদানকারী কর্মকর্তা শাহদাত হোসেন জানান, ‘দুপুরে তিনি ব্যথা নিয়ে ভর্তি হন। এরপর লেবার কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। নাজনীন ম্যাডামের তত্ত্বাবধানে ছয়টি বাচ্চার জন্ম হয়। প্রত্যেক বাচ্চার ওজন মোটামুটি স্বাভাবিক। তাদের এনআইসিইউয়ে রাখা হয়েছে।’

মরিয়ম বেগমের বাড়ি কক্সবাজার জেলায়। হাসপাতালে ভর্তির সময় নগরের হিলভিউ এলাকার ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। তাঁর স্বামীর নাম নূর আহমেদ। তিনি প্রবাসী। হাসপাতালে মরিয়মের বাবা মঞ্জুরুল আলম রয়েছেন। পরিবার এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধু এন্ড্রু কিশোরকে নিয়ে স্মৃতিকাতর হানিফ সংকেত

তিনি ছিলেন গানপাগল একজন মানুষ। গানের ভেতরেই ছিল যার নিঃশ্বাস, আবেগ, আত্মা। তিনি এন্ড্রু কিশোর—বাংলা চলচ্চিত্রের অমর ‘প্লেব্যাক সম্রাট’। রবিবার (৬ জুলাই) তার পঞ্চম প্রয়াণ দিবস। এ দিনটিতে বন্ধুকে হারানোর বেদনায় স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন বরেণ্য ব্যক্তিত্ব হানিফ সংকেত। 

ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির উপস্থাপক ও নির্মাতা হিসেবে বহুদিন একসঙ্গে পথচলা, আড্ডা, কাজ—সব মিলিয়ে এক গভীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল তাদের মধ্যে। সেই বন্ধুর স্মৃতিতে হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া কিছু কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন হানিফ সংকেত। 

লেখার শুরুতে হানিফ সংকেত লেখেন, “আজ বন্ধু এন্ড্রু কিশোরের পঞ্চম প্রয়াণ দিবস। যার কাছে গানই ছিল জীবন-মরণ, গানই ছিল প্রাণ। এই গানের জন্যই মানুষ তাকে ভালোবাসতো, দিয়েছিল ‘প্লেব্যাক সম্রাট’ উপাধি।” 

একসঙ্গে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের স্মৃতিচারণ করে হানিফ সংকেত লেখেন, “কিশোর যেমন প্রাণ খুলে দরাজ গলায় গাইতে পারতো, তেমনি সবার সঙ্গে প্রাণ খুলে মিশতেও পারতো। চার দশকের বেশি সময়ের সম্পর্ক ছিল আমাদের। একসঙ্গে অনেক দেশ সফর করেছি, অনেক আড্ডা দিয়েছি। ‘ইত্যাদি’-তে সে ছিল প্রায় নিয়মিত শিল্পী।” 

প্রিয় বন্ধুকে কখনো ভুলতে পারবেন না। তা জানিয়ে হানিফ সংকেত লেখেন, “একজন আদর্শ শিল্পী, একজন মানবিক মানুষ ছিল কিশোর। গানের মাধ্যমেই সে বেঁচে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। বন্ধু, ভুলিনি তোমায়—ভুলব না, ভুলতেও পারব না। ভালো থেকো, শান্তিতে থেকো।” 

ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে ২০২০ সালের ৬ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিটে রাজশাহীতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এন্ড্রু কিশোর। প্রায় ১৫ হাজার গানে কণ্ঠ দেওয়া এই কিংবদন্তি শিল্পী ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হোয়াটসঅ্যাপে আসছে থ্রেডেড রিপ্লাই, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
  • হত্যাকাণ্ডের পর গা ঢাকা, একসঙ্গে গ্রেপ্তার ৭ আসামি
  • লুভর মিউজিয়াম
  • ফেসবুকে পরিচয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে তরুণী প্রেম, থানায় সমাপ্তি 
  • নিশো-চঞ্চল একসঙ্গে ‘দম’
  • একসঙ্গে নৈশভোজ, ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দিলেন নেতানিয়াহু
  • রাশমিকার সঙ্গে জুটি বাঁধতে বিজয়ের কেন আপত্তি?
  • ‘ভালো থেকো, শান্তিতে থেকো’, বন্ধু এন্ড্রু কিশোরের প্রয়াণ দিবসে হানিফ সংকেত
  • বন্ধু এন্ড্রু কিশোরকে নিয়ে স্মৃতিকাতর হানিফ সংকেত