রাজধানীর কমলাপুরে জসীমউদ্‌দীন রোডের একটি ভবন থেকে মো. আরাফাত রহমান (১৭) নামের এক কিশোরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধর করেছে পুলিশ। আরাফত নটর ডেম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় জসীমউদ্‌দীন রোডের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে সে আত্মহত্যা করেছে।

ওই বাসায় আরাফাতসহ তিনজন মেস করে থাকত। তাদের একজন রিমন চৌধুরী জানায়, তারা তিন বন্ধু মিলে ওই বাসায় মেসে থাকত। সন্ধ্যার দিকে আরাফাতের কক্ষ বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করে তারা। কোনো সাড়া না পেয়ে ভবনের কেয়ারটেকারের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আরাফাতকে ফ্যানের সঙ্গে চাদর প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন। পরে দ্রুত তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রাত পৌনে আটটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো.

ফারুক বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

আরাফাতের বাবা আব্দুল আল মামুন চট্টগ্রাম বন্দরে চাকরি করেন। তাঁদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কালিকা প্রসাদ গ্রামে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর ফ ত মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

পুনরায় রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের আবেদন আহ্বান

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দায়ের হওয়া রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলাগুলো দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিদের কাছে পুনরায় আবেদন দাখিলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) আইন, বিচার ও সংসদ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ থেকে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাসে এ রায় মাইলফলক হয়ে থাকবে: নাহিদ 

শেখ হাসিনার ফাঁসি কার্যকরের দাবি শহীদ রাকিবুলের মা-বাবার

বিভাগটি থেকে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের আবেদন দাখিল করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে মামলার বর্তমান অবস্থা, এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিযোগপত্রের পরিষ্কার ফটোকপি সংযুক্ত করার অনুরোধ করা হলো।

দেশে ৬ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত বিশেষ করে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ অসংখ্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হয়রানিমূলক বা কথিত ‘গায়েবি মামলা’ যাচাই করে প্রত্যাহারের উদ্যোগ চলমান।

এর আগে, সলিসিটর অনুবিভাগ থেকে দেশের সব পাবলিক প্রসিকিউটর ও মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরদের এসব মামলার তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে বিষয়টি আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে জাতীয় দৈনিকগুলোতে গণবিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়।

সরকারি সূত্র জানায়, বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত মামলার তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে জাতীয় পর্যায়ে গঠিত কমিটি ইতোমধ্যে প্রায় ২০ হাজার মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে। ধাপে ধাপে আরো মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ