নটর ডেমের শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
Published: 12th, May 2025 GMT
রাজধানীর কমলাপুরে জসীমউদ্দীন রোডের একটি ভবন থেকে মো. আরাফাত রহমান (১৭) নামের এক কিশোরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধর করেছে পুলিশ। আরাফত নটর ডেম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় জসীমউদ্দীন রোডের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে সে আত্মহত্যা করেছে।
ওই বাসায় আরাফাতসহ তিনজন মেস করে থাকত। তাদের একজন রিমন চৌধুরী জানায়, তারা তিন বন্ধু মিলে ওই বাসায় মেসে থাকত। সন্ধ্যার দিকে আরাফাতের কক্ষ বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করে তারা। কোনো সাড়া না পেয়ে ভবনের কেয়ারটেকারের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আরাফাতকে ফ্যানের সঙ্গে চাদর প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন। পরে দ্রুত তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে রাত পৌনে আটটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো.
আরাফাতের বাবা আব্দুল আল মামুন চট্টগ্রাম বন্দরে চাকরি করেন। তাঁদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার কালিকা প্রসাদ গ্রামে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হাসপাতালে নেই এন্টিভেনম, ২ সপ্তাহে সাপের কামড়ে মৃত ৫
ঠাকুরগাঁওয়ে সাপের কামড়ে গত দুই সপ্তাহে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলার হাসপাতালগুলোতে এন্টিভেনম না থাকায় সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন রোগীরা।
সর্বশেষ শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্ত এলাকার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের স্কুলছাত্র সাকিবুল ইসলাম (পঞ্চম শ্রেণি) বিষধর সাপের কামড়ে মারা যায়।
জানা যায়, সাপে কামড়ানোর পর তাকে প্রথমে বালিয়াডাঙ্গী, পরে হরিপুর, এরপর ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতাল এবং সবশেষে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এসব হাসপাতালের কোথাও এন্টিভেনম মজুত ছিল না। পরে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় সাকিবুলের।
সাকিবুলের বাবা ইসরাইল উদ্দীন বলেন, “চারটা হাসপাতালে নিয়েও ভ্যাকসিন পাইনি। কোলের উপরেই ছেলেকে হারালাম। আর যেন কোনো বাবার বুক খালি না হয়, সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিক।”
অন্যদিকে, সাকিবুলের মতো পীরগঞ্জের স্কুলছাত্র তারেক, রাণীশংকৈলের কলেজছাত্র মোকসেদ আলী এবং হরিপুরের গৃহবধূ সম্পা রানীসহ গত দুই সপ্তাহে জেলায় সাপের কামড়ে মারা গেছে অন্তত পাঁচ জন।
সম্পা রানীর স্বামী জিতেন বলেন, “হাসপাতালে ভ্যাকসিন না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ওঝার কাছে যেতে হয়েছে। তবুও স্ত্রীকে বাঁচাতে পারিনি। দেড় বছরের সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছি।”
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আজমুল হক বলেন, “বর্ষার সময়ে সাপের কামড়ের ঘটনা বেশি হয়। প্রতি বছর জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে ভ্যাকসিন পাঠানো হয় বর্ষা শেষের দিকে। অথচ আগে থেকেই মজুত রাখা উচিত।”
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. মো. আনিছুর রহমান বলেন, “চাহিদা পাঠানোর পরও কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে এন্টিভেনম পাওয়া যায়নি। সেখানেও সংকট রয়েছে। চেষ্টা করছি দ্রুত আনার।”
সাপের কামড়ে মৃত্যুর এই ধারাবাহিক ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামাঞ্চলে। চিকিৎসক ও সচেতন মহল বলছে, বর্ষার শুরুতেই প্রতিটি উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে পর্যাপ্ত এন্টিভেনম সরবরাহ করতে হবে।
ঢাকা/হিমেল/এস