পিএসএল দিয়ে ৬ মাস পর মাঠে ফিরছেন সাকিব
Published: 15th, May 2025 GMT
গত বছরের নভেম্বরের পর স্বীকৃত ক্রিকেটে আর মাঠে নামা হয়নি সাকিব আল হাসানের। ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে ধোঁয়াশায় রেখে তিনিও চলে গিয়েছিলেন আড়ালে। তবে ছয় মাস পর তাঁকে আবার ক্রিকেট খেলতে দেখা যাবে।
আজ পাকিস্তান সুপার লিগের দল লাহোর কালোন্দার্স সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বার্তায় জানিয়েছে, সাকিব তাঁদের দলের হয়ে টুর্নামেন্টের বাকি অংশে খেলবেন। ১৭ মে ইসলামাবাদে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। পরদিনই লাহোরের ম্যাচ আছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি জানিয়েছে, হাতে চোট পাওয়া ড্যারিল মিচেলের বদলি হিসেবে সাকিবকে দলে নেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের গণমাধ্যমে পাঠানো লাহোরের আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে সাকিবের মন্তব্যও যুক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘এই মৌসুমের জন্য পিএসএলে যুক্ত হতে পেরে আমি খুবই খুশি। আমরা টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আছি, যেখানে প্রতিটা ম্যাচ নিয়েই হিসাব হচ্ছে। এটা এমন টুর্নামেন্ট, যা দেখতে আমি পছন্দ করি। এখন আমি মাঠে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। কালান্দার্সের দারুণ সমর্থক গোষ্ঠী, টিম স্পিরিট আছে। ভালো একটা ফল চায়, এমন দলের অংশ হওয়া নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত।’
বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, পিএসএলে খেলতে কাল রাতে বোর্ডে অনাপত্তিপত্রের জন্য আবেদন করেছেন সাকিব। এখনও তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়নি। তবে নীতিগতভাবে সাকিবকে তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত আছে বিসিবির।
আরও পড়ুন৬ কোটি রুপি কি আসলেই পাবেন মোস্তাফিজ১২ ঘণ্টা আগেসাকিবকে দলে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন লাহোর কালান্দার্সের টিম ডিরেক্টর সামিন রানার। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি সাকিবের লাহোর কালান্দার্স পরিবারে যুক্ত হওয়া নিয়ে রোমাঞ্চিত। তাঁর অভিজ্ঞতা, স্কিল ও অলরাউন্ড সক্ষমতা আমাদের দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন—বিশেষত টুর্নামেন্টের গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে। তাঁর উপস্থিতি আমাদের স্কোয়াডের গভীরতা বাড়াবে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে সাকিবের যোগ দেওয়া মাঠের ভেতরে ও বাইরে শক্তিশালী প্রভাব ফেলবে।’
এবারের পিএসএলে লাহোর ৯ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে। লিগ পর্বে আর একটি ম্যাচই বাকি আছে দলটির। সেরা চারে থাকলে প্লে–অফে উঠবে লাহোর।
টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিবের অভিজ্ঞতার ভান্ডার বেশ সমৃদ্ধ। এই সংস্করণে সব মিলিয়ে ৪৪৪ ম্যাচ খেলা এই অলরাউন্ডার ৭৪৩৮ রানের সঙ্গে বল হাতে নিয়েছেন ৪৯২ উইকেট। পিএসএলে এর আগে পেশোয়ার জালমি ও করাচি কিংসের হয়েও খেলেছেন সাকিব। খেলেছেন আইপিএলসহ সব বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই।
সাকিব সর্বশেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছেন গত বছরের ৩০ নভেম্বরে আবুধাবি টি–টেন লিগে বাংলা টাইগার্সের হয়ে।
আরও পড়ুন৪ ম্যাচ জিতে ৯ কোটি টাকা পাচ্ছে বাংলাদেশ১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রবি শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি প্রত্যাহার, যমুনা সেতুতে যান চলাচল স্বাভাবিক
যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কে হওয়া ব্লকেড ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ১ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১ টা ১০ মিনিটে এ কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা।
এর আগে, স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে যমুনা সেতু পশ্চিমে মহাসড়ক ব্লকেড করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়েন।
আরো পড়ুন:
দ্বিতীয় তিস্তা সেতু উদ্বোধনের নতুন তারিখ ঘোষণা
উদ্বোধনের আগেই ঝুঁকিতে পড়ছে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু
এর আগে, স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দাবিতে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে যমুনা সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায় ঢাকা ও উত্তরবঙ্গমুখী উভয় লেন বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচীর কারণে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
ব্লকেড প্রত্যাহারের পর ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী উভয় লেনে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। এতে উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়েন। বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান মহাসড়কে স্বাভাবিকভাবে যান চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া জিহাদ বলেন, “১১টা ৫০ মিনিটে যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কে শিক্ষার্থীরা বসে পড়েন। এতে উভয় লেনেই যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ১ ঘণ্টা মহাসড়কে বিক্ষোভ করার পরে সড়ক ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “আজকে রেল ও সড়ক পথ অবরোধের কথা ছিল। কিন্তু বুধবার (১৩ আগস্ট) উল্লাপাড়ায় রেলপথ অবরোধের কারণে সিডিউল বিপর্যয় ঘটে। জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা রেলপথ ছেড়ে দিয়েছি। তবে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে বিক্ষোভ করার পর মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছি। শিগগিরই আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।”
প্রতিষ্ঠার ৯ বছরেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের (ডিপিপি) অনুমোদন না হওয়ায় আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের সঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত একটানা কর্মসূচিতে মহাসড়ক অচল করে দেয় শিক্ষার্থীরা। তখন সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করায় আন্দোলন স্থগিত করা হয়। এরপর ৬ মাসেও ডিপিপি অনুমোদন না হওয়ায় ২৬ জুলাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি বয়কটের মধ্য দিয়ে পূণরায় আন্দোলন শুরু হয়।
ঢাকা/রাসেল/মেহেদী