গুম খুন অপহরণে জড়িতদের বিচার চাইলো ভুক্তভোগী পরিবার
Published: 17th, May 2025 GMT
বিগত সরকারের সময়ে গত ১৬ বছরে গুম, খুন ও অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের বিচার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীদের পরিবার। তারা বলেছেন, নিছক একটি নির্বাচনের জন্য আমরা ফ্যাসিবাদীদের বিতাড়ন করিনি। গুম খুন অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন চাই না। আমরা আমাদের স্বজনদের নিখোঁজের পেছনে যারা জড়িত তাদের ফাঁসি চাই।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ গুম পরিবার’ আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়। এতে গুম খুন অপহরণের শিকার বেশ কিছু ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ‘বাংলাদেশ গুম পরিবার’ এর প্রধান সমন্বয়ক বেল্লাল হোসেন, সহকারী সমন্বয়ক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, মো.
সমাবেশ থেকে গুম হওয়া পরিবারগুলোকে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বা অনুদান প্রদান, প্রতিটি পরিবারকে মাসিক ভাতা ও একজনকে চাকরির সুযোগ, প্রতিটি পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও প্রশাসনের সংস্কার, ভিকটিম পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে একজনকে সচিবালয়ে প্রবেশের অনুমতি পাস কার্ডের ব্যবস্থা, সকল মামলা প্রত্যাহার, প্রশাসনের হয়রানি থেকে মুক্তি এবং গুম খুন অপহরণে জড়িত র্যাবকে অতিদ্রুত বিলুপ্তসহ ১১ দফা দাবি জানানো হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অপহরণ গ ম খ ন অপহরণ পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাশিল্পীকে মারধর-নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
ময়মনসিংহ নগরীতে এক নারী যাত্রাশিল্পীকে মারধর করে, চুল কেটে দিয়ে ও মুখে কালি মাখিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা করেন।
গ্রেপ্তার শাহ আলম (৪০) চরকালীবাড়ি এলাকার মো. রাশেদের ছেলে। তিনি মামলার ৩ নম্বর আসামি। তাকে জুবিলী ঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার নৃত্যশিল্পীর নাম মোছা. রুপা নগরের বড় কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। তারা নগরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড় এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মাসুদ জামেলী বলেন, “ওই নারীকে বেঁধে রেখে চুল কেটে মারধর করা হয়েছে। মুখে কালি মাখিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুটি পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই মামলা চলছিল। অপহরণ মামলার আসামিরা জামিনে ছিলেন। আদালতের আরেকটি ভাঙচুরের মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ গত বুধবার দুপুরে ফিরে আসে। তখন প্রতিপক্ষ রাস্তায় রুপাকে আটকে নির্যাতন চালায়।”
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, বড় কালীবাড়ি লোকনাথ মন্দির-সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরের একটি বস্তিতে বাস্তুহারা সমবায় সমিতির কাছ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে ৩ লাখ টাকায় একটি জমি কেনেন রুপা। গত বছর সেখানে আধা পাকা ঘর করতে গেলে সমবায় সমিতির সদস্য শাহ আলম চাঁদা দাবি করেন।
এক লাখ টাকা দেওয়ার পর আরো ১০ লাখ টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা না পেয়ে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর রুপার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় রুপা আদালতে মামলা করেন। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে চলতি বছরের ৬ এপ্রিল রুপার অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে মো. রনি সুলতানকে অপহরণ করা হয়।
এ ঘটনায় রুপা ৯ এপ্রিল মামলা করলে আসামি শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। রুপার করা ভাঙচুর মামলার তদন্ত করতে পুলিশ বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে যায়।
পুলিশ চলে যাওয়ার পর প্রতিপক্ষ রাস্তায় রুপাকে ধরে নিয়ে বেঁধে মারধর করে, চুল কেটে ও মুখে কালি মেখে হেনস্তা করে। এসময় তার সামনে মাদক ও টাকা রেখে ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
পরে রুপার স্বামী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
রুপা বলেন, ‘‘পুলিশ চলে যাওয়ার পরই আমাকে রাস্তায় ধরে নিয়ে গিয়ে বেঁধে চুল কেটে মুখে কালি মেখে দেয়। আমি বিচার চাই।’’
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শিবিরুল ইসলাম বলেন, “মামলা তদন্ত করে পুলিশ ফিরে আসার পর ওই নারীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে এবং একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।”
ঢাকা/মিলন/এস