বিগত সরকারের সময়ে গত ১৬ বছরে গুম, খুন ও অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের বিচার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীদের পরিবার। তারা বলেছেন, নিছক একটি নির্বাচনের জন্য আমরা ফ্যাসিবাদীদের বিতাড়ন করিনি। গুম খুন অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন চাই না। আমরা আমাদের স্বজনদের নিখোঁজের পেছনে যারা জড়িত তাদের ফাঁসি চাই।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ গুম পরিবার’ আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়। এতে গুম খুন অপহরণের শিকার বেশ কিছু ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। 

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ‘বাংলাদেশ গুম পরিবার’ এর প্রধান সমন্বয়ক বেল্লাল হোসেন, সহকারী সমন্বয়ক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, মো.

সাগর আহমেদ, মো. বাবুল হোসেন, মো. বাবুল মিয়া, আকলিমা খানম, রেশমা আক্তার, গোলাপ খানম, জসীম উদ্দীন, তমা আক্তার প্রমুখ। 

সমাবেশ থেকে গুম হওয়া পরিবারগুলোকে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বা অনুদান প্রদান, প্রতিটি পরিবারকে মাসিক ভাতা ও একজনকে চাকরির সুযোগ, প্রতিটি পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও প্রশাসনের সংস্কার, ভিকটিম পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে একজনকে সচিবালয়ে প্রবেশের অনুমতি পাস কার্ডের ব্যবস্থা, সকল মামলা প্রত্যাহার, প্রশাসনের হয়রানি থেকে মুক্তি এবং গুম খুন অপহরণে জড়িত র‍্যাবকে অতিদ্রুত বিলুপ্তসহ ১১ দফা দাবি জানানো হয়।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অপহরণ গ ম খ ন অপহরণ পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লা থেকে অপহৃত শিশু জামালপুর থেকে উদ্ধার

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থেকে অপহৃত শিশু মোহাম্মদ রাসেলকে (৭) জামালপুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপুল চন্দ্র দে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহনপুর গ্রামের প্রয়াত দুলাল হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন ওরফে পাখি (২৫) ও জামালপুর সদর উপজেলার প্রয়াত ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো. সোহেল (৩৬)।

শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাসেল উপজেলার আশিরপাড় এলাকার আন নূর মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। ২১ জুন বেলা ১১টার দিকে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই দিন সন্ধ্যায় রাসেলের মা বাদী হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা করেন।

মনোহরগঞ্জ থানার ওসি বিপুল চন্দ্র দে বলেন, মাদ্রাসার সিসিটিভির ফুটেজে রাসেলকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া যায়। ২১ জুন বেলা ১১টায় এক অপহরণকারী খাবার কিনে দেওয়ার কথা বলে তাকে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় থানায় অপহরণের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। এরপর পুলিশের কয়েকটি দল ঘটনাটির তদন্তে নামে।

ওসি বিপুল চন্দ্র দে জানান, থানা-পুলিশের অভিযানে গত শনিবার রাতে জামালপুর সদর উপজেলার দিকপাইত এলাকা থেকে রাসেলকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় মূল অভিযুক্ত ইমরান হোসেনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভোলায় স্বামীকে নির্যাতনের পর স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, মামলা
  • ৫ আগস্ট শেরপুর কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
  • অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার জেল পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
  • স্কুলছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
  • চুরির অপবাদ দিয়ে শ্রমিককে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা, ভিডিও ভাইরাল
  • চুরির অপবাদ দিয়ে কারখানায় শ্রমিককে রশি দিয়ে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা, ভিডিও ভাইরাল
  • উখিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ অপহরণচক্রের আরও এক সদস্য গ্রেপ্তার
  • কুমিল্লা থেকে অপহৃত শিশু জামালপুর থেকে উদ্ধার
  • সাবের হোসেন চৌধুরীসহ ৬১ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে গুম ও হত্যার অভিযোগ
  • ৫ মাস আটকে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১