রাজধানীর বছিলায় পেট্রলবোমাসহ একজনকে আটক করেছে র্যাব
Published: 16th, November 2025 GMT
নাশকতার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে মো. ফেরদৌস নামের একজনকে আটক করেছে র্যাব–২। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ছয়টি পেট্রলবোমা, একটি সামুরাই, একটি গ্যাস লাইটার এবং একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আজ রোববার বিশেষ অভিযানে বছিলা গার্ডেন সিটির তুরাগ নদীর সীমানা পিলারের কাছে তাঁকে আটক করা হয়। ফেরদৌসের বাড়ি ভোলার দুলারহাটে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় থাকেন।
র্যাব–২ দাবি করেছে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ঘোষিত ‘লকডাউনকে’ কেন্দ্র করে মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তায়, রায়েরবাজার এলাকা ও আশপাশের এলাকায় নাশকতা করার উদ্দেশ্যে ফেরদৌস ও তাঁর সহযোগীরা জড়ো হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। প্রাথমিক যাচাই–বাছাইয়ে তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাসে অগ্নিসংযোগের সময় ধাওয়া খেয়ে তুরাগে ডুবে যুবকের মৃত্যু
রাজধানীতে বাসে অগ্নিসংযোগের সময় জনতার ধাওয়া খেয়ে তুরাগ নদীতে ডুবে মারা গেছেন এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় একজন পালিয়ে গেছে। তবে অপর একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) গভীর রাতে ডিএমপি গণমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর শাহআলী থানার উত্তর নবাবেরবাগ সোহেল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের পশ্চিম পার্শ্বে পাকা রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি ফাঁকা বাসে কয়েকজন যুবক প্লাস্টিকের বোতলে করে কেরোসিন ছিটিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। সেই ঘটনা তারা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখছিলো।
বিষয়টি আশপাশের লোকজনের নজরে এলে তারা দুষ্কৃতকারীদের ধাওয়া করে একজনকে হাতেনাতে আটক করে। এসময় তাদের একজন প্রাণভয়ে নিকটবর্তী তুরাগ নদীতে ঝাঁপ দেয় এবং অন্য একজন দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। সাঁতার না জানায় নদীতে ঝাঁপ দেওয়া দুষ্কৃতকারী পানিতে ডুবে যায়।
পরবর্তীতে উপস্থিত লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকনতাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে স্থানীয় লোকজন আটক দুষ্কৃতকারীকে পুলিশে সোপর্দ করে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, বাসে অগ্নিসংযোগের এই ঘটনায় জনতার হাতে ধাওয়া খেয়ে পানিতে ডুবে নিহত দুষ্কৃতকারীর নাম সাইয়াফ (১৮) এবং গ্রেপ্তারকৃত অপরজন রুদ্র মোহাম্মদ নাহিয়ান আমির সানি (১৮)।
নাশকতামূলক এই ঘটনায় জড়িত পলাতক অপর দুষ্কৃতকারীকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ঢাকা/এমআর/এস