দুই কর্মচারীর হাত-পা বেঁধে ২০ ভরি স্বর্ণ লুট
Published: 24th, May 2025 GMT
পটুয়াখালীর বাউফলে শিক্ষকের বাড়ি থেকে নগদ টাকাসহ ২০ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নিয়েছে ডাকাতেরা। শুক্রবার রাতে উপজেলার কালিশুরি ইউনিয়ন বাহেরচরে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতেরা ওই বাড়ির দুই কর্মীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে দোতলায় ওঠে ডাকাতি করে।
ভুক্তভোগী সজল চন্দ্র হালদার কালিশুরি কলেজের প্রভাষক। তাঁর ভাষ্য, রাতে ডাকাতেরা পাকা ভবনের ভেন্টিলেটর ও গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। তারা বাড়ির কর্মচারী সুজন ও মিঠুনকে অস্ত্রের মুখে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে দোতলায় ওঠে পড়ে।
রাত ২টার দিকে ‘স্যার’ সম্বোধনে দরজা খুলেই সজল চন্দ্র হালদার ডাকাতদের দেখতে পান। এ সময় তারা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তিনি ও তাঁর স্ত্রী ঝর্ণা রানীর কাছে টাকা ও স্বর্ণালংকারের খোঁজ করে। পরে পাঁচটি আলমারি ভেঙে নগদ ৯০ হাজার টাকা, ছয়টি সোনার চেইন, আটটি আংটি, দুই জোড়া রুলি, কঙ্কনসহ ২০ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। ভুক্তভোগীদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ডাকাতেরা পালিয়ে যায়।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতারুজ্জামান বলেন, ‘ওই শিক্ষকের কাছ থেকে ডাকাতির বিষয়ে জেনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছে পুলিশ।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল টপ ট স বর ণ স বর ণ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রীমঙ্গলে সেপটিক ট্যাংকে নেমে প্রাণ গেল ৪ তরুণের
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার হরিণছড়া চা বাগানে সেপটিক ট্যাংকে নেমে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেপটিক ট্যাংকের গ্যাসের বিষক্রিয়ায় এই মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন চিকিৎসক।
বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম (ওসি)। তিনি বলেন, ‘বুধবার রাত দেড়টার দিকে শ্রীমঙ্গলের হরিণছড়া চা বাগানে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে ৪ তরুণ মারা গেছে বলে শুনেছি ‘
নিহতরা হলেন- রানা নায়ক (১৭), শ্রাবণ নায়েক (১৯), কৃষ্ণ রবিদাস (২০) ও নিপেন ফুলমালি (২৭)। তারা শ্রীমঙ্গল হরিণছড়া চা বাগানের শ্রমিকের সন্তান।
এ ঘটনায় রবি বুনার্জী (২০) নামে একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, যে চারজনকে রাতে নিয়ে আনা হয়েছিল সবাই মৃত ছিল। পরে রবি বুনার্জী নামে একজনকে নিয়ে এলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তাদের স্বজনরা জানান, নিহতরা সেপটিক ট্যাংকে নেমেছিল। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।