প্রশাসন নিয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে নির্বাচনি সম্মেলনে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীর মন্তব্য একান্তই তার নিজের বলে জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। 

র‌বিবার (২৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে জামায়াত বলেন, বক্তব্যটি আমরা দেখেছি। এটা একান্তই উনার বক্তব্য। এটার ব্যাখ্যা উনি ভালো দিতে পারবেন। তার এই বক্তব্য জামায়াত সমর্থন করে না। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। এ ঘটনায় আমরা অভ্যন্তরীণভাবেও আমাদের মতো ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এতে আরো বলা হয়, আমরা মনে করি, প্রশাসন পূর্ণ পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। এখানে আমাদের হস্তক্ষেপের কিছু নেই। অতীতে প্রশাসনের যারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেননি, তারা দেশের ক্ষতি করেছেন।

এর আগে গত ২২ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম অঞ্চলের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির ডা.

শফিকুর রহমান। সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া আসনে জামায়াত প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী বলেন, “নির্বাচনে জয়লাভ করতে হলে প্রশাসনকে, প্রশাসনের সবাইকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। পুলিশকে, ওসিকে আমাদের পেছনে ছুটে আসতে হবে।”
 
তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন শুধু জনগণ দিয়ে হয় না। প্রশাসনকে আমাদের কথায় উঠতে, বসতে হবে, মামলা দায়ের করবে, গ্রেফতার করবে। দলের প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ওসি সাহেব সকালে আপনার প্রোগ্রাম জেনে নেবেন এবং প্রটোকল দেবেন। এবার জামায়াতকে ক্ষমতায় নিতে আল্লাহ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন।”
 
শাহাজাহান চৌধুরী বলেন, “যতটুকু জেনেছি আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে জয়লাভ করতে হলে জনগণকে কাছে টানতে হবে। তাদের জন্য কিছু করতে হবে। না হলে তারা কেন ভোট দেবেন। ভোট পেতে হলে কাঁদতে হবে। চোখের পানি ফেলতে হবে। চোখে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর চেহারা ভাসতে হবে। তার কথা তুলে ধরে তার প্রতীক দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে ভোট চাইতে হবে।”
 
শাহজাহান চৌধুরী আরো বলেন, “এখন যে সুযোগ এসেছে, সেই সুযোগ আর আসবে না। শুধু মুখে মুখে আমিরকে জামায়াতকে সব আসন উপহার দিয়ে দিলে হবে না। আসন উপহার দেওয়ার জন্য কাজ করতে হবে। দেয়ালে কান ঠেকিয়ে জনগণের পালস বুঝতে হবে। মানুষ জানতে চায় নির্বাচনে জিতলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন। জামায়াতে ডজন ডজন যোগ্য নেতা আছে। তবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী হবেন আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান।”

সম্মলনে জামায়াত আমির নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের পক্ষে যারা দায়িত্ব পালন করবেন এবং প্রচার-প্রচারণার দায়িত্বে থাকবেন তাদের বিভিন্ন পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনে কিছু দুষ্টুলোক অপকর্ম করার চেষ্টা করে। তাদের সেই চেষ্টা রুখে দিতে হবে। অনেক প্রার্থী ভোটারদের টাকা দিয়ে কিনে নিতে চান। সেটা করতে দেওয়া যাবে না। এ নিয়ে মানুষকে বোঝাতে হবে।”
 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ হজ হ ন চ ধ র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম গণসংযোগ করলেন বিএনপি নেতা ইসরাফিল খসরু

নির্বাচনী প্রচারণায় জমে উঠছে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর পতেঙ্গা) আসন। এই আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। তবে দলের মনোনয়নের জন্য দীর্ঘদিন ধরে মাঠে সক্রিয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু। তিনি প্রতিদিনই এলাকায় সভা, সমাবেশ ও উঠোন বৈঠক করছেন। গতকাল শনিবার নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় গণসংযোগ শুরু করে বারিক বিল্ডিং মোড়ে সমাবেশ করেন ইসরাফিল খসরু।

বিগত ১৭ বছর বিএনপির কেউ মাঠ ছেড়ে যায়নি মন্তব্য করে ইসরাফিল খসরু বলেন, বিএনপি জনগণের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছে। তাই আগামী নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রশাসনে নিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনা হবে, বিচার বিভাগ স্বাধীন করা হবে এবং তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি জাতির পুনর্জাগরণের নীলনকশা। এই দফাগুলোর মাধ্যমে দেশে সুশাসন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

গত ৩ নভেম্বর বিএনপি ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের ১০টিতে প্রার্থী ঘোষণা হয়। চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। এ আসনে দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী ইসরাফিল খসরু ও নগর বিএনপির সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান। ইসরাফিল খসরু বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ছেলে। ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সালের নির্বাচন পর্যন্ত পরপর চারবার এ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আমীর খসরু মাহমুদ।

এবারের নির্বাচনে এক পরিবার থেকে একজনকে প্রার্থী করার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপির। এর মধ্যেও দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরাফিল খসরু প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আশাবাদী। বাকিটা দলের নীতিনির্ধারকদের বিষয়।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদেশিদের সঙ্গে বন্দর চুক্তি বাতিল না করলে যমুনা ঘেরাওয়ের ঘোষণা বাম জোটের
  • কয়েক দিনের মধ্যেই এনসিপি–এবি পার্টিসহ নতুন জোট: মজিবুর রহমান
  • বিদেশিদের দালালি করা দলকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না জনগণ 
  • সিএমএম আদালতে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত
  • নির্বাচনে জয়ী হলে আমরা জনগণের খাদেম হব, শাসক নয়: জামায়াত নেতা বুলবুল
  • চট্টগ্রাম গণসংযোগ করলেন বিএনপি নেতা ইসরাফিল খসরু
  • জাতীয় পার্টির মাধ্যমে আ. লীগ পুনর্বাসনের চক্রান্ত জনগণ মানবে না: নাহিদ
  • নির্বাচন হতেই হবে, না হলে দেশে সংকট হবে: ডা. শফিকুর
  • নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে নতুন ইতিহাস রচিত হবে: ডা. শফিকুর