পুলিশের কাছ থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ৯ জন গ্রেপ্তার
Published: 25th, May 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় আশরাফ উদ্দিন নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০০ জনকে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কমলনগর থানায় মামলাটি করা হয়। মামলার পর অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এর আগে গতকাল দুপুরে দিকে কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে হ্যান্ডকাপ লাগানো অবস্থায় আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ উদ্দিনকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। আশরাফ কমলনগর উপজেলার চর কাদিরীয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
পুলিশ বলছে, আশরাফ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, হত্যাচেষ্টা ও নাশকতা মামলার পলাতক আসামি। তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলাটি করেছেন কমলনগর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) প্রদীপ চন্দ্র দাস। মামলায় আশরাফ উদ্দিনকে প্রধান আসামি করা হয়।
এলাকাবাসী জানান, আশরাফ উদ্দিনকে কমলনগর থানার এএসআই প্রদীপ চন্দ্র দাস ও কনস্টেবল আরজু গ্রেপ্তার করেন। পরে তাঁর হাতে হ্যান্ডকাপ লাগানো হয়। আশরাফকে গ্রেপ্তারের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কয়েক শ নারী-পুরুষ একত্র হয়ে পুলিশের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা হ্যান্ডকাপসহ আশরাফকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন। পরে খবর পেয়ে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে পুলিশের হ্যান্ডকাপটি উদ্ধার করেন।
ওসি তৌহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি কাজে বাধার অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৯ জনকে অভিযান চালিয়ে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। ছিনিয়ে নেওয়া আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কমলনগর উপজ ল কমলনগর থ ন র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুরে মাদক মামলার আসামিকে ধরতে গিয়ে হামলায় এএসআইসহ আহত ৩
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে ধরতে গিয়ে পুলিশের দুই সদস্যসহ তিনজন হামলার শিকার হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ওমর ফারুক, কনস্টেবল নাজমুল আহসান ও স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন মিয়া।
এদিকে হামলার ঘটনায় করা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ি এলাকার হাবিবুর রহমান (৫৫) ও জোহরা বেগম (৪৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বুরুঙ্গা পোড়াবাড়ি গ্রামের মাজম আলীর (৪০) বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। গতকাল বিকেল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে যায় নালিতাবাড়ী থানা-পুলিশের একটি দল। এ সময় মাজম আলীসহ কয়েকজন পোড়াবাড়ি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়ির রান্নাঘরে বসে ইয়াবা কেনাবেচা করছিলেন। তখন দলটি অভিযানে গেলে আসামির স্বজনেরা লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এতে ওই এএসআই ও কনস্টেবল আহত হন। আসামির স্বজনদের ঠেকাতে গিয়ে হামলার শিকার হন স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন মিয়া। পরে তাঁদের উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সকাল পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ওমর ফারুক ও শাহীন মিয়া।
পুলিশ জানায়, হামলার ঘটনার পর গত রাতেই অভিযান চালিয়ে জড়িত সন্দেহে হাবিবুর ও জোহরাকে আটক করা হয়। পরে রাতে মামলার পর তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।