রিয়ালের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা—আলোনসোই কোচ
Published: 25th, May 2025 GMT
বিষয়টি জানা হয়ে গিয়েছিল আগেই। কার্লো আনচেলত্তি রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়েছেন, জাবি আলোনসো ছেড়েছেন বায়ার লেভারকুসেন। আনচেলত্তির পরবর্তী গন্তব্য যে ব্রাজিল, সেটা আনুষ্ঠানিকভাবেই জানানো হয়েছিল। আনুষ্ঠানিক ছিল না, তবে সংবাদমাধ্যম মারফত সবাই জেনেই গিয়েছিল যে রিয়ালে আনচেলত্তির শূন্য জায়গা পূরণ করতে যাচ্ছেন আলোনসো।
অবশেষে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও এসে গেছে। রিয়াল জানিয়ে দিয়েছে, তাদের পরবর্তী কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন আলোনসো। স্পেন ও রিয়ালের সাবেক মিডফিল্ডার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর দায়িত্ব নেবেন ১ জুন থেকে। তাঁর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ ৩ বছর। অর্থাৎ ২০২৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।
জার্মান কাপের ট্রফি হাতে জাবি আলোনসো.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জানেন কি, মসজিদে নববিতে ৫টি মিহরাব
মসজিদে নববি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর মসজিদ। তিনি নিজে এই মসজিদ নির্মাণে অংশ নিয়েছেন এবং এর সংলগ্ন ঘরে বাকি জীবন কাটিয়েছেন। এখনো তাঁর ‘রওজা’ এই মসজিদের ভেতরেই। এই মসজিদে প্রবেশ করলে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি স্বভাবত এর অপূর্ব মিহরাবগুলোর দিকে যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, মিহরাবে সৌন্দর্যবর্ধনের ইতিহাস শুরু হয় ৮৮৮ হিজরিতে সুলতান কায়তবাইয়ের (১৪৬৮-১৪৯৬ খ্রি.) নেতৃত্বে। পরবর্তী সময়ে বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ লক্ষ করেন, মিহরাবগুলো তাদের মূল রূপ ও সৌন্দর্য হারাচ্ছে। তাই তিনি ১৪০৪ হিজরিতে এর খিলানগুলো সংস্কার করেন।
মসজিদে নববিতে মোট ৫টি মিহরাব রয়েছে। এর কোনোটি নবীযুগে নির্মিত, কোনোটি পরবর্তী যুগের ‘খলিফারা’ যুক্ত করেছেন।
১. মিহরাবে নববি
মিহরাবে নববি হলো মহানবী (রা.)-এর ব্যবহৃত মিহরাব। এখনো মিহরাবটি সেই স্থানে অবস্থিত, যেখানে নবী মুহাম্মদ (সা.) নামাজের ইমামতি করতেন। আজও মসজিদে নববীর ইমাম এই একই স্থান থেকে নামাজের নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন মদিনা যাত্রায় মনের কোণে যত কথা২১ জুন ২০২৪মিহরাবে সৌন্দর্যবর্ধনের ইতিহাস শুরু হয় ৮৮৮ হিজরিতে সুলতান কায়তবাইয়ের (১৪৬৮-১৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দ) নেতৃত্বে। পরবর্তী সময়ে বাদশাহ ফাহাদ বিন আবদুল আজিজ লক্ষ করেন, মিহরাবগুলো তাদের মূল রূপ ও সৌন্দর্য হারাচ্ছে।২. মিহরাবে তাহাজ্জুদ
মিহরাবে তাহাজ্জুদ মসজিদের উত্তর দিকের ঘরে অবস্থিত। এটি সেই স্থানের প্রতীক, যেখানে নবীজি (সা.) তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। ইতিহাসবিদদের মতে, ৬৪৩ হিজরিতে ইবনে নাজ্জারের সময় এই মিহরাব ছিল, কিন্তু পরে তা সরিয়ে ফেলা হয়। উসমানীয় শাসকেরা পরবর্তীকালে লাল পাথর দিয়ে আবার তা নির্মাণ করেন। মিহরাবে তাহাজ্জুদের আয়াত সোনার অক্ষরে খোদিত আছে।
৩. মিহরাবে ফাতেমা
মিহরাবে ফাতেমা নবীজির (সা.)-এর ‘হুজরা’র (কক্ষ) ভেতরে অবস্থিত। এটি মামলুক যুগে নির্মিত হয় এবং মিহরাবে নববীর সঙ্গে এর বেশ মিল রয়েছে।
৪. মিহরাবে উসমানি
মিহরাবে উসমানি মসজিদের কিবলামুখী দেয়ালে নির্মিত। এটি প্রথম নির্মাণ করেন উমাইয়া খলিফা আল-ওয়ালিদ বিন আবদুল মালিক। পরে ৮৮৮ হিজরিতে সুলতান কায়তবাই এটি সংস্কার করে নতুন রূপ দেন।
৫. মিহরাবে সুলায়মানি
মিহরাবে সুলায়মানি নবম শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে নির্মিত এবং মসজিদে নববীর মিম্বরের পশ্চিমে তৃতীয় স্তম্ভে অবস্থিত। ৯৪৮ হিজরিতে সুলতান সুলায়মান খান এটি পুনর্নির্মাণ করেন এবং এর নামকরণ করেন মিহরাবে সুলায়মানি। তিনি এতে সাদা ও কালো ফুলের নকশাযুক্ত পাথর স্থাপন করেন, যা আজও রয়েছে।
সূত্র: দ্য ইসলামিক ইনফর্মেশন ডটকম
আরও পড়ুনকাবা সম্পর্কে যে ৯টি তথ্য জানা উচিত২১ মে ২০২৫