কিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন
Published: 27th, May 2025 GMT
কিশোর কুমারের জীবন ছিল বৈচিত্র্যে ভরা। ৫৮ বছর বয়সের এই শিল্পীকে নিয়ে নানা কথা শোনা যায়। কোনটা সত্য আর কোনটা গুজব, বলা মুশকিল। তাঁকে নিয়ে বহুল প্রচলিত একটি কথা, তিনি নাকি ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন। সত্যিই কি তা–ই? সম্প্রতি ভিকি লালওয়ানির ইউটিউব চ্যানেলে এসেছিলেন কিশোর কুমারের ছেলে অমিত কুমার। বাবাকে নিয়ে প্রচলিত অনেক কথাই খোলাসা করেন তিনি।
অমিত প্রথমেই জানান, সত্যি সত্যিই বাড়িতে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন কিশোর কুমার। অনেকের ধারণা, মানুষকে ভয় দেখাতেই এমনটা করতেন শিল্পী। তবে সাক্ষাৎকারে অমিত বলেন, তাঁদের বাড়িতে মাথার খুলি রয়েছে, যদিও সেটা কাউকে ভয় দেখানোর জন্য নয়। তিনি বলেন, ‘ওগুলো আমরাই এনেছিলাম। আমরা পূর্ব আফ্রিকার নাইরোবিতে শো করতে গিয়েছিলাম। বাবার শখ ছিল, এ রকম অ্যান্টিক টাইপের (প্রাচীন জিনিসপত্র) জিনিস সংগ্রহ করা। ফেরার পথে আমরা এগুলো নিয়ে এসেছিলাম, ওগুলো এখন ট্রাস্টের কাছে আছে।’
অমিত জানান, কিশোর কুমার আফ্রিকান সংস্কৃতি ও সংগীত পছন্দ করতেন। তাঁর গানে বিশ্ব সংস্কৃতিরও প্রতিফলন ঘটেছে। অমিত কুমারকে প্রশ্ন করা হয়, তাঁর বাবার ভাবমূর্তি নিয়েও কথা হতো, অনেকে তাঁকে অহংকারী মানুষ বলতেন। অমিত এ বিষয়ে বলেন, ‘এগুলো সবই গুজব। উনি নিজেই নিজেকে নিয়ে মজা করতেন। বাবা (কিশোর কুমার) বলতেন, “আচ্ছা, পৃথিবী আমাকে পাগল বলে, আমি নিজেও তো বলি, এই পৃথিবী পাগল। যে আমাকে পাগল বলে, তাদের বলতে দাও। এটা খারাপ কিছু নয়।” বাবা ভাবতেন, সবাইকেই একদিন এই কঙ্কালের মতো হয়ে যেতে হবে।’
একই সাক্ষাৎকারে অমিত কুমার চলচ্চিত্র প্রযোজক এস ডি নারাংয়ের সঙ্গে তাঁর বাবার এক সাক্ষাতের গল্পও বলেন। কিশোর কুমার সম্পর্কে অদ্ভুত সব গল্প শুনে নারাং একবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বারবার মেঝেতে পা ঠুকছিলেন। কিশোর কুমার বিভ্রান্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কেন তিনি এটা করছেন। উত্তরে নারাং বলেন, ‘আমি শুনেছি, মেঝেটা তুমি তৈরি করেছ যা খুলে যায় এবং মানুষ ভেতরে পড়ে যায়; এটা একটা ফাঁদের দরজার মতো।’
আরও পড়ুন‘মানিক মামা’কে চিঠিতে যা লিখেছিলেন কিশোর কুমার২৪ এপ্রিল ২০২১এ কথা শুনেই কিশোর কুমার হাসিতে ফেটে পড়েন এবং তাঁকে বলেন, এমন কিছুই নেই। ১৯৮৭ সালের ১৩ অক্টোবর মুম্বাইতে মারা যান কিশোর কুমার।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ে বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বরের বাবার মৃত্যু
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিয়ে বাড়ির আলোকসজ্জায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন বরের বাবা বিষু পাল (৬৫)। বুধবার (৩০ জুলাই) উপজেলার গুনই মদনমুরত গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, বিষু পালের বড় ছেলে বিজয় পালের বিয়ে ঠিক হয় ৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার)। সেই উপলক্ষে বাড়িতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। বাড়ির একটি গ্রিলে অস্থায়ী বিদ্যুৎ লাইনের তার ঝুলছিল। যেখানে লিকেজ ছিল। সকালে অসাবধানতাবশত সেই গ্রিলে হাত দিলে বিষু পাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্দার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রামে সাপের কামড়ে সাপুড়ের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ কৃষকের মৃত্যু
বানিয়াচং থানার এসআই সজিব ঘোষ জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। বিয়ের আনন্দময় পরিবেশ হঠাৎ করে বিষাদে পরিণত হয়েছে। বিকেলে বিষু পালের পরিবারের সদস্যরা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদরে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঢাকা/মামুন/বকুল