কিশোর কুমারের জীবন ছিল বৈচিত্র্যে ভরা। ৫৮ বছর বয়সের এই শিল্পীকে নিয়ে নানা কথা শোনা যায়। কোনটা সত্য আর কোনটা গুজব, বলা মুশকিল। তাঁকে নিয়ে বহুল প্রচলিত একটি কথা, তিনি নাকি ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন। সত্যিই কি তা–ই? সম্প্রতি ভিকি লালওয়ানির ইউটিউব চ্যানেলে এসেছিলেন কিশোর কুমারের ছেলে অমিত কুমার। বাবাকে নিয়ে প্রচলিত অনেক কথাই খোলাসা করেন তিনি।

অমিত প্রথমেই জানান, সত্যি সত্যিই বাড়িতে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন কিশোর কুমার। অনেকের ধারণা, মানুষকে ভয় দেখাতেই এমনটা করতেন শিল্পী। তবে সাক্ষাৎকারে অমিত বলেন, তাঁদের বাড়িতে মাথার খুলি রয়েছে, যদিও সেটা কাউকে ভয় দেখানোর জন্য নয়। তিনি বলেন, ‘ওগুলো আমরাই এনেছিলাম। আমরা পূর্ব আফ্রিকার নাইরোবিতে শো করতে গিয়েছিলাম। বাবার শখ ছিল, এ রকম অ্যান্টিক টাইপের (প্রাচীন জিনিসপত্র) জিনিস সংগ্রহ করা। ফেরার পথে আমরা এগুলো নিয়ে এসেছিলাম, ওগুলো এখন ট্রাস্টের কাছে আছে।’

অমিত জানান, কিশোর কুমার আফ্রিকান সংস্কৃতি ও সংগীত পছন্দ করতেন। তাঁর গানে বিশ্ব সংস্কৃতিরও প্রতিফলন ঘটেছে। অমিত কুমারকে প্রশ্ন করা হয়, তাঁর বাবার ভাবমূর্তি নিয়েও কথা হতো, অনেকে তাঁকে অহংকারী মানুষ বলতেন। অমিত এ বিষয়ে বলেন, ‘এগুলো সবই গুজব। উনি নিজেই নিজেকে নিয়ে মজা করতেন। বাবা (কিশোর কুমার) বলতেন, “আচ্ছা, পৃথিবী আমাকে পাগল বলে, আমি নিজেও তো বলি, এই পৃথিবী পাগল। যে আমাকে পাগল বলে, তাদের বলতে দাও। এটা খারাপ কিছু নয়।” বাবা ভাবতেন, সবাইকেই একদিন এই কঙ্কালের মতো হয়ে যেতে হবে।’

একই সাক্ষাৎকারে অমিত কুমার চলচ্চিত্র প্রযোজক এস ডি নারাংয়ের সঙ্গে তাঁর বাবার এক সাক্ষাতের গল্পও বলেন। কিশোর কুমার সম্পর্কে অদ্ভুত সব গল্প শুনে নারাং একবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বারবার মেঝেতে পা ঠুকছিলেন। কিশোর কুমার বিভ্রান্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, কেন তিনি এটা করছেন। উত্তরে নারাং বলেন, ‘আমি শুনেছি, মেঝেটা তুমি তৈরি করেছ যা খুলে যায় এবং মানুষ ভেতরে পড়ে যায়; এটা একটা ফাঁদের দরজার মতো।’

আরও পড়ুন‘মানিক মামা’কে চিঠিতে যা লিখেছিলেন কিশোর কুমার২৪ এপ্রিল ২০২১

এ কথা শুনেই কিশোর কুমার হাসিতে ফেটে পড়েন এবং তাঁকে বলেন, এমন কিছুই নেই। ১৯৮৭ সালের ১৩ অক্টোবর মুম্বাইতে মারা যান কিশোর কুমার।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ