বন পুনরুদ্ধার ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন (ইকো-ট্যুরিজম) উন্নয়নে তুরস্কের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। মঙ্গলবার রাজধানীর পানি ভবনে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেনের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ আগ্রহের কথা জানান। 

বৈঠকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, হাতি-মানুষ দ্বন্দ্বপ্রবণ এলাকায় বন পুনরুদ্ধার এখন সময়ের দাবি। বনভূমি সংকোচন, খাদ্যঘাটতি এবং অনুপ্রবেশের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে হাতি মৃত্যুর ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। টেকসই বন ব্যবস্থাপনায় এখনই কার্যকর উদ্যোগ না নিলে পরিস্থিতি আরও সংকটাপন্ন হয়ে উঠবে। তুরস্কের অভিজ্ঞতা ও কারিগরি জ্ঞান কাজে লাগিয়ে এ সংকট মোকাবিলায় যুগান্তকারী সহযোগিতার সূচনা হতে পারে বলেও তিনি মত দেন। বিশেষ করে, উপযুক্ত গাছ রোপণ এবং স্থানীয় পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ইকো-ট্যুরিজম অবকাঠামো গড়ে তুলতে কারিগরি সহায়তার ওপর উপদেষ্টা জোর দেন। 

উপদেষ্টা জানান, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবেষ্টিত অঞ্চলে ইকো-ট্যুরিজম সাইট গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে পরিবেশের ওপর কম প্রভাব পড়বে। 

রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি জানান, তুরস্কের সরকারি সহযোগিতা ও সমন্বয় সংস্থা টিকা ঢাকায় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। পরিবেশবান্ধব খাতে মধ্যম পরিসরের প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত আছে তারা। 

রাষ্ট্রদূত সেন বলেন, বাংলাদেশে টেকসই পর্যটনের ক্ষেত্রে আমাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর বিপুল সুযোগ আছে। আমরা টিকার ঢাকা অফিসের মাধ্যমে উপদেষ্টার দপ্তরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করে সম্ভাব্য প্রকল্প চিহ্নিত ও বাস্তবায়নে কাজ করব। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত রস ক র উপদ ষ ট পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ