বার্সেলোনার হৃদয় যেন আজ নতুন করে আলোয় ভরে উঠেছে। যিনি আলো জ্বালিয়েছেন, তিনি ১৭ বছরের বিস্ময়বালক লামিনে ইয়ামাল। কাতালান ক্লাবটি তাদের এই উঠতি রত্নকে ২০৩১ সালের জুন পর্যন্ত বাঁধা পড়িয়েছে এক নবায়িত চুক্তির সুতোয়। এ যেন শুধু একটি স্বাক্ষর নয়, বার্সেলোনার ভবিষ্যৎ স্বপ্নে আঁকা এক উজ্জ্বল রূপরেখা।

মাত্র সাত বছর বয়সে লা মাসিয়ার ঘরদুয়ার পেরিয়েছিলেন ইয়ামাল। চোখেমুখে ছিল স্বপ্ন, আর পায়ে ছিল জাদু। সেই শিশুটি আজ বিশ্বের ফুটবল মানচিত্রে নিজের নাম লিখিয়েছেন সাহসে, দক্ষতায় আর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে। ২০২৩ সালের এক উজ্জ্বল এপ্রিল সন্ধ্যায়, ১৫ বছর বয়সে প্রথমবার সিনিয়র দলে পা রাখেন তিনি। এরপর থেকে আর থেমে থাকেনি তার উত্থানের স্রোত।

এ পর্যন্ত ১০৬ ম্যাচে ২৫টি গোল আর ৩৪টি অ্যাসিস্ট— এই সংখ্যাগুলোই বলে দেয় ইয়ামাল শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, বাস্তবতার নাম। ২০২৪-২৫ মৌসুমে তিনি হয়ে উঠেছিলেন বার্সেলোনার বিজয়ের অন্যতম কারিগর। ৫৫ ম্যাচে ১৮ গোল এবং ২৫ অ্যাসিস্টে যেভাবে তিনি মাঠে ঝড় তুলেছেন, তা কোচ থেকে সমর্থক, সবাইকে বিস্মিত করেছে।

আরো পড়ুন:

বিদায়ী রাতে নতুন যুগের ইঙ্গিত রিয়ালের

এল ক্লাসিকো: প্রথমার্ধেই ৬ গোল

এই অসাধারণ ফর্মের পুরস্কারও মিলেছে যথাযোগ্যভাবে। চুক্তি নবায়নের পাশাপাশি তিনি হয়েছেন ক্লাবের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত খেলোয়াড়দের একজন। তার বার্ষিক আয় এখন ২৬ মিলিয়ন ইউরো! অর্থের থেকেও বড় কথা, ক্লাবের আস্থা, ভবিষ্যতের রাশ তার হাতে তুলে দেওয়ার স্পষ্ট বার্তা।

বার্সেলোনার সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা এবং ক্রীড়া পরিচালক ডেকো একবাক্যে বলছেন, ‘‘এই চুক্তি আমাদের ভবিষ্যতের ভিত্তি, ইয়ামাল আমাদের আগামী দিনের প্রতীক।’’

আজকের এই চুক্তি শুধু একটি ফর্মাল আনুষ্ঠানিকতা নয়, এ এক বিশ্বাসের বন্ধন। বার্সা জানিয়ে দিলো ইয়ামাল কেবল তাদের বর্তমান নয়, তিনিই কাতালুনিয়ার ফুটবল ভবিষ্যতের সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প য ন শ ফ টবল ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ