সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নেস্‌লে বাংলাদেশ পিএলসি বাজারে নিয়ে আসছে নেসলে পুষ্টি গ্রো ৫+। বাংলাদেশে ৫ থেকে ৯ বছর বয়সী শিশুদের অপুষ্টি মোকাবেলার লক্ষ্যে এই পণ্যটি বাজারজাত করবে প্রতিষ্ঠানটি।

নেসলের সঙ্গে ব্যাপক আলোচনা এবং গবেষণার পর, বাংলাদেশের শীর্ষ এবং বৃহত্তম বহু-বিষয়ক সরকারি গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) এই বয়সের শিশুদের মধ্যে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি পূরণের জন্য এই সিরিয়াল-ভিত্তিক ফর্টিফায়ার তৈরি করেছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীর বিসিএসআইআর-এর কার্যালয়ে এই উদ্যোগের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিসিএসআইআর-এর চেয়ারম্যান ড.

সামিনা আহমেদ আশা প্রকাশ করে বলেন, নেস্‌লের সঙ্গে এই ধরনের যৌথ উদ্যোগ দেশের পুষ্টি প্রোফাইলকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করার সম্ভাবনা রাখে, এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনেও অবদান রাখবে।

অনুষ্ঠানে লিগ্যাল, রেগুলেটরি এফেয়ারস এবং কর্পোরেট এফেয়ারস ডিরেক্টর দেবব্রত রায় চৌধুরীসহ নেসলের অন্যান্য কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিসিএসআইআর-এর চেয়ারম্যানের পাশাপাশি মোহাম্মদ শোহেদুল হক পাটোয়ারী, সচিব বিসিএসআইআর, এবং মো. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সদস্য (উন্নয়ন), বিসিএসআইআর উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন স ল ব ল দ শ প এলস ব স এসআইআর অন ষ ঠ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন

পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) শুরু করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। এ নিয়ে আতঙ্ক চরমে পৌঁছেছে। 

বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ভারতীয় সীমান্তে জড়ো হচ্ছে শত শত মানুষ। পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থানা এলাকার হাকিমপুর সীমান্তে এমন ঘটনা দেখা গেছে। বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র এই সীমান্তেই জড়ো হয়েছেন নারী শিশু সহ অন্তত ৩০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক।

আরো পড়ুন:

সৌদিতে বাস-ট্যাংকার সংঘর্ষ, ৪২ ভারতীয় হজযাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা

দিল্লির আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর সহযোগী গ্রেপ্তার

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে, শহর থেকে বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশকারী এই বাংলাদেশিরা ফের বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য হাকিমপুর সীমান্তে এসে পৌঁছেছেন। কেউ দালালের মাধ্যমে কেউ আবার নিজেরাই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এসেছেন সীমান্তে। কিন্তু বিএসএফের বাধায় সীমান্তেই আটকে পড়েছেন এই বাংলাদেশিরা। 

আটকে পড়া ব্যক্তিরা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে ভারতে অনুপ্রবেশের পর তারা কলকাতা, দিল্লি, ব্যাঙ্গালুরু থেকে মুম্বাইয়ের মতো শহরে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ভারত জুড়ে শুরু হওয়া এসআইআরের কারণে জেল ও জরিমানা এড়াতে দেশে তারা ফিরতে চাইছেন। 

অফিসিয়াল বিবৃতি জারি না করলেও বিএসএফ সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে এমন ছবি শুধুমাত্র হাকিমপুর সীমান্তের নয়। এই সীমান্তে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের সংখ্যাটা অনেক বেশি। বিএসএফ জানিয়েছে, আটকে পড়া এই বাংলাদেশিদের মানবিক বিবেচনায় গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদের বাংলাদেশি নাগরিকত্বের দাবির স্বপক্ষে নিথিপত্র বিএসএফের ১৪৩ নম্বর ব্যাটালিয়ন খতিয়ে দেখছে। পরবর্তীতে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগের ভিত্তিতে আগামী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন