শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) সঙ্গে চুক্তি আছে ক্রিকেটারদের। দেশটির হয়ে ক্রিকেট খেলেন—এ জন্য মাসে বেতন পান, নেন আরও অনেক সুযোগ–সুবিধাও। অথচ দেশটির ক্রিকেটারদের দাবি, তাঁরা নাকি এসএলসির চাকরি করেন না।

এই দাবি নিয়ে গত মার্চে শ্রীলঙ্কার হাইকোর্টে একটি রিটও করেছিলেন দলটির ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক চারিত আসালাঙ্কা, টেস্ট অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও নারী দলের অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু এবং উইকেটকিপার আনুশকা সঞ্জীবনী। এই রিটে বোর্ডও তাঁদের পক্ষে ছিল।

রিটটি ছিল মূলত শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগের (আইআরডি) বিরুদ্ধে। সংস্থাটির আইন অনুযায়ী, ক্রিকেটাররা এসএলসির (সরকারি) চাকরি করেন এবং সেই অনুযায়ীই তাঁদের কর দিতে হবে। তবে তা মানতে রাজি নন ক্রিকেটাররা। কাল এ নিয়ে হাইকোর্টে শুনানি হয়েছে।

শেষ পর্যন্ত একটি সাময়িক সমঝোতায় পৌঁছেছে সব পক্ষ। এই মাস থেকে ব্যক্তিগতভাবে কর দেবেন ক্রিকেটাররা। তবে শেষ পর্যন্ত যদি আদালতের রায় ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে যায়, তাহলে সেই মাসগুলোর জন্য বাড়তি টাকা দিতে হবে তাঁদের।

এ নিয়ে ৬, ১৪ ও ১৮ নভেম্বর চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। তখনই চূড়ান্ত হবে ক্রিকেটাররা কি ব্যক্তিগতভাবে কর দেবেন, নাকি ক্রিকেট বোর্ডের চাকরিজীবী হিসেবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ