গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের অন্তত তিনটি স্থানে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটা থেকে মহাসড়কটির ইউটার্ন ও কয়েকটি বাস স্টপেজে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তি বেড়েছে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের।

সরেজমিন দেখা গেছে, শ্রীপুর ও গাজীপুর সদরের মাঝামাঝি স্থানে মহাসড়কের নতুন বাজার এলাকায় ইউটার্নের দক্ষিণ দিকে প্রায় দুই কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ইউটার্নে গাড়ি ঘোরানোর সময় সেখানে বিশৃঙ্খলার কারণে দফায় দফায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি বাস স্টপেজের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে বিভিন্ন গন্তব্যের বাসগুলো রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
মাওনা চৌরাস্তায় উড়ালসড়কের নিচের দুটি সড়ক গাজীপুরের সঙ্গে কিশোরগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলাকে যুক্ত করেছে। এই সড়কগুলো পার্শ্ব সড়কের সঙ্গে যুক্ত থাকায় সকাল থেকে আজ বেলা সাড়ে তিনটা নাগাদ সেখানে দফায় দফায় যানজট দেখা যায়। উড়ালসড়ক থেকে উত্তর দিকে এমসি বাজার ইউটার্ন, নয়নপুর ও শ্রীপুরের শেষ ইউটার্ন জয়নাবাজারে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। এ ছাড়া পার্শ্ব সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় মহাসড়কেও এর প্রভাব পড়েছে।

আরও পড়ুনটঙ্গীতে উড়ালসড়কে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ২০৪৭ মিনিট আগে

স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মহাসড়কের সঙ্গে লাগোয়া পার্শ্ব সড়কগুলো থেকে যানবাহন মূল সড়কে ওঠার সময় কিছু বিশৃঙ্খলা দেখা যাচ্ছে। এতে ইউটার্ন না থাকলেও অনেক জায়গায় যানজট দেখা দেয়। আজ শিল্পাঞ্চলের প্রায় সব কারখানা ছুটি হওয়ায় সড়কের ব্যাপকভাবে যানবাহনের চাপ পড়েছে। এ ছাড়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মিনিবাস, দূরপাল্লার বাসগুলো ব্যাপকভাবে মহাসড়কে চাপ বাড়াচ্ছে। এর মধ্যে মহাসড়কটির একাধিক লেন দখল করে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছে দূরপাল্লার যানবাহন।

আরও পড়ুনগাড়ির চাপ বেড়েছে, দু–এক স্থানে যানজট, আছে ভোগান্তি১৮ ঘণ্টা আগে

মাওনা থেকে জামালপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেন সাব্বির হোসেন নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, ‘গত রোজার ঈদে নির্বিঘ্নে যাইতে পারছি। কিন্তু এই ঈদে কী সমস্যা হইল? মাওনা থেকে বাসে উইঠা নয়নপুর আইসা আধঘণ্টা ধরে আটকে আছি।’ আরেক যাত্রী সালমা আক্তার বলেন, সড়কে যানবাহনগুলো চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে পুলিশ বাহিনীকে আরও তৎপর হওয়া প্রয়োজন। ময়মনসিংহ অভিমুখী যাত্রী সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘শুরুর দিনেই এত যানজট হইলে শুক্রবারে সড়কের কী অবস্থা হইব কেডা জানে?’

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশ তৎপর বলে জানিয়েছেন মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আইয়ুব আলী। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভ্রাম্যমাণ দলগুলো কাজ করছে। আমি নিজেও বিভিন্ন ইউটার্নে গিয়ে ওই সব এলাকায় নজর রাখছি। আশা করছি, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কের যানজট কমে আসবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য নজট র স ষ ট ইউট র ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানবাহনে ধীরগতি

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থেকে মির্জাপুরের গোড়াই পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহনের ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে। 

শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত মহাসড়কটিতে এ অবস্থা দেখা যায়। ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কেও ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। মহাসড়ক দুটিতে যানজটে আটকে থেকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ঈদে ঘরমুখী মানুষ।

বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। রাতে বেশ কয়েকটি স্থানে যানবাহন বিকল হয়ে মহাসড়কের দুই দিকে যানজটের সৃষ্টি হয়।

পুলিশ, যাত্রী ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দুটিতে যানবাহনের চাপ থাকায় থেমে থেমে যানজট তৈরি হয়েছে। এতে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী, চালক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। দীর্ঘ ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই হেঁটে এগিয়ে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের গাড়ি ধরতে চাইছেন। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থেকে মির্জাপুরের গোড়াই পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকা ধীরে ধীরে চলাচল করছে যানবাহন।

পরিবহন ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বৃহস্পতিবার শিল্পাঞ্চলগুলোর পোশাক কারখানায় ছুটি হওয়ায় লাখো মানুষ একই সঙ্গে নিজেদের গন্তব্যে যাত্রা করেন। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানবাহনের জন্য অপেক্ষায় থাকেন। এতে রাতভর মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট তৈরি হয়। ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষদের দীর্ঘ সময় যানবাহনে বসে থাকতে হচ্ছে। গরম ও যানজটে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েন শিশু, নারী ও বয়োজ্যেষ্ঠরা।

শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বোর্ডবাজার থেকে সালনা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় যানজট তৈরি হয়েছে। এসব এলাকায় থেমে থেমে চলছে গাড়ি। 

নাওজোর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম জানান, সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি যানবাহনের গতি সচল রাখতে হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা সর্বোচ্চ সচেষ্ট আছেন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্যাসেঞ্জার তোলায় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ে। যানবাহনের চাপ ও রাতে কয়েকটি স্থানে পরিবহন বিকল হওয়ায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাজীপুরের দুই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কমেছে, চলছে স্বাভাবিক গতিতে
  • মহাখালী টার্মিনালে বাস নেই, অনেক যাত্রীর টিকেট ফেরত
  • বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মসজিদে ধাক্কা, বাবা-ছেলের মৃত্যু
  • ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার যানবাহনে ধীরগতি
  • সরাইলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ১০ কিলোমিটারজুড়ে যানজট
  • পুকুরে উল্টে পড়ল গরুবোঝাই ট্রাক, যানজটে ভোগান্তি
  • ঈদে ঘরমুখো মানুষকে স্বস্থি দিতে সড়ক-মহাসড়কে র‌্যাব-১১
  • ঈদে ঘরমুখো মানুষকে স্বস্থি দিতে সড়ক-মহাসড়তে র‌্যাব-১১
  • স্লুইস গেট নির্মাণে কাটা হয়েছে প্রধান সড়ক, দুর্ভোগ