ফাইনালে উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন স্টার্কের, কার রেকর্ড ভাঙল
Published: 12th, June 2025 GMT
আইসিসি আয়োজিত বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের ফাইনালে সবচেয়ে বেশি উইকেট কার জানেন কি?
উত্তরটা এখন মিচেল স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার গতকাল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের প্রথম দিনে ২ উইকেট নিয়েই নতুন রেকর্ড গড়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার রায়ান রিকেলটনকে স্লিপে উসমান খাজার ক্যাচ বানিয়েই রেকর্ডটা নিজের করে নিয়েছেন স্টার্ক।
ওয়ানডে বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল মিলিয়ে এটি ছিল স্টার্কের ১১তম উইকেট। স্টার্ক ভেঙেছেন ভারতের মোহাম্মদ শামির রেকর্ড—১০ উইকেট। কাল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের প্রথম ওভারেই এইডেন মার্করামকে বোল্ড করে শামিকে ছুঁয়ে ফেলেছিলেন ৩৫ বছর বয়সী পেসার।
স্টার্ক খেলছেন আইসিসি টুর্নামেন্টের পঞ্চম ফাইনাল। তাঁর খেলা প্রথম ফাইনাল ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। মেলবোর্নে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে পঞ্চম বিশ্বকাপ এনে দিতে ভূমিকা রেখেছিলেন স্টার্ক।
৬ বছর পর ২০২১ সালে দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ ওভারে ৬০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন স্টার্ক। বেধড়ক মার খেলেও শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নের পদকই গলায় উঠেছিল স্টার্কের।
আরও পড়ুনশেফিল্ডে কত বেতন পেতেন হামজা, আগামী মৌসুমে খেলবেন কোন ক্লাবে৫ ঘণ্টা আগেস্টার্ক তৃতীয় ফাইনালটি খেলেন ২০২৩ সালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে। ওভালে ভারতের বিপক্ষে দুই ইনিংসে ২টি করে মোট ৪টি উইকেট পেয়েছিলেন স্টার্ক। ২০৯ রানে জিতে চ্যাম্পিয়নও হয় তাঁর দল।
২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে ৩ উইকেট পেয়েছিলেন মিচেল স্টার্ক.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বক প র ফ ইন ল র কর ড উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে কারা গণহত্যা চালাচ্ছে, আরব আমিরাতের ভূমিকা কী
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে সুদান এক ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মধ্যে পড়ে। ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিতে দেশটির সামরিক বাহিনী এবং শক্তিশালী আধা সামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে শুরু হওয়া তীব্র লড়াই থেকে এই গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। এই যুদ্ধে পশ্চিম দারফুর অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয় এবং সেখানে গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার অভিযোগও ওঠে।
সম্প্রতি আরএসএফ এল-ফাশের শহরটি দখল করার পর এর বাসিন্দাদের নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত সারা দেশে দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। জাতিসংঘ এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকট বলে অভিহিত করেছে।
পাল্টাপাল্টি অভ্যুত্থান ও সংঘাতের শুরু১৯৮৯ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে ২০১৯ সালে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই দফায় দফায় যে উত্তেজনা চলছিল, তার সর্বশেষ পরিস্থিতি হচ্ছে বর্তমান গৃহযুদ্ধ।
বশিরের প্রায় তিন দশকের শাসনের অবসানের দাবিতে বিশাল জনবিক্ষোভ হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় সেনাবাহিনী। কিন্তু দেশটির মানুষ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে একটি যৌথ সামরিক-বেসামরিক সরকার গঠিত হয়। কিন্তু ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে আরও একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারটিকে উৎখাত করা হয়। এই অভ্যুত্থানের কেন্দ্রে ছিলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ও দেশটির কার্যত প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তাঁর ডেপুটি ও আরএসএফ নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো।
এই দুই জেনারেল দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ ও বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়া নিয়ে প্রস্তাবিত পদক্ষেপে একমত হতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে মূল বিরোধের বিষয় ছিল প্রায় এক লাখ সদস্যের আরএসএফ-কে সেনাবাহিনীর সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা এবং নতুন এই যৌথ বাহিনীর নেতৃত্ব নিয়ে। ধারণা করা হয়, দুজন জেনারেলই তাঁদের ক্ষমতা, সম্পদ ও প্রভাব ধরে রাখতে চেয়েছিলেন।
আরএসএফ সদস্যদের দেশের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হলে সেনাবাহিনী বিষয়টিকে নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখে। এ নিয়ে ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। সেই লড়াই দ্রুত তীব্র আকার ধারণ করে এবং আরএসএফ খার্তুমের বেশির ভাগ অংশ দখল করে নেয়। যদিও প্রায় দুই বছর পর সেনাবাহিনী খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়।
জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান (বামে) এবং আরএসএফ নেতা জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো (ডানে)