৯ লাখ তরুণকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করার উদ্যোগ
Published: 14th, June 2025 GMT
তরুণদের মধ্যে যাঁদের চাকরি বা প্রশিক্ষণে নেই—এমন পাঁচ লাখ যুব নারীসহ মোট ৯ লাখ তরুণকে ২০২৮ সালের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ শুরু করেছে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। এই প্রশিক্ষিত তরুণেরা দেশের অর্থনৈতিক রূপান্তর ও প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবেন।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক জানান, আর্ন প্রকল্প কর্মমুখী, উপযুক্ত ও পরিবেশবান্ধব খাতে যুবদের দক্ষতা বৃদ্ধি, দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং একই সঙ্গে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্র ঋণসহায়তা প্রদান করবে। এসব কাজের মধ্য দিয়ে বিপুল যুব জনগোষ্ঠীকে বিশেষ করে যুব নারীদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করবে।
আর্ন প্রকল্পের লক্ষ্যযুব উন্নয়ন অধিদপ্তর জানিয়েছে, তরুণদের বিশেষ করে যুব নারীদের বিকল্প শিক্ষা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করে তাঁদের আত্মকর্মসংস্থানমূলক অর্থনৈতিক কার্যক্রমে সরাসরি অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা। নিয়োগকর্তা ও শ্রমবাজারের সঙ্গে যুবদের সরাসরি সংযোগ স্থাপন, ইন্টার্নশিপের সুযোগ তৈরি এবং নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য যেকোনো উদ্যোগ শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থসহায়তার ব্যবস্থা করা হবে আর্ন প্রকল্পের মাধ্যমে।
প্রকল্প পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন এবং মূল্যায়নে যুব ও তাঁদের পরিবার, নাগরিক এবং অংশীজনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, যা যুবদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এবং এই মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের আওতাধীন সব সংস্থার (যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র), মানবসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র ও উপজেলা অফিসগুলো, বিকেএসপি, ক্রীড়া পরিদপ্তর, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানো হবে।
আর্ন প্রকল্পের উদ্দেশ্যআর্ন প্রকল্পের মাধ্যমে যুবগোষ্ঠী, বিশেষ করে গ্রামীণ নারীদের শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি করা। যুবক ও যুব নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিপূর্বক অধিকতর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা এই প্রকল্পের কাজ। ২০৩০ সালের মধ্যে অগ্রাধিকার খাতে প্রায় ৯ লাখ পর্যাপ্ত দক্ষ শ্রমশক্তি তৈরি করে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক রূপান্তর এবং এলডিসি থেকে উত্তরণপ্রক্রিয়ায় সহায়তা করার কাজ করা হবে।
এই প্রকল্পের আওতায় পড়বে ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৯ লাখ জনগোষ্ঠী, যারা বর্তমানে কোনো প্রকার আনুষ্ঠানিক বা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং উপার্জনমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত নেই। উল্লিখিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ নারী, ২ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী এবং ১ শতাংশ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন। এই নিট জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে ছয়টি ক্যাটাগরিতে।
প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর ন প রকল প র এই প রকল প র জনগ ষ ঠ আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
কামরাঙ্গীরচরে বাবার ছুরিকাঘাতে ছেলে খুন
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে রাহাবুল ইসলাম (২৫) নামের এক হোটেল কর্মচারি খুন হয়েছেন। শনিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কামরাঙ্গীরচর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ লুৎফর রহমান বলেন, কামরাঙ্গীরচর থানাধীন ঝাউচর এলাকায় হোটেল কর্মচারি রাহাবুল খুন হয়েছেন। পারিবারিক বিরোধের জেরে রাহাবুলকে তার বাবা জুয়েল রানা খুন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এ দিকে নিহত রাহাবুলের মামা হুমায়ুন বলেন, তার বোন শাহানাজ কাজের সূত্রে জর্ডানে থাকেন। তার ভাগনে রাহাবুল এবং বোনের স্বামী জুয়েল রানা কামরাঙ্গীরচরের যাউচর এলাকায় একটি হোটেলে কাজ করতেন। শনিবার রাতে পারিবারিক বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাত করে রাহাবুলকে হত্যা করেন বোনের স্বামী।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত জুয়েল রানাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কি কারণে ছেলেকে বাবা হত্যা করেছেন সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।