ইরানে হামলার পাশপাশি অবরুদ্ধ গাজায় হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। রবিবার গাজাজুড়ে ইসরায়েলি গুলি ও বিমান হামলায় কমপক্ষে ৪১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন মার্কিন সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত দুটি সাহায্য কেন্দ্রের কাছে নিহত হয়েছেন।

মধ্য গাজা উপত্যকার আল-আওদা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নেতজারিম করিডোরের কাছে একটি জিএইচএফ কেন্দ্রের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় ইসরায়েলি গুলিতে কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন। দক্ষিণে রাফাহের আরেকটি সাহায্য কেন্দ্রে যাওয়ার পথে আরো দুজন নিহত হয়েছেন।

ছিটমহলের উত্তরে বেইত লাহিয়া শহরে একটি বিমান হামলায় আরো সাতজন নিহত হয়েছেন। মধ্য গাজা উপত্যকার নুসাইরাত শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় একটি বাড়িতে কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। বাকিরা দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় পৃথক বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রায় তিন মাসের অবরোধ আংশিকভাবে তুলে নেওয়ার পর মে মাসের শেষের দিকে গাজায় খাদ্য প্যাকেজ বিতরণ শুরু করে জিএইচএফ। খাদ্য সংগ্রহের চেষ্টাকালে প্রায় প্রতিদিনই গণহারে গুলিবর্ষণে অসংখ্য ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন ন হত ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

কেনিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২১, নিখোঁজ ৩০

কেনিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় রিফ্ট ভ্যালি অঞ্চলের এলগেয়ো-মারাকওয়েট কাউন্টির চেসোঙ্গোচে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে রাতারাতি ভূমিধস ঘটেছে। কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, এতে অন্তত ২১ জন নিহত এবং এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।

রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। 

আরো পড়ুন:

কক্সবাজারে পাহাড়ধস: কারণ ও করণীয়

বহু জাতি-সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্তিমূলক বাস্তবতা দেখতে পাচ্ছি না: সন্তু লারমা

শনিবার (১ নভেম্বর) কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রসচিব কিপচুম্বা মুরকোমেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বিবৃতি বলেন, গুরুতর আহত কমপক্ষে ২৫ জনকে এলগেয়ো-মারাকওয়েট কাউন্টি থেকে চিকিৎসার জন্য এলডোরেট শহরে বিমানযোগে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে ৩০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

তিনি জানান, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় রবিবার থেকে উদ্ধার অভিযান পুনরায় শুরু করা হবে।

স্বরাষ্ট্রসচিব আরো জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে আরো ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের প্রস্তুতি চলছে। এ কাজে সামরিক ও পুলিশের হেলিকপ্টারগুলো প্রস্তুত রাখা রয়েছে।

কেনিয়ার রেড ক্রস পাহাড়ি এলাকা চেসোঙ্গোচের আকাশ থেকে তোলা ছবি শেয়ার করেছে, যেখানে ব্যাপক কাদা ধস ও আকস্মিক বন্যা ছড়িয়ে পড়ার দৃশ্য দেখা গেছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা সরকারের সঙ্গে উদ্ধার প্রচেষ্টা সমন্বয় করছে, যার মধ্যে আহতদের বিমানযোগে স্থানান্তরও রয়েছে।

রেড ক্রস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ এক বিবৃতি বলেছে, বন্যা ও অবরুদ্ধ সড়কের কারণে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো খুবই কঠিন।

চেসোঙ্গোচের পাহাড়ি এলাকা আগেও ভূমিধসের ঝুঁকিতে ছিল। ২০১০ ও ২০১২ সালে কয়েক ডজন মানুষ মারা গিয়েছিল এবং ২০২০ সালে প্রচণ্ড বন্যায় একটি শপিং সেন্টার ভেসে গিয়েছিল।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেনিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২১, নিখোঁজ ৩০