শেখ হাসিনা আমলের সরকার ব্যবস্থার রীতি পরিবর্তন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। তিনি বলেন, ‘সৈরাচারী হাসিনা সরকারের এই রীতি পরিবর্তনই রাষ্ট্র সংস্কার। হাসিনার ফ্যাসিবাদ তন্ত্রের জাতাকলে আমরা পিষ্ট হয়েছি।’

শুক্রবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির দুই দশকে পদার্পণ উপলক্ষে ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় জবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমন ও সভাপতি ইমরান হুসাইনের সভাপতিত্বে বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে সবাই ভূমিকা রেখেছে। কোনো দলের কাছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান কেন্দ্রীয়ভূত ছিল না। ২০২৪ ও ২০১৮ সালের আন্দোলনে সকল স্তরের জনগণের অংশগ্রহণ ছিল। এবারের গণঅভ্যুত্থানে সকল স্তরের মানুষ এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছে।’

ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মেধার ভিত্তিতে জ্ঞানচর্চার প্রতিযোগিতামূলক রাজনীতি করতে হবে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সেই নোংরা রাজনীতি এখন পরিহার করতে হবে। ছাত্র রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে।’

রাশেদ খান বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একতার মতোই নতুন বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে হবে।’

এদিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.

সাবিনা শরমীন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন, জবি শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী।

আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব শহীদ চৌধুরী এ্যানি, বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামির ঢাকা মহানগর দক্ষীনের সাধারণ সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নিজামুল হক নাঈম।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সরক র ব যবস থ র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

‘পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা হলে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে’

‘‘প্রয়োজন হলে বাংলাদেশে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে, কিন্তু পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেওয়া যাবে না।’’ 

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীতে পথসভায় এমন কথা বলেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের স্থানীয় নেতারা। দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলের আগে শহরের সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে সংক্ষিপ্ত পথসভা হয়।

আরো পড়ুন:

গকসু নির্বাচন: যত্রতত্র প্রচারে বিরক্ত শিক্ষার্থীরা

চাকসু নিয়ে স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে চবি প্রশাসনের মতবিনিময়

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজশাহী  মহানগর ও জেলার উদ্যোগে আয়োজিত পথসভায় বক্তব্য দেন, দলটির রাজশাহী জেলার সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী, মহানগরের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা হোসাইন আহমদ, জেলার সাধারণ সম্পাদক তারিক উদ্দিন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‘‘গত ৫৪ বছরে যারা শাসক হিসেবে ছিলেন, তারা কখনোই শাসন করেননি, শোষণ করেছেন। স্বাধীনতার পর দেশের মানুষ মুক্তির যে আশা করেছিল, এখন পর্যন্ত তা দেখতে পায়নি। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশবাসী মুক্তির যে পথ দেখে ছিল, বর্তমানে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ছাত্র-জনতার রক্তের উপর দাঁড়িয়ে একটি বিশেষ দলের চাপে সরকার রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া তাড়াতাড়ি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। তা হতে দেওয়া হবে না।’’ 

তারা বলেন, ‘‘বর্তমানে একটি দল আবারো ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ শাসনের জন্য আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতি ছাড়া তাড়াতাড়ি নির্বাচন চাচ্ছে। দেশের সম্পদ লুটপাট করার জন্য তারা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় না। তারা পিআর বোঝেন না কিন্তু চাঁদাবাজি বোঝেন। আগে গণঅভ্যুত্থানের বিচার হবে, তারপর সংস্কার, তারপরে নির্বাচন। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে, কিন্তু পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচন হবে না।’’ 

এর আগে জুমার নামাজের পর জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করা, বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের বিচার এবং বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিতে সাহেববাজার বড়মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। শহরের সাহেববাজার ও মনিচত্বর প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।

এতে ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আতিকুর রহমান মোজাহিদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি ফয়সাল হোসেন মনি, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের জেলার সভাপতি আবুল বাশার, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের জেলার সভাপতি হাফেজ আবুল হাসান, ইসলামী যুব আন্দোলনের মহানগরের সভাপতি হাসিবুর রহমানসহ দলটির প্রায় ২০০ জন নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। 
 

ঢাকা/কেয়া/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা হলে আরেকটি গণঅভ্যুত্থান হবে’