যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের অস্টিন শহরে গত রোববার নিজেদের তৈরি চালকবিহীন রোবোট্যাক্সি সেবা চালু করেছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা। রোবোট্যাক্সির যাত্রা শুরু উপলক্ষে টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক এক্সে (সাবেক টুইটার) জানিয়েছেন, এটি এক দশকের নিরলস পরিশ্রমের ফল।

রোবোট্যাক্সিতে কোনো স্টিয়ারিং হুইল বা প্যাডেল নেই। স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে সক্ষম রোবোট্যাক্সি ভাড়া করা যাবে ট্যাক্সি হিসেবে। শুরুতে শুধু আমন্ত্রিত অতিথিরা জনপ্রতি ৪ দশমিক ২০ ডলার ভাড়া দিয়ে গাড়িটিতে ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছেন। শুরুতে রাস্তায় চলা রোবোট্যাক্সির প্রতিটিতে সামনের আসনে একজন মানব নিরাপত্তা সহকারী উপস্থিত ছিলেন।

রোবোট্যাক্সি যাত্রা শুরু করলেও এখনো রাস্তায় নামেনি টেসলার আলোচিত ‘সাইবারক্যাব’। গত বছরের অক্টোবরে ‘উই, রোবট’ শিরোনামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চালকবিহীন ভবিষ্যৎ ট্যাক্সি হিসেবে সাইবারক্যাব গাড়ির নমুনা তুলে ধরেন মাস্ক। বর্তমানে যে গাড়িগুলো চলাচল করছে, সেগুলো মূলত টেসলার বিদ্যমান মডেলের গাড়ি। গাড়িগুলো বাইরের অংশে শুধু ছোট একটি ‘রোবোট্যাক্সি’ লোগো রয়েছে। টেসলা দাবি করেছে, তাদের সেলফ ড্রাইভিং ট্যাক্সি প্রযুক্তি পথচারী ও সাইকেলচালকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। তবে খারাপ আবহাওয়ায় এ প্রযুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন অনেকেই।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে এরই মধ্যে সেলফ ড্রাইভিং ট্যাক্সি সেবা চালু করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের মালিকানাধীন ওয়েমো এবং অ্যামাজনের জুক্স বর্তমানে অস্টিন, সান ফ্রান্সিসকো ও ফিনিক্স শহরে রোবোট্যাক্সি পরিচালনা করছে। এদিকে উবার যুক্তরাজ্যে সেলফ ড্রাইভিং ট্যাক্সি পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য ক তর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রবাসীর লাশ হাসপাতালে ফেলে গেলেন স্ত্রী, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হালিম খান নামে এক ইতালি প্রবাসীর লাশ ফেলে পালিয়ে গেছেন দ্বিতীয় স্ত্রী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহত হালিম রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের নগর গোয়ালদি গ্রামের মৃত হাজী বালা উদ্দিনের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

ভাড়াটিয়ার ধাক্কায় বাড়িওয়ালার মৃত্যু, আটক ৩

ঝিনাইদহে ভ্যানচালককে হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

পুলিশ ও নিহতের পারিবার জানায়, চার বছর আগে রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের উত্তর দারাদিয়া গ্রামের সোমেদ চৌকিদারের মেয়ে রেশমা বেগমকে বিয়ে করেন হালিম। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। এরপর হালিম ইতালি চলে যান। সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবা সোমেদ চৌকিদারকে ৬০ লাখ টাকা দেন। ইতালি থেকে আসার আগে হালিম নিজের জন্য মোটরসাইকেল কিনতে টাকা পাঠান। সেই মোটরসাইকেল রেশমা বেগমের ভাই সবুজ চৌকিদারের নামে কেনা হয়। 

দেশে ফিরে পাওনা টাকা ও মোটরসাইকেল ফেরত চান হালিম। এ নিয়ে হালিমের সঙ্গে রেশমা বেগম ও শ্যালকসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কথা-কাটাকাটি হয়। গতকাল সোমবার (২৩ জুন) রাতে শ্বশুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে তারা হালিমকে পিটিয়ে ও গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ পরিবারের। 

তাদের দাবি, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য হালিমকে নিয়ে যান দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজন। চিকিৎসক হালিমকে মৃত ঘোষণা করলে লাশ ফেলে পালিয়ে যান রেশমা বেগম ও শ্বশুর বাড়ির সবাই।

নিহত হালিম খানের মেয়ে হিমু আক্তার বলেন, “আমার বাবাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমার বাবার মাথার পিছনে ও সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমি আমার বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।”

নিহতের ভাই আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, “হালিমের ৯ বছরের কামাইয়ের সব টাকা ওই নারীর কাছে ছিল। অনেক শখ করে সে একটা মোটরসাইকেল কিনেছিল, সেটিও তার শ্যালক নিয়ে গেছে। এসব কিছু নিয়ে রাতে হালিমের সাথে ঝামেলা হইছিল। সকালে পুলিশ খবর দিল, আমার ভাইয়ের লাশ উদ্ধার হইছে। তার মাথা ও সারা শরীরে আঘাতের দাগ আছে। এভাবে পিটিয়ে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানাই।”

রাজৈর থানার ওসি মোহাম্মদ মাসুদ খান বলেন, “লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। জানতে পেরেছি, স্ত্রী ও শাশুড়ি হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক হালিমকে মৃত্য ঘোষণা করেন। তারা লাশ রেখেই পালিয়ে যান। ঘটনাটি সন্দেহজনক। আইনগত ব্যবস্থা নিতে মরদেহটি ময়নাতদন্তে জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের
মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ