খুলনা নগরে বাড়ি ফেরার পথে ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা
Published: 27th, June 2025 GMT
খুলনায় বাবলু দত্ত (৫০) নামের এক ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে নগরের হরিণটানা থানার রাজবাঁধ দক্ষিণপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বাবলু দত্ত রাজবাঁধ দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা অমূল্য দত্তের ছেলে। তিনি বালু ও জমি কেনাবেচা করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে বাবলু দত্ত কৈয়া বাজারের নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে দুর্বৃত্তরা তাঁর গতিরোধ করে। এরপর তাঁকে একটি ফাঁকা প্লটের ভেতরের মেহগনিবাগানে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
পরে স্থানীয় লোকজন রাস্তার পাশে পড়ে থাকা একটি মোটরসাইকেল দেখে সন্দেহ হলে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাঁরা বাগানের ভেতর বাবলুর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ খায়রুল বাসার বলেন, বাবলু দত্তকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, নিখোঁজের ২৯ ঘণ্টা পর মধুমতী নদী থেকে জেলের মরদেহ উদ্ধার
মাগুরা ও ফরিদপুরের সীমান্তবর্তী মধুমতী নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জেরে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার ২৯ ঘণ্টা পর আজ শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে মহম্মদপুর উপজেলার পাচুড়িয়া ঘাট এলাকায় ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শৌখিন খান (৪০) মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পাল্লা চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। গত বুধবার রাত দুইটার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চণ্ডিবিলা মাঝিপাড়া ঘাট এলাকায় ওই সংঘর্ষ হয়। পরিবারের সদস্যরা জানান, শৌখিন খান চার সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর একটি প্রতিবন্ধী মেয়ে ও এক অসুস্থ ছেলে আছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে শৌখিন খান ও হুমায়ুন শেখ নামের একজন স্থানীয় ব্যক্তি চায়না জাল ফেলে মাছ ধরতে নদীতে যান। একই সময় ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের জব্বার মোল্লা, রবিউল মোল্লা ও আরও একজন ব্যক্তি একই এলাকায় মাছ ধরছিলেন। রাত প্রায় পৌনে দুইটার দিকে মাছ ধরা শেষে শৌখিন ও হুমায়ুন বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় শৌখিন খানের নৌকা জব্বার মোল্লার জালের ওপর দিয়ে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জব্বার মোল্লা বইঠা দিয়ে শৌখিনকে আঘাত করলে তিনি নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হন।
নিহত ব্যক্তির চাচাতো ভাই আলী আফজাল বলেন, ‘আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হঠাৎ ঝগড়া বাধিয়ে জব্বার ও রবিউল মোল্লা তাঁকে মেরে পানিতে ফেলে দেন। ভাইয়ের স্ত্রী এখন দুই সন্তান নিয়ে দিশাহারা। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’ এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ভাষ্য পাওয়া যায়নি।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। যেহেতু ঘটনাটি ফরিদপুরের মধুখালী থানার আওতাধীন, সেহেতু মামলাটি সেখানেই হবে।