থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র দিয়ে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় করে আসছেন ছিনতাই ও লুটপাট। বিশেষ করে সহযোগীদের নিয়ে টার্গেট করতেন বিমানবন্দরগামী যানবাহনগুলোকে। চট্টগ্রামে এমন অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম মো. মিনহাজ উদ্দিন (২৩)। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নগরের পাহাড়তলী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে একটি বিদেশি রিভলবার ও ছয়টি গুলি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া রিভলবার ও গুলি গত বছরের ৫ আগস্ট পাহাড়তলী থানা থেকে লুট হয়েছিল।

পুলিশ জানায়, ছিনতাইকারী ও চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারের জন্য পাহাড়তলী থানার সিডিএ মার্কেটের সামনে তল্লাশিচৌকি বসায় পাহাড়তলী থানা-পুলিশ। সেখানে মিনহাজ উদ্দিনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তিনি জানান, উত্তর পাহাড়তলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পরিত্যক্ত ছাউনির নিচে মাটিতে একটি বিদেশি রিভলবার ও গুলি লুকিয়ে রেখেছেন।

পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

বাবুল আজাদ বলেন, ‘মিনহাজের দেখানো স্থান থেকে একটি বিদেশি রিভলবার ও ছয়টি গুলি উদ্ধার করা হয়। এগুলো গত বছরের ৫ আগস্ট থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র। গ্রেপ্তার মিনহাজের বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানায় ১১টি মামলা আছে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ভলব র ও প হ ড়তল

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ