ঝালকাঠিতে তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস, পৃথক দুটি মামলা
Published: 29th, June 2025 GMT
ঝালকাঠিতে তালগাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ধ্বংস ও ছানা হত্যার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। রোববার দুপুরে থানায় বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী স্থানীয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দুটি করা হয়।
গত শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার পূর্ব গুয়াটন এলাকার একটি তালগাছ কেটে ফেলা হয়। তালগাছটি মোবারক আলী ফকির নামের এক ব্যক্তির জমির পাশে সড়কের ধারে ছিল। গাছটি অনেক বছর ধরে বাবুই পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল ও প্রজননকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। গাছটিতে অসংখ্য ঝুলন্ত বাসা, ডিম ও ছানা ছিল। মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি মোবারক আলীর কাছ থেকে গাছটি কিনে কাটেন। এতে সহযোগিতা করেন ফারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তি। গাছ কাটার সময় অসংখ্য বাসা নিচে পড়ে ডিম ভেঙে যায় এবং ছানাগুলো মাটিতে পড়ে মারা যায়।
এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) জায়গায় থাকা তালগাছ কাটার অভিযোগে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেন। পাশাপাশি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বাবুই পাখির ছানা হত্যা ও ডিম ধ্বংস করার অভিযোগে বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী আরেকটি মামলা করা হয়। মামলার বাদী ঝালকাঠি সামাজিক বনায়ন ও নার্সারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
আরিফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বাবুই পাখির আবাসস্থল ও পাখি হত্যা করার অপরাধে বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী তিনি বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছেন। আশা করছেন, আদালত ন্যায়বিচারের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দেবেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, তালগাছ কেটে আবাসস্থল ধ্বংস ও পাখি হত্যার অপরাধে দুটি মামলা হয়েছে। একটি সদর থানায়, অন্যটি আদালতে। ঘটনাটি তাঁরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছেন। মামলার পর থেকেই অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
কত টাকায় হয় জাতীয় ক্রিকেট লিগ, প্রতিদিন কত খরচ
দেশের আটটি বিভাগীয় দল নিয়ে আয়োজিত হয় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের আসর জাতীয় লিগ। ঢাকা মহানগরের জায়গায় এবার থেকে চার দিনের আসরে খেলবে ময়মনসিংহ বিভাগ। চার দিনের ম্যাচের পাশাপাশি এখন হয় এনসিএল টি–টোয়েন্টিও। স্বাভাবিকভাবেই ৮ দলের ১২০ ক্রিকেটারের অংশগ্রহণে বিশাল এই যজ্ঞে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খরচও অনেক বেড়েছে।
এই বৃদ্ধি কতটা, তা বোঝা যাবে ছোট্ট একটি তথ্যে। প্রথম জাতীয় লিগ অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে। শুরুর দিকের খরচের প্রকৃতি চিত্রটা কেমন ছিল, তা পুরোপুরি জানা না গেলেও ২০১২ সালে থেকেও যদি হিসাব করেন, গত ১৩ বছরে জাতীয় লিগের একটি আসরের পেছনে বিসিবির খরচ বেড়েছে ১০ কোটি টাকার মতো।
আরও পড়ুন‘নির্বাচক হলে বুমরাকে আইপিএলে খেলতে দিতাম না’১৩ ঘণ্টা আগে২০১২ সালের জাতীয় লিগে বিসিবির মোট খরচ হয়েছিল প্রায় ৪ কোটি টাকা। আর সর্বশেষ ২০২৪–২৫ মৌসুমে খরচ ১৪ কোটি টাকার ওপরে। গত মৌসুমে শুধু ক্রিকেটারদের থাকা, খাওয়া আর দৈনিক ভাতা বাবদই প্রতিদিনের খরচ ছিল প্রায় ১১ লাখ টাকা। এর বাইরে লিগ শুরুর আগে অংশগ্রহণকারী আটটি দলকে প্রস্তুতি ফি হিসেবে দেওয়া হয় সাড়ে ৯ লাখ টাকা করে, সঙ্গে আলাদা করে বিসিবি দেয় ম্যাচের জার্সিও।
এবারের এনসিএল টি–টোয়েন্টি এবং চার দিনের আসর মিলিয়ে মোট খরচ আরও বাড়বে। কারণ, এবার খেলোয়াড়দের দৈনিক ভাতা ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা করেছে বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটি। টি–টোয়েন্টির ম্যাচ ফি ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। আর চার দিনের ম্যাচের ম্যাচ ফি গতবারই ৬০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৭৫ হাজার টাকা হয়েছে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি কার্যালয়